সেহরি খেয়ে নিয়ত না করলে রোজা হবে কি?
ভূমিকা:
রমজান মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রোজা রাখা। রোজা রাখার জন্য সেহরি খাওয়া সুন্নাহ হলেও, নিয়ত করা ফরজ। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, সেহরি খেয়ে নিয়ত না করলে রোজা কি হবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে সেহরি এবং নিয়তের গুরুত্ব বুঝতে হবে।
সেহরি:
সেহরি হলো রমজান মাসের ভোরবেলায় সুবহে সাদিকের আগে যে খাবার গ্রহণ করা হয়। হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সেহরি খাওয়ার উপর জোর দিয়েছেন এবং এটিকে বরকতপূর্ণ বলেছেন। সেহরি খাওয়ার ফলে দিনের বেলায় শরীরে শক্তি সঞ্চার হয় এবং রোজার কষ্ট সহজে সহ্য করা যায়। সেহরি হলো রমজান মাসে ভোরবেলায় সুবহে সাদিকের আগে যে খাবার গ্রহণ করা হয়। হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সেহরি খাওয়ার উপর জোর দিয়েছেন এবং এটিকে বরকতপূর্ণ বলেছেন। সেহরি খাওয়ার ফলে দিনের বেলায় শরীরে শক্তি সঞ্চার হয় এবং রোজার কষ্ট সহজে সহ্য করা যায়।
সেহরির গুরুত্ব:
- হাদিসের নির্দেশ: রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা সেহরি খাও, কারণ সেহরিতে বরকত রয়েছে।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
- শারীরিক দিক: সেহরি খাওয়ার ফলে দিনের বেলায় শরীরে শক্তি সঞ্চার হয় এবং রোজার কষ্ট সহজে সহ্য করা যায়।
- মানসিক দিক: সেহরি খাওয়ার ফলে মানসিকভাবেও শক্তি পাওয়া যায় এবং রোজা রাখার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
সেহরির সময়:
সেহরির সময় শুরু হয় সূর্যাস্তের পর থেকে এবং শেষ হয় সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত। সুবহে সাদিক হলো ভোরের আলো ফোটার কিছুক্ষণ আগের সময়।
সেহরির খাবার:
সেহরিতে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে শক্তি সঞ্চার করতে পারে। যেমন:
- খেজুর
- রুটি
- ডিম
- দুধ
- শাকসবজি
- ফল
সেহরির কিছু আদব:
- সেহরি খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করা।
- পরিমিত খাবার খাওয়া।
- দোয়া করে খাবার শুরু এবং শেষ করা।
- সেহরির পরপর ঘুমাতে না যাওয়া।
সেহরি হলো রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেহরি খাওয়ার ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে রোজা রাখার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়। তাই রমজান মাসে নিয়মিত সেহরি খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
নিয়ত:
নিয়ত হলো কোন কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করার ইচ্ছা পোষণ করা। রোজা রাখার জন্য নিয়ত করা ফরজ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতের বেলায় রোজার নিয়ত করেনি, তার কোন রোজা নেই” (তিরমিযী)।
ইসলামে, নিয়ত হলো কোনো কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করার ইচ্ছা পোষণ করা। সাধারণভাবে যেকোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে নিয়তের গুরুত্ব অপরিসীম। রোজা রাখার ক্ষেত্রেও নিয়ত ফরজ, অর্থাৎ বাধ্যতামূলক।
নিয়তের সংজ্ঞা:
নিয়ত শব্দটি আরবি শব্দ। এর অর্থ মনের ইচ্ছা বা সংকল্প। রোজার ক্ষেত্রে নিয়ত হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখার মনের ইচ্ছা।
নিয়তের গুরুত্ব:
- হাদিসের নির্দেশ: রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতের বেলায় রোজার নিয়ত করেনি, তার কোন রোজা নেই” (তিরমিযী)।
- নিয়ত ছাড়া কোনো আমল গৃহীত হয় না: ইসলামী শريعةতে কোনো আমল করার আগে ঐ কাজের নিয়ত করা আবশ্যক। নিয়ত ছাড়া কোনো আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।
নিয়ত করার পদ্ধতি:
- নিয়ত করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ বাধ্যতামূলক নয়।
- মনে মনে রোজা রাখার ইচ্ছা করলেই নিয়ত হয়ে যাবে।
- তবে, নিম্নলিখিত আরবি দোয়াটি পড়ে নিয়ত করা উত্তম:
اللَّهُمَّ إِنِّي نَوَيْتُ صَوْمَ غَدٍ عَنْ أَدَاءِ فَرْضِ رَمَضَانَ هَذِهِ السَّنَةِ لِلهِ تَعَالَىٰ
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি এই বছরের রমজান মাসের ফরজ রোজা আদায়ের উদ্দেশ্যে আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করলাম।”
নিয়ত করার সময়:
কখন নিয়ত করবেন:
- রমজান মাসের প্রতিদিন রাতের বেলায় সেহরি খাওয়ার পর থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময়ে নিয়ত করা যাবে।
- তবে, সবচেয়ে উত্তম সময় হলো সেহরি খাওয়ার পরপরই নিয়ত করা।
- যদি ভুল করে সেহরির সময় নিয়ত না করে ফেলা হয়, তাহলে সূর্যোদয়ের আগেও নিয়ত করা যাবে।
কিভাবে নিয়ত করবেন:
- নিয়ত করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ বাধ্যতামূলক নয়।
- মনে মনে রোজা রাখার ইচ্ছা করলেই নিয়ত হয়ে যাবে।
- তবে, নিম্নলিখিত আরবি দোয়াটি পড়ে নিয়ত করা উত্তম:
اللَّهُمَّ إِنِّي نَوَيْتُ صَوْمَ غَدٍ عَنْ أَدَاءِ فَرْضِ رَمَضَانَ هَذِهِ السَّنَةِ لِلهِ تَعَالَىٰ
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি এই বছরের রমজান মাসের ফরজ রোজা আদায়ের উদ্দেশ্যে আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করলাম।”
নিয়ত করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- ইচ্ছাকৃতভাবে রোজার নিয়ত না করলে রোজা হবে না।
- প্রতিদিন রোজার জন্য আলাদা আলাদা নিয়ত করতে হবে।
- নিয়তের সময় মনে মনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখার ইচ্ছা রাখতে হবে।
১) নিয়তের সংজ্ঞা:
নিয়ত হলো মনে মনে কোনো কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করার ইচ্ছা পোষণ করা।
২) নিয়তের গুরুত্ব:
- নিয়ত ছাড়া কোনো আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।
- রোজা রাখার জন্য নিয়ত করা ফরজ।
- হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতের বেলায় রোজার নিয়ত করেনি, তার কোন রোজা নেই” (তিরমিযী)।
৩) নিয়ত করার সময়:
- রমজান মাসের প্রতিদিন রাতের বেলায় সেহরি খাওয়ার পর থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময়ে নিয়ত করা যাবে।
- তবে, সবচেয়ে উত্তম সময় হলো সেহরি খাওয়ার পরপরই নিয়ত করা।
- যদি ভুল করে সেহরির সময় নিয়ত না করে ফেলা হয়, তাহলে সূর্যোদয়ের আগেও নিয়ত করা যাবে।
৪) নিয়ত করার পদ্ধতি:
- নিয়ত করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ বাধ্যতামূলক নয়।
- মনে মনে রোজা রাখার ইচ্ছা করলেই নিয়ত হয়ে যাবে।
- তবে, নিম্নলিখিত আরবি দোয়াটি পড়ে নিয়ত করা উত্তম:
اللَّهُمَّ إِنِّي نَوَيْتُ صَوْمَ غَدٍ عَنْ أَدَاءِ فَرْضِ رَمَضَانَ هَذِهِ السَّنَةِ لِلهِ تَعَالَىٰ
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি এই বছরের রমজান মাসের ফরজ রোজা আদায়ের উদ্দেশ্যে আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করলাম।”
৫) নিয়ত করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- ইচ্ছাকৃতভাবে রোজার নিয়ত না করলে রোজা হবে না।
- প্রতিদিন রোজার জন্য আলাদা আলাদা নিয়ত করতে হবে।
- নিয়তের সময় মনে মনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখার ইচ্ছা রাখতে হবে।
৬) নিয়ত সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা:
- কিছু লোক মনে করে যে, রোজা রাখার জন্য সাহারি খাওয়া ওয়াজিব। এটি ভুল ধারণা। সাহারি খাওয়া সুন্নাহ।
- কিছু লোক মনে করে যে, রাতের বেলায় ঘুম থেকে উঠে সাহারি না খেলে রোজার নিয়ত করা যায় না। এটিও ভুল ধারণা। রাতের বেলায় ঘুম থেকে উঠে সাহারি না খেলেও দিনের বেলায় রোজার নিয়ত করা যাবে।
উপসংহার:
নিয়ত হলো রোজার একটি মৌলিক শর্ত। সঠিক নিয়ত ছাড়া রোজা আদায় হয় না। তাই রোজা রাখার আগে মনে মনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ করা উচিত।
উপসংহার:
নিয়ত হলো রোজার একটি মৌলিক শর্ত। সঠিক নিয়ত ছাড়া রোজা আদায় হয় না। তাই রোজা রাখার আগে মনে মনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ করা উচিত।
- রোজার জন্য সবচেয়ে উত্তম সময় হলো সূর্যাস্তের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত।
- যদি ভুল করে সেহরির সময় নিয়ত না করে ফেলা হয়, তাহলে সূর্যোদয়ের আগেও নিয়ত করা যাবে।
- ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে সেহরি খেয়ে নিয়ত করলেও চলবে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- ইচ্ছাকৃতভাবে রোজার নিয়ত না করলে রোজা হবে না।
- প্রতিদিন রোজার জন্য আলাদা আলাদা নিয়ত করতে হবে।
নিয়ত হলো রোজার একটি মৌলিক শর্ত। সঠিক নিয়ত ছাড়া রোজা আদায় হয় না। তাই রোজা রাখার আগে মনে মনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ করা উচিত।
সেহরি খেয়ে নিয়ত না করলে রোজা:
- মতামতের ভিন্নতা:
এই বিষয়ে ইসলামী আলেমদের মধ্যে মতামতের ভিন্নতা রয়েছে। কিছু আলেম মনে করেন, সেহরি খেয়ে নিয়ত না করলে রোজা হবে না। কারণ, নিয়ত করাই রোজার মূল ভিত্তি। অন্যদিকে, কিছু আলেম মনে করেন, সেহরি খাওয়াই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। তাই সেহরি খেলে আর আলাদাভাবে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই।সেহরি খেয়ে নিয়ত না করলে রোজা হবে কি না, এই বিষয়ে ইসলামী আলেমদের মধ্যে মতামতের ভিন্নতা রয়েছে।
- সঠিক মতামত:
সঠিক মতামত হলো, রমজান মাসে রাতের বেলায় ঘুম থেকে উঠে সেহরি খাওয়াই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। তাই সেহরি খেলে আর আলাদাভাবে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই। তবে, সচেতন থাকা উত্তম। রোজা রাখার ইচ্ছা মনে রেখে সেহরি খেলে নিশ্চিতভাবেই রোজা হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- যদি ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠতে না পারে এবং সেহরি খেতে না পারে, তাহলে দিনের বেলায় রোজার নিয়ত করতে পারবে।
- যদি ভুল করে সেহরির সময় রোজার নিয়ত না করে, তাহলে সূর্যোদয়ের আগে নিয়ত করতে পারবে।
- যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজার নিয়ত না করে, তাহলে তার রোজা হবে না।
কিছু আলেম মনে করেন:
- সেহরি খেয়ে নিয়ত না করলে রোজা হবে না। কারণ, নিয়ত করাই রোজার মূল ভিত্তি।
- রমজান মাসে রাতের বেলায় ঘুম থেকে উঠে সেহরি খাওয়াটাই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত নয়।
- নিয়ত আলাদাভাবে করতে হবে।
অন্যদিকে, কিছু আলেম মনে করেন:
- সেহরি খাওয়াই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত।
- রমজান মাসে রাতের বেলায় ঘুম থেকে উঠে সেহরি খেলে আর আলাদাভাবে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই।
সঠিক মতামত:
সঠিক মতামত হলো, রমজান মাসে রাতের বেলায় ঘুম থেকে উঠে সেহরি খাওয়াই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। তাই সেহরি খেলে আর আলাদাভাবে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই।
তবে, সচেতন থাকা উত্তম:
- রোজা রাখার ইচ্ছা মনে রেখে সেহরি খেলে নিশ্চিতভাবেই রোজা হবে।
- যদি ভুল করে সেহরির সময় রোজার নিয়ত না করে ফেলা হয়, তাহলে সূর্যোদয়ের আগে নিয়ত করা যাবে।
- যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজার নিয়ত না করে, তাহলে তার রোজা হবে না।
সেহরি খেয়ে নিয়ত না করলে রোজা হবে কি না, এই বিষয়ে সঠিক মতামত হলো, সেহরি খাওয়াই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। তবে, সচেতন থাকা উত্তম এবং রোজা রাখার ইচ্ছা মনে রেখে সেহরি খাওয়া উচিত।
উপসংহার:
সেহরি খেয়ে নিয়ত না করলে রোজা হবে কি, এই প্রশ্নের উত্তর হলো, রমজান মাসে রাতের বেলায় সেহরি খাওয়াই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। তবে, সচেতন থাকা উত্তম। রোজা রাখার ইচ্ছা মনে রেখে সেহরি খেলে নিশ্চিতভাবেই রোজা হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- যদি ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠতে না পারে এবং সেহরি খেতে না পারে, তাহলে দিনের বেলায় রোজার নিয়ত করতে পারবে।
- যদি ভুল করে সেহরির সময় রোজার নিয়ত না করে, তাহলে সূর্যোদয়ের আগে নিয়ত করতে পারবে।
- যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজার নিয়ত না করে, তাহলে তার রোজা হবে না।
সেহরি না খেলে রোজা:
সেহরি না খেলেও রোজা হবে। তবে, সেহরি না খাওয়ার ফলে দিনের বেলায় শরীরে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সেহরি খাওয়া সুন্নাহ এবং শারীরিকভাবেও উপকারী।
সেহরি না খেলেও রোজা হবে। তবে, সেহরি না খাওয়ার ফলে দিনের বেলায় শরীরে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সেহরি না খাওয়ার কিছু কারণ:
- ঘুম থেকে উঠতে না পারা
- অসুস্থতা
- ভুল করে সেহরির সময় ঘুমিয়ে পড়া
সেহরি না খেলে রোজার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- সেহরি না খেলে দিনের বেলায় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
- সেহরি না খেলে দিনের বেলায় কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে। তাই দিনের বেলায় অতিরিক্ত কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
- সেহরি না খেলে দিনের বেলায় রোজা ভাঙার ইচ্ছা হতে পারে। তাই রোজার নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জ্ঞান রাখা এবং রোজার ফজিলত সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত।
সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব:
- সেহরি খাওয়ার ফলে দিনের বেলায় শরীরে শক্তি সঞ্চার হয় এবং রোজার কষ্ট সহজে সহ্য করা যায়।
- সেহরি খাওয়ার ফলে মানসিকভাবেও শক্তি পাওয়া যায় এবং রোজা রাখার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
- হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সেহরি খাওয়ার উপর জোর দিয়েছেন এবং এটিকে বরকতপূর্ণ বলেছেন।
সেহরি না খেলেও রোজা হবে। তবে, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সেহরি খাওয়া উচিত।
রোজার নিয়তের সঠিক পদ্ধতি:
- রোজার নিয়ত করার জন্য কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই।
- মনে মনে রোজা রাখার ইচ্ছা করলেই নিয়ত হয়ে যাবে।
- তবে, চাইলে নিম্নলিখিত দুআটি পড়ে নিয়ত করতে পারেন:
اللَّهُمَّ إِنِّي نَوَيْتُ صَوْمَ غَدٍ عَنْ أَدَاءِ فَرْضِ رَمَضَانَ هَذِهِ السَّنَةِ لِلهِ تَعَالَىٰ
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি এই বছরের রমজান মাসের ফরজ রোজা আদায়ের উদ্দেশ্যে আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করলাম।”
ختاماً:
রোজা হলো ইবাদতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রোজার নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জেনে সঠিকভাবে রোজা পালন করা আমাদের কর্তব্য।
অতিরিক্ত তথ্য:
- রমজান মাসের রোজা ফরজ।
- রোজা রাখার জন্য নিয়ত করা ফরজ।
- সেহরি খাওয়া সুন্নাহ।
- সেহরি না খেলেও রোজা হবে।
- ইচ্ছাকৃতভাবে রোজার নিয়ত না করলে রোজা হবে না।
আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস