এই শীতে ত্বক ভালো রাখবেন যেভাবে
শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করলে শীতকালে ত্বক ভালো রাখা সম্ভব:
পরিষ্কার:
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার টিপস
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস যা আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে, আপনার বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রকে আরামদায়ক রাখতে এবং আপনার মানসিক অবস্থার উন্নতি করতে সহায়তা করতে পারে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা উন্নত করার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:
ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:
- নিয়মিত হাত ধোয়া: খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহার করার পর এবং বাইরে থেকে আসার পরে আপনার হাত সাবান এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- নিয়মিত স্নান: প্রতিদিন স্নান করুন বা গোসল করুন।
- দাঁত ব্রাশ করা: দিনে দুবার, সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে আপনার দাঁত ব্রাশ করুন।
- চুল পরিষ্কার করা: আপনার চুল নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন, বিশেষ করে যদি এটি তৈলাক্ত বা ঘর্মাক্ত হয়।
- পোশাক পরিষ্কার করা: নিয়মিত আপনার পোশাক পরিবর্তন করুন এবং নোংরা হলে ধুয়ে ফেলুন।
পরিবেশগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:
- আপনার বাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার করুন: ঝাড়ু দিন, মুছুন এবং ধুলো পরিষ্কার করুন।
- আপনার রান্নাঘর পরিষ্কার রাখুন: খাবার তৈরি করার পরে এবং খাওয়ার পরে আপনার রান্নাঘর পরিষ্কার করুন।
- আপনার বাথরুম পরিষ্কার রাখুন: নিয়মিত আপনার বাথরুম পরিষ্কার করুন এবং টয়লেট সিট এবং সিঙ্ক জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
- আপনার আবর্জনা নিয়মিত ফেলুন: আবর্জনা জমা না করে নিয়মিত ফেলুন।
- পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ: পোকামাকড়ের উপদ্রব রোধ করার জন্য পদক্ষেপ নিন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একটি অভ্যাস যা আপনার জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা উচিত। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার মাধ্যমে, আপনি আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা উন্নত করতে পারেন।
- মুখ ধোয়ার জন্য মৃদু ক্লেনজার ব্যবহার করুন।
- গরম পানির পরিবর্তে হালকা গরম বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন।
- দিনে দুবারের বেশি মুখ ধোবেন না।
- গোসলের জন্য মৃদু সাবান ব্যবহার করুন।
- গোসলের পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
আর্দ্রতা:
আর্দ্রতা বলতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বোঝায়। এটি বাতাসের শুষ্কতা বা ভেজা ভাব নির্ধারণ করে। আর্দ্রতা শতাংশ হিসেবে প্রকাশ করা হয়, যা বাতাসে বিদ্যমান জলীয় বাষ্পের পরিমাণ এবং একই তাপমাত্রায় বাতাসে ধারণ করতে পারে এমন সর্বোচ্চ জলীয় বাষ্পের পরিমাণের অনুপাত।
আর্দ্রতার গুরুত্ব:
- মানুষের জন্য:
- 50% থেকে 60% আর্দ্রতা মানুষের জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক।
- কম আর্দ্রতা শুষ্ক ত্বক, চুলকানি, ঠোঁট ফাটা, এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
- বেশি আর্দ্রতা ঘাম, অস্বস্তি, এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি হতে পারে।
- পরিবেশের জন্য:
- আর্দ্রতা বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, এবং কুয়াশার মতো আবহাওয়ার ঘটনাকে প্রভাবিত করে।
- উচ্চ আর্দ্রতা জীববৈচিত্র্যকে প্রভাবিত করে, কারণ কিছু উদ্ভিদ এবং প্রাণী নির্দিষ্ট আর্দ্রতার স্তরে টিকে থাকতে পারে।
আর্দ্রতা পরিমাপ:
- হাইড্রোমিটার: এটি একটি যন্ত্র যা বাতাসের আর্দ্রতা পরিমাপ করে।
- সাইক্রোমিটার: এটি দুটি থার্মোমিটার ব্যবহার করে বাতাসের আর্দ্রতা পরিমাপ করে।
আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ:
- ডিহিউমিডিফায়ার: এটি বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প অপসারণ করে আর্দ্রতা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
- হিউমিডিফায়ার: এটি বাতাসে জলীয় বাষ্প যোগ করে আর্দ্রতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।
আর্দ্রতা সম্পর্কে আরও জানতে:
- আর্দ্রতা (বাংলা উইকিপিডিয়া):
- আর্দ্রতা কীভাবে কাজ করে:
- প্রচুর পানি পান করুন।
- ত্বকে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভেসলিন ব্যবহার করতে পারেন।
- শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
সূর্য থেকে সুরক্ষা:
সূর্যের আলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে অতিরিক্ত সূর্যের আলো ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। ত্বকের ক্যান্সার, বলিরেখা, ব্রণ এবং সূর্যের পোড়া সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সূর্য থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:
-
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। SPF 30 বা তার বেশি সহ ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং প্রতি দুই ঘন্টা পর পর বা সাঁতার কাটা বা ঘামের পরে পুনরায় প্রয়োগ করুন।
-
সূর্যের আলো সীমিত করুন। সূর্যের আলো সবচেয়ে তীব্র হওয়ার সময়, দুপুরের দিকে, বাইরে থাকা এড়িয়ে চলুন।
-
ঢাকা পোশাক পরুন। দীর্ঘ হাতা এবং প্যান্ট সহ ঢিলেঢালা,
-
টুপি এবং রোদচশমা পরুন। আপনার মুখ, কান এবং ঘাড় রক্ষা করার জন্য একটি প্রশস্ত-ব্রিমযুক্ত টুপি পরুন এবং আপনার চোখ রক্ষা করার জন্য সানগ্লাস পরুন।
-
শিশুদের রক্ষা করুন। শিশুদের ত্বক সূর্যের আলোর প্রতি বিশেষভাবে সংবেদনশীল। তাদেরকে সানস্ক্রিন, ঢিলেঢালা পোশাক এবং টুপি দিয়ে রক্ষা করুন।
সূর্য থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, আপনি ত্বকের ক্ষতি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারেন।
আরও তথ্যের জন্য:
- বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি:
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা:
- বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- SPF 30 বা তার বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- প্রতি দুই ঘন্টা পর পর সানস্ক্রিন লাগান।
- টুপি, स्कार्फ এবং গ্লাভস ব্যবহার করুন।
খাদ্যাভ্যাস:
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য টিপস
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে সুস্থ ওজন বজায় রাখতে, দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং আপনাকে আপনার সর্বোত্তম বোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:
-
প্রচুর ফল এবং শাকসবজি খান। ফল এবং শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি ভাল উৎস। এগুলি ক্যালোরিতেও কম, যা আপনাকে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে।
-
পুরো শস্য বেছে নিন। পুরো শস্য ফাইবারের একটি ভাল উৎস, যা আপনাকে পূর্ণ বোধ করতে এবং হজম স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। এগুলি ভিটামিন এবং খনিজগুলিরও একটি ভাল উৎস।
-
চর্বিহীন বা কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন উৎস বেছে নিন। চর্বিহীন বা কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন উৎসের মধ্যে রয়েছে মুরগির মাংস, মাছ, শিম এবং ডিম। এগুলি প্রোটিনের একটি ভাল উৎস, যা পেশী তৈরি এবং মেরামত করতে সহায়তা করে।
-
স্বাস্থ্যকর চর্বি খান। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে রয়েছে অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং বীজে পাওয়া যায় এমন চর্বি। এগুলি আপনার হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এবং আপনাকে পূর্ণ বোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
-
প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি পানীয় এবং অতিরিক্ত চিনি সীমিত করুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি পানীয় এবং অতিরিক্ত চিনি ক্যালোরিতে বেশি হতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধি, দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
-
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানি আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এবং সারা দিন হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে।
এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, আপনি একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন যা আপনাকে আপনার সর্বোত্তম বোধ করতে সহায়তা করবে।
এখানে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যের জন্য একটি নমুনা খাবার পরিকল্পনা রয়েছে:
ব্রেকফাস্ট:
- ওটমিল ফল এবং বাদাম দিয়ে
- টোস্টের পুরো গমের রুটি মাখন এবং কলা দিয়ে
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- প্রচুর ফল ও শাকসবজি খান।
- ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার খান।
- ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকুন।
কিছু টিপস:
- গরম পানিতে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন।
- শুষ্ক ত্বকের জন্য তৈরি প্রসাধনী ব্যবহার করুন।
- ত্বকের যদি কোনো সমস্যা হয় ত্বক বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে শীতকালে ত্বক ভালো রাখা সম্ভব। ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য নিয়মিত রুটিন তৈরি করুন এবং সেটি মেনে চলুন।
শীতকালে প্রায় সবারই ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। এ সময়ে ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হয়।
ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজ। ময়েশ্চারাইজ শীতের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে করে মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তবে যত্ন ছাড়া এ সময় ত্বকের জ্যোতি ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
আসুন জেনে নেই শীতে ত্বকের যত্ন-
১. শীতে ত্বকের যত্নে ভালো ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডোসমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন।
২. শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায়ে মাঝে মাঝে মুখে পানির ঝাপটা দিন। সহজে ত্বক শুষ্ক হবে না।
৩. শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
৪. গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকবেন। অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
৫. গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
৬. কখনোই জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না।
৭. শীতকালে কখনোই ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয় এবং চুল ভেঙে যায়।
আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস