অন্তঃসত্ত্বা নারীর করোনা হলে কি করনীয়

0
82

অন্তঃসত্ত্বা নারীর করোনা হলে কি করনীয়

অন্তঃসত্ত্বা নারীর করোনা হলে করণীয়:

প্রথমত, আতঙ্কিত হবেন না। বেশিরভাগ গর্ভবতী নারী করোনা ভাইরাস থেকে হালকা অসুস্থ হন এবং সহজেই সুস্থ হয়ে যান।

কিছু টিপস:

ঘরে থাকুন:

  • যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন এবং অন্যদের থেকে দূরে থাকুন।
  • বাইরে যেতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।
  • নিয়মিত আপনার হাত সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন:

আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে:

ফোন:

  • আপনার ডাক্তারের চেম্বারের ফোন নম্বরে কল করুন।
  • অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য বা আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য আপনি এই নম্বরটি ব্যবহার করতে পারেন।

ইমেইল:

  • আপনার ডাক্তারের চেম্বারের ইমেইল ঠিকানায় ইমেইল পাঠান।
  • অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য বা আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য আপনি এই ঠিকানাটি ব্যবহার করতে পারেন।

অনলাইন পোর্টাল:

  • অনেক ডাক্তারের চেম্বারের নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল থাকে যেখানে আপনি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন, বার্তা পাঠাতে পারেন এবং আপনার মেডিকেল রেকর্ড অ্যাক্সেস করতে পারেন।

অনলাইন পোর্টাল হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে এমন একটি ওয়েবসাইট।

অনলাইন পোর্টালের কিছু সুবিধা:

  • সুবিধাজনক: অনলাইন পোর্টাল 24/7 অ্যাক্সেসযোগ্য।
  • দ্রুত: অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য ও পরিষেবা পাওয়া যায়।
  • সাশ্রয়ী: অনলাইন পোর্টাল ব্যবহারের খরচ কম।
  • কার্যকর: অনলাইন পোর্টাল ব্যবহারে সময় বাঁচে।

অনলাইন পোর্টালের কিছু উদাহরণ:

  • সরকারি পোর্টাল: অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানের তাদের নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল রয়েছে যেখানে তারা তথ্য ও পরিষেবা প্রদান করে।
  • ব্যবসায়িক পোর্টাল: অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তাদের নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল রয়েছে যেখানে তারা তাদের পণ্য ও পরিষেবা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে এবং গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে।
  • শিক্ষাগত পোর্টাল: অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তাদের নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল রয়েছে যেখানে তারা শিক্ষার্থীদের তথ্য ও পরিষেবা প্রদান করে।
  • সামাজিক পোর্টাল: অনেক সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ রয়েছে যেখানে মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে এবং তথ্য শেয়ার করে।

অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করার সময়:

  • নিশ্চিত করুন যে পোর্টালটি নির্ভরযোগ্য।
  • আপনার ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার আগে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
  • পোর্টালটি ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম ও শর্তাবলী পড়ুন।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।

টেলিমেডিসিন:

  • অনেক ডাক্তার এখন টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে রোগীদের সাথে দেখা করেন। এর মানে হলো আপনি ভিডিও কলের মাধ্যমে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারেন।

টেলিমেডিসিন হলো দূর যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের একটি পদ্ধতি। এটি চিকিৎসক এবং রোগীর মধ্যে দূরবর্তী যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ করে দেয়, ফলে রোগীকে ডাক্তারের চেম্বারে না গিয়েই স্বাস্থ্যসেবা পেতে সুবিধা হয়।

টেলিমেডিসিনের কিছু সুবিধা:

  • সুবিধাজনক: রোগীরা ঘরে বসেই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। এতে সময় ও টাকা বাঁচে।
  • দ্রুত পরিষেবা: কিছু ক্ষেত্রে, টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে দ্রুত স্বাস্থ্য পরামর্শ পাওয়া যায়।
  • গতিশীলতা সমস্যাযুক্ত রোগীদের জন্য উপকারী: যাদের গতিশীলতা সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য টেলিমেডিসিন খুবই উপকারী।
  • গ্রামীণ জনগণের সুবিধা: দূরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শ করার জন্য টেলিমেডিসিন ব্যবহার করতে পারে।

টেলিমেডিসিনের কিছু অসুবিধা:

  • প্রযুক্তিগত সমস্যা: টেলিমেডিসিনের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ এবং প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • শारीरिक পরীক্ষা সীমাবদ্ধ: টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে শারীরিক পরীক্ষা করা সম্ভব না। কিছু ক্ষেত্রে, চিকিৎসককে সঠিক রোগ নির্ণয় করতে রোগীকে সরাসরি দেখা প্রয়োজন হতে পারে।
  • গোপनीयতা রক্ষা: টেলিমেডিসিন ব্যবহার करते समय रोगी की गोपनीयता बनाए रखना एक चुनौती हो सकती है।

বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন:

বাংলাদেশে সরকারি উদ্যোগে টেলিমেডিসিন সেবা চালু রয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেন্টার রয়েছে। এই সেন্টারগুলো থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করে রোগীরা পরামর্শ নিতে পারেন।

টেলিমেডিসিনের ভবিষ্যৎ:

kabinbd

টেলিমেডিসিনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে এর ব্যবহার আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে আরও উন্নত মানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার টেলিমেডিসিন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।

আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার সময়:

  • আপনার সমস্যা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বলুন।
  • আপনার যেকোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধা করবেন না।
  • আপনার ডাক্তারের পরামর্শ মনোযোগ সহকারে শুনুন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সর্বোত্তম উপায় কী তা জানতে আপনার ডাক্তারের চেম্বারে জিজ্ঞাসা করুন।
  • আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার সময় আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং জন্ম তারিখ সরবরাহ করুন।
  • আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার সময় আপনার বীমা তথ্য সরবরাহ করুন।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাকে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করবে।

  • আপনার ডাক্তারকে জানান যে আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত আপনার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করুন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত আপনার অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করুন।

আপনার যত্ন:

  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
  • প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  • আপনার শরীরের প্রতি খেয়াল রাখুন এবং নতুন কোন উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

আপনার যত্ন:

আপনার যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক, মানসিক এবং আবেগীয়ভাবে ভালো থাকার জন্য আপনাকে নিয়মিতভাবে নিজের যত্ন নেওয়া উচিত।

শারীরিক যত্ন:

  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, ফল, বাদাম এবং বীজ খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, বা জিমে যাওয়া – যেকোনো ধরণের ব্যায়ামই আপনার জন্য ভালো।
  • পর্যাপ্ত ঘুমোন: প্রতি রাতে 7-8 ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুমের অভাব আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
  • নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে দেখা করুন: নিয়মিত চেক-আপ করার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। এটি আপনাকে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি দ্রুত শনাক্ত করতে এবং চিকিৎসা করতে সাহায্য করবে।

মানসিক যত্ন:

  • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: মানসিক চাপ আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যোগব্যায়াম, ধ্যান, বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন।
  • নিজের জন্য সময় বের করুন: প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য বের করুন। এই সময়ে আপনি যা করতে ভালোবাসেন তা করুন, যেমন বই পড়া, গান শোনা, বা প্রকৃতিতে হাঁটা।
  • ইতিবাচক চিন্তা করুন: ইতিবাচক চিন্তা করার চেষ্টা করুন। नकारात्मक विचारों से दूर रहें।
  • প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না: আপনি যদি মানসিকভাবে ভালো না বোধ করেন, তাহলে একজন মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের সাথে কথা বলতে দ্বিধা করবেন না।

আবেগীয় যত্ন:

  • আপনার আবেগ প্রকাশ করুন: আপনার আবেগগুলিকে বোতলজাত করবেন না। আপনি যা অনুভব করছেন তা আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন।
  • সীমানা নির্ধারণ করুন: অন্যদের আপনার উপর চাপ দিতে দেবেন না। আপনার নিজের সীমানা নির্ধারণ করুন এবং তা মেনে চলুন।
  • নিজেকে ক্ষমা করুন: সবাই ভুল করে। নিজেকে ক্ষমা করতে শিখুন এবং এগিয়ে যেতে শিখুন।
  • কৃতজ্ঞ থাকুন: আপনার জীবনের ভালো জিনিসগুলির জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন। কৃতজ্ঞতা অনুশীলন আপনাকে আরও ইতিবাচক এবং আশাবাদী হতে সাহায্য করবে।

কিছু সতর্কতা:

  • যদি আপনার জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, অথবা অন্য কোন গুরুতর উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাবেন না।
  • ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।

মনে রাখবেন:

  • বেশিরভাগ গর্ভবতী নারী করোনা ভাইরাস থেকে সহজেই সুস্থ হয়ে যান।
  • আপনার যত্ন নিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
  • আপনার চারপাশের মানুষের সহায়তা ও সহযোগিতা আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও তথ্যের জন্য:

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।

বিগত এক বছরে করোনা মহামারি আমাদের ছেড়ে যায়নি, বরং নতুনরূপে নতুন ধরনে আরও মারাত্মক আকারে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে যে দ্বিতীয় ঢেউ দেখা যাচ্ছে, তাতে অপেক্ষাকৃত কম বয়স্ক তরুণ–যুবারাও অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন আর কেউ কেউ জটিলতায়ও পড়ছেন। এবার দেখা যাচ্ছে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বেশিসংখ্যক হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই কম বয়স্ক নারীদের মধ্যে এমন অনেকেই পড়ে যেতে পারেন, যাঁরা গর্ভধারণ করেছেন বা করবেন। করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে এই নারীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

এখন বাচ্চা নেবেন?
অনেকেই হয়তো এই সময় সন্তান ধারণের পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁদের প্রতি আমাদের উপদেশ, অতিমারি নিয়ন্ত্রিত না হওয়া পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখাই ভালো। করোনার সংক্রমণ গর্ভবতী নারী বা তাঁর অনাগত সন্তানের বাড়তি কোনো ক্ষতি করে বলে এখনো প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গ আক্রান্ত হওয়া, অক্সিজেন কমে যাওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য ঝুঁকি যে কারও মতোই রয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা ইত্যাদি সমস্যায় আগে থেকেই ভুগছিলেন। তার ওপর হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবার ওপর প্রচণ্ড চাপ, পরিবহনসংকট, বাইরে বের হলে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি—সব মিলিয়ে এই সময়টা গর্ভধারণের জন্য খুব একটা ভালো সময় নয়। তাই সুযোগ থাকলে আর কিছুদিন সময় নিন।
যদি গর্ভকালে করোনা হয়
গর্ভধারণের শুরুর দিকে বা মাঝামাঝি কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হন, তবে তাঁর চিকিৎসাব্যবস্থা আর দশজন করোনা রোগীর মতোই হবে। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে মেডিসিন ও সংশ্লিষ্ট অন্য বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকেরা রোগের তীব্রতা অনুযায়ী নির্দেশিকা অনুসরণ করে চিকিৎসা দেবেন। অবশ্যই নিজে নিজে বা কারও পরামর্শে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখে কোনো ওষুধ সেবন করবেন না। গর্ভকালে করোনা হলে প্রয়োজন বোধ করলে বিশেষ শিল্ড ব্যবহার করে বুকের এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান করতেও কোনো বাধা নেই।

গাইডলাইনে নির্দেশিত চিকিৎসা, যেমন স্টেরয়েড বা ডেক্সামেথাসোন, রক্ত পাতলা করার ওষুধ ইনোক্সাপাইরিন, দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে। অক্সিজেনের মাত্রার ওপর নির্ভর করে অক্সিজেনও। মৃদু মাত্রার রোগীরা বাড়িতে থেকেই সেবা–শুশ্রূষার মাধ্যমে সেরে উঠবেন। তবে অক্সিজেন কমে গেলে বা শ্বাসকষ্ট হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। করোনা সংক্রমণ হলেও গর্ভধারণ চালিয়ে যেতে কোনো সমস্যা নেই। বেশির ভাগই সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে পারবেন যদি নিজে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

আর যদি গর্ভধারণের একেবারে শেষ দিকে এসে কেউ করোনায় আক্রান্ত হন, তবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। প্রসব বা সিজারের সময় দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব, যাতে এর মধ্যে তিনি সেরে ওঠেন। আর যদি প্রসবব্যথা শুরু হয়ে যায় বা পানি ভেঙে যায় বা জরুরি পরিস্থিতি হয়, তবে আর দশজন মায়ের মতো স্বাভাবিক প্রসব বা সিজারিয়ান করা যেতে পারে, তবে সব সতর্কতা অবলম্বন করে। করোনা হলেই সিজারিয়ান লাগবে তা নয়, স্বাভাবিক প্রসবও সম্ভব। এ ক্ষেত্রে অপারেশন থিয়েটার বা লেবার রুমে সংক্রমণ প্রতিরোধের সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রতিরোধই সবচেয়ে ভালো পন্থা
তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের এই সময়টাতে বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে খুবই সাবধানে রাখা উচিত। মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি পালন করা, ভিড় এড়িয়ে চলা ইত্যাদি সযত্নে মানুন। এ সময় অকারণে বা বাজারসদাই করতে বাড়ির বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারও বাড়িতে যাবেন না, বাইরের কাউকে আসতেও বলবেন না।

বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে নিজেকে তার থেকে আইসোলেশন করে ফেলুন এবং মাস্ক পরে থাকুন। গর্ভকালীন অবস্থায় যে ৮ বার প্রসব–পূর্ববর্তী চেকআপ প্রচলিত আছে, করোনাকালে তার ৪টা অনলাইনে বা ভার্চ্যুয়ালি করার পক্ষে মত দিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। কর্মজীবী হলে হোম অফিসের সুবিধা নিন বা কাজে গেলে সব সময় মাস্ক পরে থাকুন। বারবার হাত ধোয়ার মতো সতর্কতা পালন করুন।

শারীরিক যেকোনো সমস্যায় আগে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিফোনে বা অনলাইনে পরামর্শ করুন। জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, স্বাদহীনতা, দুর্বলতা ইত্যাদি যেকোনো উপসর্গে দ্রুততম সময়ে করোনার টেস্ট করিয়ে রাখুন। আর সন্তান প্রসবের সময় এগিয়ে এলে তার আগে আগেও একবার করোনা টেস্ট করতে হবে। বাড়িতে পুষ্টিকর খাবার খান, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করে ফিট থাকুন। অতিরিক্ত স্ট্রেস বা মানসিক চাপ নেবেন না। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। সম্ভব হলে রোদে কিছুক্ষণ বসুন। ইমিউনিটি বাড়াতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো পালন করুন।

bangladesh marriage site

আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস

Kabinbd Blog

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here