ধূমপানের পর নামাজ আদায় করা যাবে কি না ?
ধূমপান একটি বিতর্কিত বিষয়, বিশেষ করে যখন নামাজের সাথে সম্পর্কিত হয়। ধূমপানকারীরা প্রায়শই জিজ্ঞাসা করেন যে ধূমপানের পর তারা কি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য, আমাদের ধূমপান এবং নামাজের সাথে এর সম্পর্ক সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে হবে।
ধূমপান কি হারাম?
ইসলামে ধূমপান স্পষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে, বেশিরভাগ আলেমই মনে করেন যে এটি মাকরুহ (অপছন্দনীয়) কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং অন্যদের জন্য বিরক্তিকর গন্ধ সৃষ্টি করে। কিছু আলেম আরও কঠোর মতামত পোষণ করেন এবং ধূমপানকে হারাম বলে মনে করেন, কারণ এটি শরীরকে ক্ষতি করে, যা ইসলামে নিষিদ্ধ। ধূমপান সরাসরি হারাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে, বেশিরভাগ আলেমই মনে করেন যে এটি মাকরুহ (অপছন্দনীয়) কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং অন্যদের জন্য বিরক্তিকর গন্ধ সৃষ্টি করে। কিছু আলেম আরও কঠোর মতামত পোষণ করেন এবং ধূমপানকে হারাম বলে মনে করেন কারণ এটি শরীরকে ক্ষতি করে, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
ধূমপানের কিছু কারণে এটি হারাম বা মাকরুহ হতে পারে:
- স্বাস্থ্যের ক্ষতি: ধূমপান ক্যান্সার, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। ইসলামে শরীরকে ক্ষতি করা নিষিদ্ধ।
- অন্যদের ক্ষতি: ধূমপানের দ্বিতীয় ধোঁয়া অন্যদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য। ইসলামে অন্যদের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
- অপচয়: ধূমপান অর্থের অপচয়, কারণ এটি একটি অপ্রয়োজনীয় পণ্য যা শুধুমাত্র ক্ষতি করে। ইসলামে অপচয়কে উৎসাহিত করা হয় না।
- অপবিত্রতা: ধূমপান মুখ এবং গলায় অপবিত্রতা সৃষ্টি করে, যা নামাজের পবিত্রতার জন্য ক্ষতিকর।
ধূমপানের পরিবর্তে, মুসলমানদের উচিত এমন কাজে সময় এবং অর্থ ব্যয় করা যা তাদের স্বাস্থ্য এবং অন্যদের জন্য উপকারী।
উল্লেখ্য: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে। এটি কোনো আইনি বা ধর্মীয় পরামর্শ হিসেবে বিবেচিত হবে না। ধূমপান সম্পর্কে আরও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পেতে আপনার স্থানীয় মসজিদের ইমামের সাথে পরামর্শ করা উ ।
ধূমপান কি নামাজকে অকার্যকর করে তোলে?
ধূমপান সরাসরি নামাজকে অকার্যকর করে তোলে না। তবে, ধূমপানের কিছু প্রভাব নামাজ আদায়কে কঠিন বা অস্বস্তিকর করে তুলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ধূমপান মুখে এবং গলায় দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে, যা অন্যদের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে এবং একাগ্রতা বজায় রাখা কঠিন করে তুলতে পারে। উপরন্তু, ধূমপান শ্বাসকষ্ট এবং কাশির কারণ হতে পারে, যা রুকু এবং সিজদাহের মতো নামাজের শারীরিক অঙ্গভঙ্গিগুলি করা কঠিন করে তুলতে পারে। ধূমপান সরাসরি নামাজকে অকার্যকর করে তোলে না। তবে, ধূমপানের কিছু প্রভাব নামাজ আদায়কে কঠিন বা অস্বস্তিকর করে তুলতে পারে।
ধূমপানের কিছু প্রভাব যা নামাজ আদায়কে প্রভাবিত করতে পারে:
- মুখ এবং গলায় দুর্গন্ধ: ধূমপান মুখ এবং গলায় অপবিত্রতা এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে, যা অন্যদের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে এবং একাগ্রতা বজায় রাখা কঠিন করে তুলতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট এবং কাশি: ধূমপান শ্বাসকষ্ট এবং কাশির কারণ হতে পারে, যা রুকু এবং সিজদাহের মতো নামাজের শারীরিক অঙ্গভঙ্গিগুলি করা কঠিন করে তুলতে পারে।
- অস্বস্তি এবং বিক্ষিপ্ততা: ধূমপানের কারণে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে, যা নামাজের সময় অস্বস্তি এবং বিক্ষিপ্ততা সৃষ্টি করতে পারে।
ধূমপানের পর নামাজ আদায়ের পূর্বে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে নেতিবাচক প্রভাবগুলি প্রশমিত হয়:
- অজু পুনরায় করুন: ধূমপান মুখ এবং গলায় অপবিত্রতা সৃষ্টি করে, তাই নামাজের আগে অজু পুনরায় করা গুরুত্বপূর্ণ।
- মুখ এবং দাঁত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন: মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে এবং নামাজের সময় একাগ্রতা বজায় রাখতে মুখ এবং দাঁত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- গোসল করুন (যদি প্রয়োজন হয়): যদি আপনি মনে করেন যে ধূমপানের গন্ধ আপনার শরীরে লেগে গেছে, তাহলে নামাজের আগে গোসল করা উ ।
- পরিষ্কার কাপড় পরুন: নামাজের জন্য পরিষ্কার এবং সুগন্ধি কাপড় পরুন যাতে ধূমপানের গন্ধ অন্যদের বিরক্ত না করে।
ধূমপান ত্যাগ করা নামাজের জন্য সর্বোত্তম সমাধান। ধূমপানের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং নামাজের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকুন। নিয়মিত ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।
উল্লেখ্য: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে। এটি কোনো আইনি বা ধর্মীয় পরামর্শ হিসেবে বিবেচিত হবে না। ধূমপান এবং নামাজ সম্পর্কে আরও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পেতে আপনার স্থানীয় মসজিদের ইমামের সাথে পরামর্শ করা উ ।
ধূমপানের পর নামাজ আদায় করার আগে কি করতে হবে?
ধূমপানের পর নামাজ আদায় করার আগে যা করতে হবে:
ধূমপান সরাসরি নামাজকে অকার্যকর করে না। তবে, নামাজের পবিত্রতা ও একাগ্রতা বজায় রাখার জন্য ধূমপানের পর কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:
১. অজু পুনরায় করুন: ধূমপান মুখ এবং গলায় অপবিত্রতা সৃষ্টি করে। নামাজের পূর্বে অবশ্যই অজু পুনরায় করতে হবে।
২. মুখ ও দাঁত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন: মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে এবং নামাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখার জন্য মুখ ও দাঁত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
৩. গোসল করুন (যদি প্রয়োজন হয়): ধূমপানের গন্ধ যদি শরীরে লেগে থাকে বলে মনে হয়, তাহলে নামাজের আগে গোসল করা উ ।
৪. পরিষ্কার কাপড় পরুন: নামাজের জন্য পরিষ্কার ও সুগন্ধি কাপড় পরুন যাতে ধূমপানের গন্ধ অন্যদের বিরক্ত না করে।
৫. নিয়মিত ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপানের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং নামাজের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকুন। নিয়মিত ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত টিপস:
- নামাজের পূর্বে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন যাতে ধূমপানের প্রভাব কমে যায়।
- নামাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখার জন্য ওজু করার সময় দোয়া পড়ুন এবং নামাজের পূর্বে কিছুক্ষণ দুআ ও যিকির করুন।
- ধূমপানের বিকল্প হিসেবে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্রহণ করুন, যেমন হাঁটা, দৌড়ানো, বা সাঁতার কাটা।
মনে রাখবেন:
- এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে। এটি কোনো আইনি বা ধর্মীয় পরামর্শ হিসেবে বিবেচিত হবে না।
- ধূমপান এবং নামাজ সম্পর্কে আরও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পেতে আপনার স্থানীয় মসজিদের ইমামের সাথে পরামর্শ করা উ ।
যদি আপনি ধূমপান করেন এবং নামাজ আদায় করতে চান, তাহলে নামাজের পূর্বে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা উচিত:
অজু পুনরায় করুন: ধূমপান মুখ এবং গলায় অপবিত্রতা সৃষ্টি করতে পারে, তাই নামাজের আগে অজু পুনরায় করা গুরুত্বপূর্ণ।
অজু পুনরায় করার পদ্ধতি:
ধাপ ১: নিয়্যত
- মনে মনে নিয়্যত করুন যে আপনি অজু পুনরায় করছেন।
- “بسم الله الرحمن الرحيم” (বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম) বলুন।
ধাপ ২: মুখ ধোয়া
- দুই হাত দিয়ে পানি তুলে মুখের ভেতর ও বাইরে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- মুখের ভেতরের অংশ, দাঁত, জিহ্বা এবং মাড়ি ভালো করে পরিষ্কার করুন।
- নাকের ভেতরের অংশে পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।
- দাড়ির অংশে পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন (যদি থাকে)।
ধাপ ৩: হাত ধোয়া
- কনুই সহ দুই হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- আঙ্গুলের ফাঁকগুলো ভালো করে পরিষ্কার করুন।
- হাতের পেছনের অংশ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
ধাপ ৪: মাথা মাসেহ করা
- ভেজা হাত দিয়ে মাথার সামনের অংশ থেকে শুরু করে পেছনের অংশ পর্যন্ত মাসেহ করুন।
- চুলের গোড়া ভালো করে ভেজান।
ধাপ ৫: পা ধোয়া
- দুই পা টাখনু সহ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- পা’র আঙ্গুলের ফাঁকগুলো ভালো করে পরিষ্কার করুন।
- পা’র পেছনের অংশ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
ধাপ ৬: শেষ কাজ
- দুই হাত দিয়ে পানি তুলে কানের ভেতরের অংশ এবং কানের উপরের অংশ ভালো করে পরিষ্কার করুন।
- গলা ও ঘাড়ের উপরের অংশ ভালো করে মাসেহ করুন।
- পানি দিয়ে পা’র পাতা ভালো করে মাসেহ করুন।
মনে রাখবেন:
- অজু করার সময় প্রতিটি অঙ্গ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- অজু করার সময় শান্ত থাকুন এবং মনোযোগ দিন।
- অজু করার পর দোয়া পড়ুন।
মুখ এবং দাঁত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন: মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে এবং নামাজের সময় একাগ্রতা বজায় রাখতে মুখ এবং দাঁত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
মুখ এবং দাঁত ভালো করে ধুয়ে ফেলার পদ্ধতি:
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র:
- টুথব্রাশ
- টুথপেস্ট
- পানি
ধাপ ১: টুথব্রাশ ভিজিয়ে টুথপেস্ট লাগান।
- টুথব্রাশ ভালো করে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে নিন।
- মটরশুটির দানার সমান পরিমাণে টুথপেস্ট টুথব্রাশে লাগান।
ধাপ ২: দাঁত ব্রাশ করুন।
- দাঁত ব্রাশ করার জন্য নরম ব্রিসলযুক্ত টুথব্রাশ ব্যবহার করুন।
- ব্রাশটি ৪৫ ডিগ্রি কোণে ধরে দাঁতের উপরের অংশ, নিচের অংশ এবং ভেতরের অংশ ভালো করে ব্রাশ করুন।
- প্রতিটি অংশে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ব্রাশ করুন।
- জিহ্বাও ভালো করে ব্রাশ করুন।
ধাপ ৩: মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- মুখে পানি দিয়ে ভালো করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- মুখের ভেতরের অংশ, দাঁত এবং জিহ্বা থেকে সব টুথপেস্ট ও খাবারের কণা ধুয়ে ফেলুন।
ধাপ ৪: টুথব্রাশ ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন।
- ব্যবহারের পর টুথব্রাশ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন।
- টুথব্রাশ প্রতি তিন মাস অন্তর পরিবর্তন করুন।
অতিরিক্ত টিপস:
- দিনে দুইবার, সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করুন।
- খাওয়ার পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন, বিশেষ করে যদি আপনি চিনিযুক্ত বা আঠালো খাবার খান।
- ফ্লস ব্যবহার করে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের কণা পরিষ্কার করুন।
- নিয়মিতভাবে ডেন্টিস্টের কাছে চেকআপ করান।
মনে রাখবেন:
- ভালো মুখের স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- দাঁত ব্রাশ করার সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখুন।
আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।
গোসল করুন: যদি আপনি মনে করেন যে ধূমপানের গন্ধ আপনার শরীরে লেগে গেছে, তাহলে নামাজের আগে গোসল করা উ ।
গোসল করার পদ্ধতি:
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র:
- পানি
- তোয়ালে
- সাবান/শ্যাম্পু (ঐচ্ছিক)
ধাপ ১: নিয়্যত
- মনে মনে নিয়্যত করুন যে আপনি গোসল করছেন।
- “بسم الله الرحمن الرحيم” (বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম) বলুন।
ধাপ ২: শরীর ভেজানো
- সারা শরীর ভালো করে ভেজিয়ে নিন।
- মাথা থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত পানি ঢেলে দিন।
ধাপ ৩: সাবান/শ্যাম্পু ব্যবহার করা (ঐচ্ছিক)
- যদি চান, সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে সারা শরীর ধুয়ে ফেলুন।
- চুল, মুখ, বগল, পা এবং যৌনাঙ্গ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
ধাপ ৪: ধুয়ে ফেলা
- সাবান/শ্যাম্পু ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- শরীর থেকে সব পানি ধুয়ে ফেলুন।
ধাপ ৫: মুখ ও নাক পরিষ্কার করা
- মুখ ও নাক ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- নাকের ভেতরের অংশে পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।
ধাপ ৬: মাথা মাসেহ করা
- ভেজা হাত দিয়ে মাথার সামনের অংশ থেকে শুরু করে পেছনের অংশ পর্যন্ত মাসেহ করুন।
- চুলের গোড়া ভালো করে ভেজান।
ধাপ ৭: কান ও ঘাড় পরিষ্কার করা
- কানের ভেতরের অংশ এবং কানের উপরের অংশ ভালো করে পরিষ্কার করুন।
- গলা ও ঘাড়ের উপরের অংশ ভালো করে মাসেহ করুন।
ধাপ ৮: পা ধোয়া
- দুই পা টাখনু সহ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- পা’র আঙ্গুলের ফাঁকগুলো ভালো করে পরিষ্কার করুন।
- পা’র পেছনের অংশ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
ধাপ ৯: শেষ কাজ
- গোসল শেষে দোয়া পড়ুন।
- পরিষ্কার ও শুষ্ক তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে ফেলুন।
মনে রাখবেন:
- গোসল করার সময় প্রতিটি অঙ্গ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- গোসল করার সময় শান্ত থাকুন এবং মনোযোগ দিন।
- গোসল শেষে দোয়া পড়ুন।
পরিষ্কার কাপড় পরুন: নামাজের জন্য পরিষ্কার এবং সুগন্ধি কাপড় পরুন যাতে ধূমপানের গন্ধ অন্যদের বিরক্ত না করে।
নিয়মিত ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপানের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং নামাজের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকুন। নিয়মিত ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।
নিয়মিত ধূমপান ত্যাগ করুন: সুস্থ জীবনের দিকে এগিয়ে যান!
ধূমপান ত্যাগ করা একটি কঠিন কাজ হতে পারে, তবে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সর্বোত্তম সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি। ধূমপান ত্যাগ করলে আপনার শরীরে অসাধারণ পরিবর্তন আসবে, যার মধ্যে রয়েছে:
তাত্ক্ষণিক সুবিধা:
- ২০ মিনিট: আপনার রক্তচাপ এবং পালস হার কমে যাবে।
- ১২ ঘন্টা: কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা কমে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে।
- ৪৮ ঘন্টা: গন্ধ ও স্বাদের অনুভূতি উন্নত হবে।
- ৭২ ঘন্টা: শ্বাস-নালীর প্রদাহ কমে যাবে।
দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা:
- হৃদরোগ, স্ট্রোক, এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে।
- ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত হবে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
- এনার্জি বৃদ্ধি পাবে।
- দাঁত, মাড়ি এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
- খরচ কমবে।
- আপনার পরিবার ও প্রিয়জনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
ধূমপান ত্যাগ করতে সাহায্য করার জন্য অনেক সংস্থান উপলব্ধ রয়েছে:
- চিকিৎসক: আপনার ডাক্তার আপনাকে ধূমপান ত্যাগের পরিকল্পনা তৈরি করতে এবং ওষুধ বা থেরাপির বিকল্পগুলি সম্পর্কে পরামর্শ দিতে সাহায্য করতে পারেন।
- হটলাইন: ব্র্যাক টু ব্র্যাক (0800-88-99-77) এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (09611-88-99-77) সহ অনেক হটলাইন রয়েছে যা পরামর্শ এবং সমর্থন প্রদান করে।
- অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট: ধূমপান ত্যাগ করতে সাহায্য করার জন্য অনেক অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট রয়েছে।
- সহায়তা গোষ্ঠী: ধূমপান ত্যাগকারীদের জন্য অনেক সহায়তা গোষ্ঠী রয়েছে যেখানে আপনি অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন যারা একই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
কিছু টিপস যা আপনাকে ধূমপান ত্যাগ করতে সাহায্য করতে পারে:
- একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করুন এবং তার জন্য প্রস্তুতি নিন।
- আপনার ট্রিগারগুলি চিহ্নিত করুন এবং সেগুলি এড়িয়ে চলুন।
- স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি দিয়ে ধূমপান প্রতিস্থাপন করুন, যেমন ব্যায়াম বা ধ্যান।
- পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকে সমর্থন নিন।
- প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিন।
উপসংহার
ধূমপান ইসলামে একটি অপছন্দনীয় কাজ এবং নামাজের পবিত্রতা ও একাগ্রতার জন্য ক্ষতিকর। ধূমপানের পর নামাজ আদায় করা বৈধ হলেও, নামাজের পূর্বে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত যাতে ধূমপানের নেতিবাচক প্রভাবগুলি প্রশমিত হয়।
ধূমপানের পর নামাজ আদায় করার আগে করণীয়:
- অজু পুনরায় করুন
- মুখ এবং দাঁত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন
- গোসল করুন (যদি প্রয়োজন হয়)
- পরিষ্কার কাপড় পরুন
- নিয়মিত ধূমপান ত্যাগ করুন
মনে রাখবেন:
- নিয়মিত ধূমপান ত্যাগ করা সর্বোত্তম সমাধান।
- ধূমপানের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
- নামাজের পবিত্রতা এবং একাগ্রতা বজায় রাখুন।
আরও তথ্যের জন্য:
- আপনার স্থানীয় মসজিদের ইমামের সাথে পরামর্শ করুন।
- নির্ভরযোগ্য ইসলামী ওয়েবসাইট বা বইগুলি পড়ুন।
- ইসলামী বিষয়ে জ্ঞান রাখা ব্যক্তিদের সাথে কথা বলুন।
Best Bangladeshi Matrimony Sites 2022
Best Bangladeshi Matrimony Sites in the world
আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস