দীর্ঘ ছুটিতে আপনি কিভাবে সতর্ক থাকবেন বাসা বাড়ি নিয়ে
দীর্ঘ ছুটিতে বাসা-বাড়ি নিয়ে সতর্ক থাকার উপায়:
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় বাসা-বাড়ি নিয়ে সতর্ক থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দীর্ঘ সময় ধরে খালি থাকা অবস্থায় আপনার বাড়িতে চুরি, আগুন, পানি-বিদ্যুতের সমস্যা, কিংবা অন্যান্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এই প্রবন্ধে, আমরা দীর্ঘ ছুটিতে বাসা-বাড়ি নিয়ে সতর্ক থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস শেয়ার করবো:
১. প্রতিবেশীদের জানান:
- দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর আগে আপনার প্রতিবেশীদের জানিয়ে যান।
- তাদের আপনার মোবাইল নম্বর এবং জরুরী যোগাযোগের ব্যক্তির নম্বর দিয়ে যান।
- ছুটির সময় আপনার বাড়িতে কে থাকবে, থাকলে তাদের তথ্যও প্রতিবেশীদের জানিয়ে দিন।
- প্রতিবেশীদের অনুরোধ করুন যেন তারা মাঝে মাঝে আপনার বাড়ির দিকে নজর রাখে এবং কোন অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করলে আপনাকে জানায়।
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় আপনার প্রতিবেশীদের জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে তারা আপনার বাসার দিকে নজর রাখতে পারবে এবং কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।
প্রতিবেশীদের জানানোর কয়েকটি উপায়:
- সরাসরি বলুন: আপনার প্রতিবেশীদের সরাসরি মুখোমুখি দেখা করে জানিয়ে দিন যে আপনি দীর্ঘ ছুটিতে বেরোচ্ছেন।
- চিঠি লিখুন: আপনার প্রতিবেশীদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে তাতে আপনার ভ্রমণের তারিখ, ফিরে আসার সম্ভাব্য তারিখ, জরুরী যোগাযোগের তথ্য ইত্যাদি লিখে দিন।
- ফোন করুন: আপনার প্রতিবেশীদের ফোন করে জানিয়ে দিন।
- ডোর হ্যাঙ্গার ব্যবহার করুন: আপনার দরজার হাতলে “দীর্ঘ ছুটিতে বেরিয়েছি। জরুরী বিষয়ে [আপনার মোবাইল নম্বর]” লেখা একটি ডোর হ্যাঙ্গার ঝুলিয়ে দিন।
- ইমেইল পাঠান: যদি আপনার প্রতিবেশীদের ইমেইল থাকে, তাহলে তাদের একটি ইমেইল পাঠিয়ে জানিয়ে দিন।
- সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন: আপনার এলাকার ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন।
কী বলবেন:
- আপনার নাম ও ঠিকানা
- আপনি কখন থেকে কখন পর্যন্ত ছুটিতে থাকবেন
- আপনার জরুরী যোগাযোগের তথ্য (মোবাইল নম্বর, ইমেইল ইত্যাদি)
- আপনার বাসায় কে থাকবে (যদি থাকে)
- আপনার প্রতিবেশীদের কী করার অনুরোধ করছেন (যেমন: মাঝে মাঝে বাসার দিকে নজর রাখা, কোন অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করলে আপনাকে জানানো)
অতিরিক্ত টিপস:
- আপনার প্রতিবেশীদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন।
- মাঝে মাঝে তাদের সাথে দেখা করুন এবং কথা বলুন।
- তাদের বাড়িতে কোন সমস্যা হলে সাহায্য করুন।
- এতে করে তারা আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল হবে এবং আপনার বাসার দিকে নজর রাখতে আরও বেশি আগ্রহী হবে।
উপসংহার:
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় আপনার প্রতিবেশীদের জানানো একটি সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে করে আপনার বাসা-বাড়ি নিরাপদ থাকবে এবং আপনি মনোরম ছুটি কাটাতে পারবেন।
২. মূল্যবান জিনিসপত্র সাবধানে রাখুন:
- দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় সোনা, রুপো, মূল্যবান পাথর, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র ইত্যাদি মূল্যবান জিনিসপত্র বাসায় রেখে যাবেন না।
- যদি সম্ভব হয়, তাহলে এগুলো ব্যাংকের লকারে রেখে যান।
- না হলে, এগুলো নিরাপদ জায়গায় লুকিয়ে রাখুন।
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় মূল্যবান জিনিসপত্র সাবধানে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, চুরি, আগুন, পানি-বিদ্যুতের সমস্যা, কিংবা অন্যান্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মূল্যবান জিনিসপত্র সাবধানে রাখার জন্য কিছু টিপস:
১. বাসায় রাখবেন না:
- দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় সোনা, রুপো, মূল্যবান পাথর, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র ইত্যাদি মূল্যবান জিনিসপত্র বাসায় রেখে যাবেন না।
- যদি সম্ভব হয়, তাহলে এগুলো ব্যাংকের লকারে রেখে যান।
- না হলে, এগুলো নিরাপদ জায়গায় লুকিয়ে রাখুন।
২. লুকিয়ে রাখার নিরাপদ জায়গা:
- মূল্যবান জিনিসপত্র লুকিয়ে রাখার জন্য বিছানার ম্যাট্রেসের নিচে, ফ্রিজের ভেতর, পোশাকের মধ্যে, বইয়ের মধ্যে, টয়লেটের ফ্লাশ ট্যাঙ্কের ভেতর ইত্যাদি নিরাপদ জায়গা ব্যবহার করতে পারেন।
- তবে, লুকানোর জায়গাটি এমন হতে হবে যাতে চোর সহজেই খুঁজে না পায়।
৩. বিকল্প ব্যবস্থা:
- যদি আপনার বাসায় ব্যাংকের লকার না থাকে, তাহলে আপনি নিকটবর্তী ব্যাংকে লকার ভাড়া করতে পারেন।
- এছাড়াও, আপনি আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র বন্ধু বা আত্মীয়ের কাছে রেখে যেতে পারেন।
৪. তালিকা তৈরি করুন:
- আপনার মূল্যবান জিনিসপত্রের একটি তালিকা তৈরি করুন।
- তালিকায় জিনিসের নাম, বর্ণনা, মূল্য ইত্যাদি উল্লেখ করুন।
- ছুটি থেকে ফিরে এসে আপনার জিনিসপত্রের সাথে তালিকাটি মিলিয়ে দেখুন।
৫. বীমা করুন:
- আপনার মূল্যবান জিনিসপত্রের জন্য বীমা করিয়ে রাখুন।
- বীমা থাকলে চুরি, আগুন, পানি-বিদ্যুতের ক্ষয়ক্ষতি ইত্যাদির ক্ষেত্রে আপনি ক্ষতিপূরণ পাবেন।
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো মেনে চললে আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র নিরাপদ থাকবে।
৩. বিদ্যুৎ ও গ্যাস বন্ধ করে দিন:
- বাসা থেকে বের হওয়ার আগে মেইন সুইচ বন্ধ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিন।
- গ্যাসের চুলার নব বন্ধ করে দিন।
- এটি করলে আগুন লাগার ঝুঁকি কমে যাবে।
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাস বন্ধ করে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিদ্যুৎ ও গ্যাস চালু থাকলে বিভিন্ন ধরণের বিপদ ঘটতে পারে।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস বন্ধ করে দেওয়ার কারণ:
- আগুন লাগার ঝুঁকি কমে: বিদ্যুৎ ও গ্যাস চালু থাকলে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে, বাসায় কেউ না থাকলে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ চালু থাকলে বিদ্যুৎ লাইনে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগে যেতে পারে। গ্যাস চুলার নব খোলা থাকলেও গ্যাস লিক হয়ে আগুন লাগতে পারে।
- বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অপচয় রোধ হয়: দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাস বন্ধ করে দিলে অ unnecessary বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অপচয় রোধ করা যায়। এতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল কমে যাবে।
- বিদ্যুৎ ও গ্যাসের যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমে: দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ ও গ্যাস চালু থাকলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস বন্ধ করার উপায়:
- বিদ্যুতের মেইন সুইচ: বাসা থেকে বের হওয়ার আগে মেইন সুইচ বন্ধ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিন।
- গ্যাসের চুলার নব: গ্যাসের চুলার নব বন্ধ করে দিন।
- গ্যাস মিটারের নব: যদি আপনার বাসায় গ্যাস মিটার থাকে, তাহলে মিটারের নব বন্ধ করে দিন।
অতিরিক্ত টিপস:
- বাসা থেকে বের হওয়ার আগে সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ করে দিন।
- ফ্রিজের দরজা খোলা রেখে যাবেন না।
- বাসায় কেউ থাকলে তাদের বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহারে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়ে যান।
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাস বন্ধ করে দেওয়া একটি সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে করে আপনার বাসা-বাড়ি নিরাপদ থাকবে এবং আপনি মনোরম ছুটি কাটাতে পারবেন।
৪. জলের নল বন্ধ করে দিন:
- দীর্ঘ ছুটিতে বের হওয়ার আগে সকল জলের নল বন্ধ করে দিন।
- এতে করে পানির অপচয় রোধ হবে এবং পানি জমে বাসায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় সকল জলের নল বন্ধ করে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, খোলা নল থাকলে পানির অপচয় হতে পারে এবং পানি জমে বাসায় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
জলের নল বন্ধ করে দেওয়ার কারণ:
- পানির অপচয় রোধ হয়: দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় জলের নল বন্ধ করে দিলে অ unnecessary পানির অপচয় রোধ করা যায়। এতে পানি বিল কমে যাবে।
- বাসায় পানি জমে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমে: খোলা নল থাকলে পানি জমে বাসার মেঝে, দেয়াল, আসবাবপত্র ইত্যাদিতে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে, বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিও বাসায় জমতে পারে।
- পানির পাইপ ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি কমে: শীতকালে তাপমাত্রা কমে গেলে পানির পাইপে জমা পানি বরফ হয়ে পাইপ ফেটে যেতে পারে।
জলের নল বন্ধ করার উপায়:
- বাসা থেকে বের হওয়ার আগে সকল জলের নল বন্ধ করে দিন।
- শৌচালয়ের ফ্লাশ ট্যাঙ্কের নল বন্ধ করে দিন।
- ওয়াশিং মেশিন ও ডিশওয়াশারের নল বন্ধ করে দিন।
- বাগানের জলসেচের নল বন্ধ করে দিন।
- যদি আপনার বাসায় সুইমিংপুল থাকে, তাহলে সুইমিংপুলের নল বন্ধ করে দিন।
অতিরিক্ত টিপস:
- বাসা থেকে বের হওয়ার আগে টয়লেটের ট্যাঙ্ক ফাঁকা করে দিন।
- ওয়াশিং মেশিন ও ডিশওয়াশারের ভেতরের পানি ফেলে দিন।
- বাসায় কেউ থাকলে তাদের জল ব্যবহারে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়ে যান।
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় জলের নল বন্ধ করে দেওয়া একটি সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে করে আপনার পানি বিল কমবে, বাসায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমবে এবং পরিবেশ রক্ষা করা যাবে।
৫. দরজা-জানালা ভালো করে বন্ধ করে দিন:
- বাসা থেকে বের হওয়ার আগে সকল দরজা-জানালা ভালো করে বন্ধ করে দিন।
- যদি সম্ভব হয়, তাহলে দরজায় তালা লাগিয়ে দিন।
- জানালার গ্লাস যেন ভাঙা না থাকে তা খেয়াল রাখুন।
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় দরজা-জানালা ভালো করে বন্ধ করে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, খোলা দরজা-জানালা থাকলে চুরি, ডাকাতি, আগুন, পানি, ঝড়-বৃষ্টি ইত্যাদির বিপদ ঘটতে পারে।
দরজা-জানালা ভালো করে বন্ধ করে দেওয়ার কারণ:
- চুরি ও ডাকাতির ঝুঁকি কমে: খোলা দরজা-জানালা থাকলে চোর বা ডাকাত সহজেই বাসায় ঢুকতে পারে এবং আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে যেতে পারে।
- আগুন লাগার ঝুঁকি কমে: খোলা জানালা থাকলে বাইরে থেকে আগুনের আঁচ বাসায় ঢুকতে পারে এবং আগুন লেগে যেতে পারে।
- পানি, ঝড়-বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি রোধ হয়: খোলা দরজা-জানালা থাকলে বৃষ্টির পানি, ঝড়ের তীব্র বাতাস, ধুলোবালি ইত্যাদি বাসায় ঢুকে বাসার আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।
- পোকামাকড় ও প্রাণীর প্রবেশ রোধ করে: খোলা দরজা-জানালা দিয়ে পোকামাকড়, ইঁদুর, সাপ ইত্যাদি প্রাণী বাসায় ঢুকতে পারে।
দরজা-জানালা ভালো করে বন্ধ করার উপায়:
- বাসা থেকে বের হওয়ার আগে সকল দরজা-জানালা ভালো করে বন্ধ করে দিন।
- দরজার তালা লাগিয়ে দিন।
- যদি সম্ভব হয়, তাহলে দরজায় চেইন লাগিয়ে দিন।
- জানালার শাটার বন্ধ করে দিন।
- যদি সম্ভব হয়, তাহলে জানালায় গ্রিল লাগিয়ে দিন।
- বাসার বাইরের আলো বন্ধ করে দিন।
অতিরিক্ত টিপস:
- বাসার বাইরের দিকে ক্যামেরা স্থাপন করুন।
- বাসার আশেপাশে সাবধান থাকুন।
- যদি আপনার বাসায় দীর্ঘদিন কেউ না থাকে, তাহলে মাঝে মাঝে বাসায় এসে দেখে যান।
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় দরজা-জানালা ভালো করে বন্ধ করে দেওয়া একটি সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে করে আপনার বাসা-বাড়ি নিরাপদ থাকবে এবং আপনি মনোরম ছুটি কাটাতে পারবেন।
৬. ঘর পরিষ্কার করে রাখুন:
- বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ঘর পরিষ্কার করে রাখুন।
- ময়লা-আবর্জনা ফেলে দিন।
- এতে করে পোকামাকড় ও জীবাণু জন্মানোর সম্ভাবনা কমে যাবে।
ঘর পরিষ্কার রাখা শুধু সুন্দর দেখানোর জন্যই নয়, বরং আমাদের স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঘর পরিষ্কার রাখার কিছু গুরুত্ব:
- স্বাস্থ্যকর পরিবেশ: নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করলে ধুলোবালি, ময়লা, জীবাণু ইত্যাদি দূর হয় এবং বাসায় পরিবেশ তৈরি হয়। এতে করে আমরা বিভিন্ন রোগ-বালাই থেকে মুক্ত থাকতে পারি।
- মানসিক প্রশান্তি: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মন ভালো থাকে এবং মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়।
- দক্ষতা বৃদ্ধি: নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করলে আমাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
- সময় ও অর্থ সাশ্রয়: নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করলে পরে বড় ধরনের পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয় না। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়।
- সৌন্দর্য বৃদ্ধি: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘর দেখতে সুন্দর লাগে এবং মনকে ভালো লাগায়।
ঘর পরিষ্কার রাখার কিছু টিপস:
- নিয়মিত পরিষ্কার করুন: প্রতিদিন কিছুক্ষণ সময় বের করে ঘর পরিষ্কার করুন। এতে করে ঘর পরিষ্কার রাখা সহজ হবে এবং বেশি পরিশ্রম করতে হবে না।
- একবারে বেশি কাজ করবেন না: ঘরের সবকিছু একবারে পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন না। বরং, একবারে একটি জায়গা বা একটি কাজ করে পরিষ্কার করুন।
- উপরে থেকে নীচে পরিষ্কার করুন: ঘর পরিষ্কার করার সময় উপরের দিক থেকে নীচের দিকে পরিষ্কার করুন। এতে করে ধুলোবালি নীচে পড়ে যাবে এবং আবার ঘর ময়লা হয়ে যাবে না।
- যে জিনিসগুলো ব্যবহার করেন না, সেগুলো সরিয়ে ফেলুন: ঘরে অ unnecessary জিনিসপত্র থাকলে তা ঘর নোংরা ও অগোছালো করে তোলে। তাই, যে জিনিসগুলো ব্যবহার করেন না, সেগুলো সরিয়ে ফেলুন।
- জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখুন: ব্যবহারের পর জিনিসপত্র সঠিক জায়গায় সাজিয়ে রাখুন। এতে করে ঘর পরিষ্কার ও গোছানো থাকবে।
- ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করুন: ঘরে ময়লা জমতে দেবেন না। নিয়মিত ময়লা ফেলে ঘর পরিষ্কার রাখুন।
- ঘরের আলো-বাতাস ঢুকতে দিন: নিয়মিত জানালা খুলে ঘরে আলো-বাতাস ঢুকতে দিন। এতে করে ঘর পরিষ্কার ও মনোরম থাকবে।
ঘর পরিষ্কার রাখা একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া। নিয়মিত সময় করে ঘর পরিষ্কার করলে ঘর পরিষ্কার ও সুন্দর রাখা যাবে এবং আমরা সুস্থ ও মানসিকভাবে প্রশান্ত থাকতে পারব।
৭. নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
- সিসিটিভি ক্যামেরা: আপনার বাসার বাইরে ও ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করুন। এতে করে আপনি যেকোনো সময় আপনার বাড়ির ভেতর ও বাইরের অবস্থা দেখতে পাবেন।
- সেকিউরিটি অ্যালার্ম: আপনার বাসায় সেকিউরিটি অ্যালার্ম স্থাপন করুন। দরজা-জানালা খোলার চেষ্টা করলে বা ঘরে অপ্রবেশকারী প্রবেশ করলে অ্যালার্ম বেজে উঠবে।
- মোশন সেন্সর লাইট: আপনার বাসার বাইরে মোশন সেন্সর লাইট স্থাপন করুন। কেউ যখন বাসার কাছে আসবে তখন লাইট জ্বলে উঠবে।
- ধোঁয়া ও আগুন নির্বাপক: আপনার বাসায় ধোঁয়া ও আগুন নির্বাপক রাখুন। আগুন লাগলে এটি ব্যবহার করে আগুন নেভানো যাবে।
৮. বীমা:
- আপনার বাসার জন্য বীমা করিয়ে রাখুন।
- বীমা থাকলে চুরি, আগুন, পানি-বিদ্যুতের ক্ষয়ক্ষতি ইত্যাদির ক্ষেত্রে আপনি ক্ষতিপূরণ পাবেন।
৯. প্রতিবেশীদের সাহায্য নিন:
- দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় আপনার প্রতিবেশীদের সাহায্য নিন।
- তাদের অনুরোধ করুন যেন তারা মাঝে মাঝে আপনার বাড়ির দিকে নজর রাখে এবং কোন অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করলে আপনাকে জানায়।
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় প্রতিবেশীদের সাহায্য নেওয়া একটি ভালো উপায়। প্রতিবেশীরা আপনার বাসা-বাড়ি ও সম্পত্তির প্রতি নজর রাখতে পারে এবং আপনার অনুপস্থিতিতে কোন সমস্যা হলে আপনাকে জানাতে পারে।
প্রতিবেশীদের সাহায্য নেওয়ার কিছু সুবিধা:
- নিশ্চিন্তে ছুটি কাটাতে পারবেন: প্রতিবেশীরা আপনার বাসা-বাড়ি ও সম্পত্তির প্রতি নজর রাখলে আপনি নিশ্চিন্তে ছুটি কাটাতে পারবেন।
- চুরি, ডাকাতি রোধে সাহায্য করবে: প্রতিবেশীরা সতর্ক থাকলে চুরি, ডাকাতি ইত্যাদি ঘটতে পারে না।
- আগুন, পানি, ঝড়-বৃষ্টির সময় সাহায্য করবে: যদি আপনার অনুপস্থিতিতে আগুন, পানি, ঝড়-বৃষ্টি ইত্যাদি বিপদ ঘটে, তাহলে প্রতিবেশীরা দ্রুত সাহায্য করতে পারবে।
- জিনিসপত্রের যত্ন নেবে: আপনি যদি কিছু জিনিসপত্র বাসায় রেখে যান, তাহলে প্রতিবেশীরা সেগুলোর যত্ন নিতে পারবে।
- পোষা প্রাণীর যত্ন নেবে: আপনার যদি পোষা প্রাণী থাকে, তাহলে প্রতিবেশীরা তাদের খাওয়াদাওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদির যত্ন নিতে পারবে।
- বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবে: প্রতিবেশীদের সাহায্য নেওয়ার মাধ্যমে তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
প্রতিবেশীদের সাহায্য নেওয়ার কিছু টিপস:
- ছুটিতে যাওয়ার আগে প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলুন।
- আপনার ছুটির পরিকল্পনা সম্পর্কে তাদের জানান।
- আপনার বাড়ির চাবি তাদের কাছে রেখে যান।
- আপনার জরুরি যোগাযোগের তথ্য তাদের দিন।
- যদি সম্ভব হয়, তাদের জন্য একটি ছোট্ট উপহার রেখে যান।
- ছুটি থেকে ফিরে এসে তাদের ধন্যবাদ জানান।
মনে রাখবেন: প্রতিবেশীদের সাহায্য নেওয়ার সময় তাদের সাথে সৎ ও বিশ্বস্ত থাকুন।
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় প্রতিবেশীদের সাহায্য নেওয়া একটি ভালো উপায়। এতে করে আপনি নিশ্চিন্তে ছুটি কাটাতে পারবেন এবং আপনার বাসা-বাড়ি ও সম্পত্তি নিরাপদ থাকবে।
১০. চোরদের জন্য বার্তা:
- আপনার বাসার বাইরে ও ভেতরে “সতর্ক! এই বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপিত আছে” লেখা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রাখুন।
- এতে করে চোররা ভয় পেয়ে আপনার বাড়িতে চুরি করতে আসবে না।
উপসংহার:
দীর্ঘ ছুটিতে বেরোনোর সময় উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো মেনে চললে আপনার বাসা-বাড়ি নিরাপদ থাকবে।
মনে রাখবেন: নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত টিপস:
- ছুটিতে বেরোনোর সময় আপনার বাসার চাবি কাউকে দেবেন না।
- আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা সম্পর্কে কাউকে বিস্তারিতভাবে জানাবেন না।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ভ্রমণের খবর শেয়ার করবেন না।
- ছুটি থেকে ফিরে এসে দেখুন আপনার বাসার দরজা-জানালা ভাঙা বা খোলা আছে কিনা।
- কোন অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করলে থানায় অভিযোগ করুন।
Online Marriage Media Chittagong
আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস