কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করুন এবং মেনে চলুন

0
64
kabinbd
kabinbd

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করুন এবং মেনে চলুন

kabinbd
kabinbd

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করুন এবং মেনে চলুন:

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা কর্মীদের দুর্ঘটনা ও অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে।

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ:

১. কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখা:

কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখা কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব।

কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখার জন্য কিছু পদক্ষেপ:

কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব:

  • কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
  • যন্ত্রপাতি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা।
  • বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ নিরাপদ রাখা।
  • অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা সচল রাখা।
  • কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
  • ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE) সরবরাহ করা।
  • নিয়মিত কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
  • কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
  • কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
  • কর্মীদের কাজের চাপ কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • কর্মীদের জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখা।
  • কর্মীদের জন্য সুস্থ ও সুষম খাবার সরবরাহ করার ব্যবস্থা রাখা।
  • কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া।

কর্মীদের দায়িত্ব:

  • কাজের সময় সতর্ক থাকা।
  • কাজের নিয়ম-কানুন মেনে চলা।
  • প্রয়োজনীয় PPE ব্যবহার করা।
  • কাজের পরিবেশে কোনো ঝুঁকি দেখলে কর্তৃপক্ষকে জানানো।
  • নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়া।
  • সহকর্মীদের প্রতি সচেতন থাকা।

কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখা সকলের স্বার্থে।

কিছু টিপস:

  • কর্মক্ষেত্রে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখলে কর্তৃপক্ষকে জানান।
  • কাজের সময় ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা।
  • কাজের সময় মাদকদ্রব্য সেবন না করা।
  • কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

শেষ কথা:

কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখা একটি চলমান প্রক্রিয়া।

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর করে তোলা সম্ভব।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।

  • কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
  • যন্ত্রপাতি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা।
  • বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ নিরাপদ রাখা।
  • অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা সচল রাখা।
  • কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

২. ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার:

ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE) হলো এমন সরঞ্জাম যা কর্মীদের কাজের সময় বিভিন্ন ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।

PPE ব্যবহারের গুরুত্ব:

  • কর্মীদের দুর্ঘটনা ও আঘাত থেকে রক্ষা করে।
  • কর্মীদের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
  • কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।

PPE ব্যবহারের নিয়ম:

  • কাজের ধরন অনুযায়ী সঠিক PPE নির্বাচন করা।
  • PPE সঠিকভাবে পরিধান করা।
  • PPE নিয়মিত পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।
  • PPE ব্যবহারের নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা।

PPE-এর কিছু উদাহরণ:

  • হেলমেট
  • সুরক্ষা চশমা
  • কানের ঢাকনা
  • মুখোশ
  • দস্তানা
  • জুতা

PPE ব্যবহার কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিছু টিপস:

kabinbd

  • PPE ব্যবহারের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
  • PPE কখনোই অন্যের সাথে শেয়ার করবেন না।
  • PPE নোংরা বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন করুন।
  • PPE ব্যবহারের পর তা পরিষ্কার করে রাখুন।

শেষ কথা:

PPE ব্যবহার কর্মীদের কাজের সময় নিরাপদ রাখার একটি কার্যকর উপায়।

সকল কর্মীকে PPE ব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং নিয়মিত PPE ব্যবহার করতে হবে।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।

  • কর্মীদের কাজের ধরন অনুযায়ী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE) সরবরাহ করা।
  • PPE ব্যবহারের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
  • PPE নিয়মিত পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।

৩. কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা:

কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা লাভ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্য:

  • কর্মীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে জানা।
  • কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য উপযুক্ত কর্মী নির্বাচন করা।
  • কর্মীদের স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলি দ্রুত শনাক্ত করা এবং চিকিৎসা প্রদান করা।
  • কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ও আঘাতের ঝুঁকি কমাতে।
  • কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বজায় রাখতে

কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ধরন:

  • প্রাক-কর্মসংস্থান পরীক্ষা: নিয়োগের পূর্বে কর্মীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য।
  • নিয়মিত পরীক্ষা: কর্মীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার জন্য।
  • বিশেষ পরীক্ষা: কর্মীদের কোনো নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিলে।

কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • পরীক্ষার ফলাফল গোপন রাখা।
  • কর্মীদের পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত করা।
  • পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে কর্মীদের প্রতি কোনো বৈষম্য না করা।

কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের উভয়েরই স্বাস্থ্য পরীক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।

কিছু টিপস:

  • কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একজন যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
  • কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করুন।
  • কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল নিয়মিত পর্যালোচনা করুন।
  • কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়ে কর্মীদের সাথে নিয়মিত আলোচনা করুন।
  • নিয়মিত কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
  • কাজের পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা।
  • পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৪. কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি:

  • কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করা।
  • কর্মীদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা।
  • কর্মক্ষেত্রে ধূমপান নিষিদ্ধ করা।
  • খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

৫. কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধি:

কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, উৎপাদনশীলতা এবং কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধির উপায়:

  • প্রশিক্ষণ: কর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা, যেমন:
    • কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা
    • স্বাস্থ্য ও সুস্থতা
    • পরিবেশ
    • কর্মক্ষেত্রের আইন ও নিয়ম
  • সচেতনতামূলক প্রচারণা: বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো, যেমন:
    • পোস্টার
    • লিফলেট
    • ভিডিও
    • সভা
  • যোগাযোগ: কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন করা এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা।
  • প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা: কর্মীদের জন্য একটি প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা স্থাপন করা যাতে তারা কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ ও পরামর্শ দিতে পারে।

কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধির সুবিধা:

  • কর্মক্ষেত্রের দুর্ঘটনা ও আঘাতের ঝুঁকি কমে।
  • কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
  • কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা উন্নত হয়।
  • কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতা বৃদ্ধি পায়।
  • কর্মীদের মধ্যে কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পায়।

কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও প্রচারণার মাধ্যমে কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।

কিছু টিপস:

  • কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি বাজেট তৈরি করুন।
  • কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মীদের সাথে আলোচনা করুন।
  • কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও প্রচারণার কার্যকারিতা নিয়মিত পর্যালোচনা করুন।
  • কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
  • কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো।
  • কর্মীদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা।

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।

কিছু টিপস:

  • কর্মীদের কাজের চাপ কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • কর্মীদের জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখা।
  • কর্মীদের জন্য সুস্থ ও সুষম খাবার সরবরাহ করার ব্যবস্থা রাখা।
  • কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া।

শেষ কথা:

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা কর্মীদের দুর্ঘটনা ও অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির এক বছর পেরিয়ে গেছে। গত বছরের এই দিনে আমরা এই সম্পাদকীয় কলামে লিখেছিলাম, ‘একদিকে ভাইরাসের আক্রমণে জীবন হারানোর আশঙ্কা, অন্যদিকে উপার্জনহীন অবস্থায় অনাহার-অর্ধাহারে দিনযাপনের দুঃখ-কষ্ট। উভয় দিক মিলিয়ে বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষ আজ এক গুরুতর সংকটের মুখোমুখি।’ তার পরের এই এক বছরে কত যে শ্রমজীবী মানুষ কাজ হারিয়েছেন, কতজনের আয় কমে গিয়ে জীবনসংগ্রাম তীব্রতর হয়েছে, তার সঠিক হিসাব নেই। এর মধ্যেই আবার এসেছে পয়লা মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এই দিবসের সংগ্রামী ঐতিহ্যের কথা, সুদীর্ঘ সংগ্রামের অর্জনগুলোর কথা বিস্মৃত হতে পারি না। বরং ত্যাগ-তিতিক্ষাময় অদম্য অক্লান্ত সেই সব সংগ্রামের স্মৃতি থেকে প্রেরণা ও শক্তি অর্জন করতে চাই। আমরা বাংলাদেশের ও সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষকে মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা ও সংহতি জানাই।

১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের শ্রমিকদের আন্দোলনের কথা আজ স্মরণ করি। সেদিন শ্রমিকেরা ১০-১২ ঘণ্টার কর্মদিবসের বিপরীতে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছিলেন। সেই আত্মদানের পথ ধরে পৃথিবীর দেশে দেশে শ্রমজীবী মানুষকে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করতে হয়েছে ন্যায্য মজুরি, অবকাশ, মানবিক আচরণ, স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবিতে। আট ঘণ্টার কর্মদিবসের দাবি অর্জিত হয়েছে, কর্মপরিবেশেরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে; কিন্তু শ্রমজীবীদের পেশাগত জীবনে নিরাপত্তা ও মানবিক অধিকারগুলো অর্জিত হয়নি। চলমান মহামারিতে আবারও স্পষ্ট হয়েছে এ দেশের বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা, মৌলিক মানবিক অধিকারগুলো কতটা ভঙ্গুর।

কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম ঢেউয়ের আঘাতে শ্রমজীবী মানুষের জীবনে যে দুর্দশা সৃষ্টি হয়েছিল, একটা পর্যায়ে সংক্রমণ কমার ফলে সেই দুর্দশা ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা এসে নতুন বিপর্যয়ের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। জাতীয় অর্থনীতি ঠিকমতো উঠে দাঁড়ানোর আগেই এ পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। যেহেতু অর্থনীতির অনানুষ্ঠানিক খাতই বৃহত্তর এবং আঘাতটা তার ওপরেই পড়েছে সবচেয়ে তীব্রভাবে, তাই এ খাতের শ্রমজীবী মানুষের দিকে দৃষ্টি দেওয়া অন্যতম বড় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
গত বছরের লকডাউনের সময় পোশাকশিল্পসহ বিভিন্ন কলকারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। এবারের লকডাউনে কলকারখানা খোলা রাখা হয়েছে—এটা এ কারণে যে শ্রমিকদের পিঠ একদম দেয়ালে ঠেকে গেছে। কলকারখানা বন্ধ করার পরিণাম হতো তাঁদের জীবনধারণের সুযোগ আরও সংকুচিত হয়ে পড়া। তাঁদের বেতন-ভাতা নিয়মিতভাবে ও যথাসময়ে পাওয়ার নিশ্চয়তার পাশাপাশি যাঁরা কাজ হারিয়েছেন, তাঁদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। তৈরি পোশাক খাতে গত বছর যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছেন শ্রমিকেরা তার সুফল পাননি—এমন অভিযোগ আছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, নিরন্ন হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষের কাছে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

জীবিকার সংকটের পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সুচিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের নাজুকতা বেশি। একদিকে ঘরে খাবার নেই, অন্যদিকে কোভিডের চিকিৎসা খরচ—এমন পরিস্থিতিতে যাঁরা পড়ছেন, তাঁদের জন্যও বিশেষ আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা উচিত। আর যেহেতু করোনার সংক্রমণ এখনো উচ্চ হারেই চলছে, তাই কলকারখানাসহ সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শ্রমজীবীদের মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিতে হবে।

freebangladeshi matrimonial site

আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস

Kabinbd Blog

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here