লকডাউন মানে কি প্রেমেও তালা?

0
71
kabinbd
kabinbd
kabinbd
kabinbd

লকডাউন মানে প্রেমে তালা – এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির উপর।

যারা মনে করেন লকডাউন প্রেমেও তালা:

  • শারীরিক স্পর্শের অভাব: লকডাউনের কারণে প্রিয়জনের সাথে দেখা করা, স্পর্শ করা কঠিন।
  • যোগাযোগের অভাব: ব্যস্ত জীবনে অনেক সময় মানুষ প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ করতে পারে না।
  • মানসিক চাপ: লকডাউনের মানসিক চাপ প্রেমের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
  • অনিশ্চয়তা: ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা প্রেমের সম্পর্কের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

যারা মনে করেন লকডাউন প্রেমে তালা নয়:

  • ভালোবাসার গভীরতা: সত্যিকারের ভালোবাসা লকডাউনের মতো বাধা অতিক্রম করতে পারে।

    ভালোবাসার গভীরতা কতটা? এই প্রশ্নের উত্তর সহজ নয়। কারণ, ভালোবাসা একটি বিষয়গত অনুভূতি।

    ভালোবাসার গভীরতা অনুভব করা যায়:

    • প্রিয়জনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করার মাধ্যমে: যখন আমরা প্রিয়জনের জন্য নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করি, তখন আমাদের ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ পায়।
    • প্রিয়জনের জন্য কষ্ট সহ্য করার মাধ্যমে: যখন আমরা প্রিয়জনের জন্য কষ্ট সহ্য করি, তখন আমাদের ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ পায়।
    • প্রিয়জনের জন্য ঝুঁকি নেওয়ার মাধ্যমে: যখন আমরা প্রিয়জনের জন্য ঝুঁকি নিই, তখন আমাদের ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ পায়।
    • প্রিয়জনের জন্য প্রতিশ্রুতি দানের মাধ্যমে: যখন আমরা প্রিয়জনের জন্য সারাজীবনের সঙ্গী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিই, তখন আমাদের ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ পায়।

    ভালোবাসার গভীরতা অনুভূত হয়:

    • প্রিয়জনের সাথে থাকার সময়: যখন আমরা প্রিয়জনের সাথে থাকি, তখন আমরা অসীম সুখ অনুভব করি।
    • প্রিয়জনের জন্য কিছু করার সময়: যখন আমরা প্রিয়জনের জন্য কিছু করি, তখন আমরা অপার তৃপ্তি অনুভব করি।
    • প্রিয়জনের কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার সময়: যখন আমরা প্রিয়জনের কাছ থেকে ভালোবাসা পাই, তখন আমরা অতুলনীয় আনন্দ অনুভব করি।

    ভালোবাসার গভীরতা ব্যক্ত করা যায়:

    • কথার মাধ্যমে: “আমি তোমাকে ভালোবাসি” এই কথা বলার মাধ্যমে আমরা আমাদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারি।
    • কাজের মাধ্যমে: প্রিয়জনের জন্য ভালো কিছু করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারি।
    • উপহারের মাধ্যমে: প্রিয়জনকে উপহার দিয়ে আমরা আমাদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারি।

    ভালোবাসার গভীরতা অনন্ত:

    • সত্যিকারের ভালোবাসা কখনোই শেষ হয় না।
    • ভালোবাসা আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে।
    • ভালোবাসা আমাদের জীবনকে অর্থবহ করে তোলে।

    মনে রাখবেন:

    • ভালোবাসা একটি অমূল্য রত্ন।
    • ভালোবাসাকে যত্ন সহকারে লালন করা উচিত।
    • ভালোবাসাকে জীবনের সর্বোচ্চ শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

    আশা করি এই তথ্য আপনার কাজে আসবে।

  • যোগাযোগের নতুন মাধ্যম: প্রযুক্তির সাহায্যে প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব।
  • সম্পর্কের উন্নতি: লকডাউনে একসাথে সময় কাটানোর সুযোগ তৈরি হয়।
  • পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি: লকডাউনের কঠিন সময়ে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়।

লকডাউনের সময় প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে:

  • নিয়মিত যোগাযোগ: প্রিয়জনের সাথে নিয়মিত ফোন, মেসেজ, ভিডিও কলে কথা বলুন।
  • সম্পর্কের জন্য সময় বের করা: একসাথে সময় কাটানোর জন্য সময় বের করুন।
  • নতুন নতুন জিনিস একসাথে করা: নতুন নতুন জিনিস একসাথে করে সম্পর্ককে আকর্ষণীয় রাখুন।
  • ধৈর্য ধরা: লকডাউনের সময় ধৈর্য ধরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মনে রাখবেন:

  • লকডাউন একটি অস্থায়ী পরিস্থিতি।
  • ভালোবাসার মাধ্যমে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।

আশা করি এই তথ্য আপনার কাজে আসবে।

লকডাউনের দ্বিতীয় দফায় ঢুকে পড়েছি আমরা। ঠিক কতদিন এই গৃহবন্দি দশায় কাটাতে হবে, আর গৃহবন্দি দশা ঘুচলেও স্বাভাবিক জীবন ফের কবে থেকে শুরু করা যাবে, তার কোনও নিশ্চয়তাই নেই এখন। জীবন এখন পুরোপুরি বাড়ি-কেন্দ্রিক, আর এতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। দেখাসাক্ষাৎ হওয়া ঘুচে গেছে, আশু দেখা হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। এরকম পরিস্থিতিতে অনেক প্রেমিক-প্রেমিকাই মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন। দিনের পর দিন দেখা না হলে অপরপক্ষ সম্পর্কটার কথা ভুলে যাবেন কিনা, সম্পর্কের টান কমে যাবে কিনা, এমন নানা সংশয় কাজ করতে থাকে।

কিন্তু অহেতুক ভয় পাবেন না। আপনাদের মধ্যে যদি ভালোবাসার সম্পর্ক সত্যিই থেকে থাকে, তা হলে কয়েক মাসের সাক্ষাৎহীনতা তার উপর কোনও প্রভাবই ফেলতে পারবে না। বিশেষ করে মোবাইল ফোন আর ভিডিও চ্যাটের এই যুগে দূরত্ব নিমেষে উড়ে যায়! তবু আপনাদের সুবিধের জন্য কিছু সহজ টিপস দিলাম আমরা। মেনে দেখুন, আপনাদের বাঁধন থাকবে একইরকম মজবুত।

ভার্চুয়াল ডেটিং
আমরা জানি ফোনে নিয়মিত কথা বা ভিডিও চ্যাট হয় আপনাদের। এবার সেটাকেই একধাপ এগিয়ে ভার্চুয়াল ডেটিং ট্রাই করে দেখুন। কোনও একদিন স্পেশাল দেখা করতে গেলে যেমন আগেভাগে প্ল্যান করেন, এটাও অবিকল তাই, কিন্তু পুরোটাই ভার্চুয়াল। সুন্দর করে সাজগোজ করুন, সামনে কফি বা কিছু হালকা স্ন্যাকস রাখুন, তারপর এমনভাবে কথা বলুন যেন আপনারা মুখোমুখি বসে গল্প করছেন। দূরত্ব আর আছে বলে মনেই হবে না।

শেয়ার করুন মুহূর্তের আনন্দ
শুধু একসঙ্গে সময় কাটানোই নয়, বাকি সময়টা আপনারা কীভাবে জুড়ে রয়েছেন তার উপরেও সম্পর্কের ধরন নির্ভর করে। সময়ে-অসময়ে পছন্দের গান ওঁকে পাঠিয়ে দিন হোয়াটসঅ্যাপে, নতুন যে রান্নাটা করলেন তার ছবি পাঠান। একইভাবে উনিও পাঠাবেন আপনাকে। মনে হবে একসঙ্গেই আছেন আপনারা।

দিনের শেষের ফোনকল
সারাদিনের শেষে শুতে যাওয়ার আগে ভালোবাসার মানুষকে একটা ফোন করেন নিশ্চয়ই? এই ফোনটা স্পেশাল হোক। আপনার সারাদিনের খবর দিন, ওঁর খুঁটিনাটি জানতে চান। নতুন চিন্তাভাবনা, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা শেয়ার করুন। পরের দিনের জন্য আলাদা উৎসাহ পাবেন দু’জনেই।

বাড়াবাড়ি নয়
সম্পর্ক সফল করার মূল কথা হল প্রেমের সুতোটা অটুট রাখা কিন্তু বাড়াবাড়ি না করে। সারাক্ষণ, মিনিটে মিনিটে ফোন করবেন না। তাতে অপরপক্ষের মানুষটি অস্বস্তিতে পড়বেন, বিরক্তিবোধ দেখা দেওয়াও বিচিত্র নয়। ওঁকে স্পেস দিন, নিজেরও স্বাধীনতা বজায় রাখুন।

নেগেটিভ চিন্তা নয়
দেখা হচ্ছে না বলেই নেগেটিভ চিন্তাভাবনা মাথায় দানা বাঁধতে দেবেন না। এমন হতেই পারে, একদিন ভালো করে কথা হল না, কিন্তু তার জন্য আপনার মনে যেন নিরাপত্তাহীনতা জাঁকিয়ে বসতে না পারে। মনের পজিটিভ ভাব ধরে রাখুন, স্বাভাবিক থাকুন। তাতে আপনার প্রেমের সম্পর্কও সুন্দর থাকবে সারাজীবন।

Kabinbd Blog

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here