হঠাৎ আঘাত পেলে করনিয় কি ?
হঠাৎ আঘাত পেলে করণীয় এবং পরিহার করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় রয়েছে:
- তাত্ক্ষণিক যত্ন নেওয়া: আঘাত পেলে তাত্ক্ষণিকভাবে যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি ক্ষতির ধরণ, অগ্রগতি, এবং অবস্থার উপর নির্ভর করতে পারে, তাই এটি জীবনী শখের অবস্থার উপর নির্ভর করতে পারে।তাত্ক্ষণিক যত্ন নেওয়া হলো অপ্রীতিকর অথবা হানিকর ঘটনা বা আপত্তির সময়ে তাড়াতাড়ি উপযোগী করা যাতে কোনও পূর্বাগ্রহ না হোক এবং সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। এটি সামগ্রিকভাবে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সংস্কৃতি করতে সাহায্য করতে পারে। তাত্ক্ষণিক যত্নের কিছু প্রমুখ পদক্ষেপ নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- শান্ত থাকুন: সময়ের সাথে সাথে নিজেকে শান্ত করুন। প্রথমে গভীর শ্বাস নেওয়া এবং হাঁটা বা যোগাযোগ করতে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
- ধীরে ধীরে হোক: সহ্য করতে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য একটি ধীরে ধীরে পথ চয়ন করুন। তাত্ক্ষণিক ক্রিয়া সাধারণভাবে সমস্যার সাথে সামর্থ্য তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে না।
- আত্ম-নিয়ন্ত্রণ প্রশিক্ষণ: আপনি নিজেকে আত্ম-নিয়ন্ত্রণ করতে শেখতে পারেন, যাতে আপনি প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে ঠিকমতো বিচার করতে পারেন। এটি আপনার উচ্ছ্বাসন, প্রতিরোধ এবং সম্পর্কের মাধ্যমে আপনার প্রতিভা এবং শক্তির অবগাহনে সাহায্য করতে পারে।
- সমর্থন প্রাপ্ত করুন: আপনি এবং আপনার প্রিয়জনের মধ্যে সমর্থন এবং সম্পর্ক প্রাপ্ত করতে একটি আপক্ষেপ গুড়ানো সত্ত্বেও সাহায্যকারী হতে পারে। অন্যদের সাথে তাদের প্রতি আপনার চোখ বা পয়েন্ট সম্বোধন করা গুরুত্বপূর্ণ।
- সার্কিট ব্রেকার বোধ করুন: অতিরিক্ত চিন্তা ও জটিল সময়ে অভ্যন্তরিন ক্যাপাসিটি অতিক্রম হতে পারে, এটি নির্বাচন করা এবং একটি সংকোচন তৈরি করা যাতে আপনি নিজেকে সুস্থ বা উচ্ছ্বাসিত অনুভূত করতে পারেন।
এই তাত্ক্ষণিক যত্নের পদক্ষেপগুলি করলে, আপনি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য এবং শারীরিক স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন দিকে সুস্থ হতে সাহায্য করতে পারেন।
- দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া: যদি আঘাত গভীর বা গম্ভীর হয়, অথবা আপনি স্বয়ং সুস্থ অনুভূত না করতে থাকেন, তবে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা পেতে এবং অবস্থার ভাল improvementের জন্য চিকিৎসকে জানাতে হবে।যদি কোনও অসুস্থতা বা দুর্ঘটনা ঘটে এবং তা তাত্ক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন করে, দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রথমত মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের সত্বেও অত্যন্ত জরুরী হতে পারে। নিম্নলিখিত কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়:
- মেডিক্যাল আপাতকালীন সেবা: যদি কোনও অসুস্থতা জোরালে বা জীবনবিপত্তি হতে পারে, তাতে সাধারিত হাসপাতালে চলে যাওয়া উচিত। মেডিক্যাল আপাতকালীন সেবা (Emergency Medical Services – EMS) এটি সাধারণভাবে উপযুক্ত হতে পারে।
- হাসপাতালে চেকআপ করা: যদি সময়ের মধ্যে অসুস্থতা জন্মানো না হয়ে এবং চিকিৎসা প্রয়োজন হয়, তবে হাসপাতালে চেকআপ করা উচিত। হাসপাতালে চেকআপ করা সাধারণভাবে আপনার অসুস্থতা ও চিকিৎসার জন্য উচ্চতর স্তরের যত্ন ও পর্যবেক্ষণ প্রদান করতে সাহায্য করে।
- চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ: মৌখিক অথবা অনলাইনে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং আপনার অসুস্থতা সম্পর্কে বিস্তারিত বোঝান। তার সাথে আপনি চিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাবেন।
- মৌখিক বা অনলাইন ডক্টর সার্ভিস: অনেক সময় হাসপাতালে যাওয়ার জন্য সময় নেই, তবে মৌখিক বা অনলাইন ডক্টরের সার্ভিস অনেক উপযোগী হতে পারে। এই সেবা ব্যবহার করে আপনি ডক্টরের সাথে বৈদ্যুতিন সারাদিন যোগাযোগ করতে পারেন।
- কোভিড-19 বিষয়ে সাবধানতা: যদি কোনও লক্ষণ হয় যা কোভিড-19 সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত হোতে পারে, তবে তাত্ক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠানে জানাতে হবে এবং প্রয়োজনে কোভিড-19 টেস্ট করাতে হতে পারে।
সতর্কতা অবলম্বনে আপনি ও আপনার পরিবারের জন্য সুরক্ষিত এবং যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- সান্ত্বনা এবং সমর্থন: আঘাত পেলার পরে মানসিক স্বাস্থ্যও ভুগততে পারে। এই সময়ে, আপনি সান্ত্বনা এবং সমর্থন অভ্যন্তরীণ এবং বাইরে খুজতে পারেন, যা জীবনকে আরও সহজ করতে সাহায্য করতে পারে।সান্ত্বনা এবং সমর্থন মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি উপায়ে আপনি এবং আপনার পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে পারেন এবং জীবনের ছোট বড় সমস্যা ও চুনট সহ সাম্প্রদায়িক সমস্যার সম্মুখীন হতে সাহায্য করতে পারে।
একটি সান্ত্বনামূলক এবং সমর্থনমূলক বাবস্থা তৈরি করতে নিম্নলিখিত উপায়গুলি বিবেচনা করুন:
- কথা বলা এবং শোনা: আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে শোনা এবং আপনাদের ভাবনা এবং অনুভূতি বলা উচিত। এটি সান্ত্বনা এবং সমর্থন তৈরি করতে সাহায্য করে এবং সমস্যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
- সময় কাটানো: একে অপরের সাথে সময় কাটানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করতে সময় ব্যবহার করতে এবং এটি আপনাদের মধ্যে অনুবাদ এবং সমর্থন তৈরি করতে সাহায্য করে।
- উপস্থাপন এবং সাহায্য: আপনি যদি আপনার পরিবারের কাছে কোনও সমস্যা বা চুনট অনুভূত করেন, তবে তা উপস্থাপন করুন এবং আপনি যদি অন্যের সাথে সামর্থ্যবান হন তবে সাহায্য করুন।
- সান্ত্বনার অবস্থান তৈরি করুন: সান্ত্বনা তৈরি করতে বোধহয় হতে পারে এবং সান্ত্বনা বৃদ্ধি করতে এটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হতে পারে। আপনি একে অপরের জীবনের সুখকে কোনও ছোট বা বড় ক্ষতি করতে চান না, এটি তাদের সঙ্গে সমর্থন এবং সহানুভূতি অনুভূত করতে সাহায্য করে।
- ভালোবাসা এবং আদর: ভালোবাসা এবং আদর একজন ব্যক্তি অথবা পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সমস্যার সমাধানে এবং বিভিন্ন চুনটে সহানুভূতি ও সাহায্য দেওয়াতে সাহায্য করতে পারে।
এই উপায়গুলি ব্যবহার করে আপনি আপনার পরিবারের মধ্যে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য এবং সান্ত্বনা উন্নত করতে পারেন।
- শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম: আপনি আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্রাম নিতে এবং পুনরারম্ভ করতে একটি প্রবন্ধনশীল সময়ের পরে দেখতে পারেন।
- আত্ম-দেখভাল: আপনার নিজেকে ভাল দেখার জন্য আত্ম-দেখভাল করা গুরুত্বপূর্ণ। ধ্যান, মেডিটেশন, ও অন্যান্য আত্ম-দেখভাল প্রথা অনুসরণ করা যেতে পারে।
- পরিবার এবং সামাজিক যোগাযোগ: পরিবার এবং সামাজিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে আঘাত পাওয়ার পরে। প্রিয়জনের সাথে কথা বলা, ভালোবাসা এবং সাথে সময় কাটানো সান্ত্বনা এবং সমর্থন দেওয়া সাহায্য করতে পারে।
এই ধাপগুলি অনুসরণ করা সহজ হতে পারে না, কিন্তু এগুলি সান্ত্বনা এবং সুস্থ পুনরারম্ভে সাহায্য করতে পারে। যদি প্রয়োজন হয়, চিকিৎসকে পরামর্শ নেওয়া হয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
হঠাৎ আঘাত পেলে শরীরের ওই নির্দিষ্ট জায়গায় অতিরিক্ত চাপ পড়লে ফুলে যায়। এ ধরনের আঘাতে যে সমস্যা হয়, তাকে সাধারণত সফট বা নরম টিস্যু ইনজুরি বলে। আঘাত হাত-পায়ের, কোমরের বা শরীরের অন্য জায়গার মাংসপেশিতে, হাড়ে, জয়েন্টে নার্ভ, লিগামেন্টের অবস্থানগত পরিবর্তনের জন্য ব্যথা হয়। আবার কেউ মাথায়ও আঘাত পেতে পারে, যার ফলে বাহ্যিক-অভ্যন্তরীণ দুই ধরনেরই ক্ষতি হতে পারে। একেক জায়গার আঘাতে চিকিৎসার ধরন পরিবর্তিত হয়ে থাকে। সব আঘাতই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু মাথায় আঘাত সব সময় বেশি গুরুত্ব বহন করে।
হাতে-পায়ে আঘাত পেলে
আঘাতপ্রাপ্ত জায়গা ফুলে যায়, প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং সেই অংশটি লাল হয়ে যায় ও গরম থাকে। এটা হয় কোনো দুর্ঘটনায় আঘাত পেলে, খেলাধুলার সময় আঘাত পেলে, মাংসপেশিতে হঠাৎ টান লাগলে কিংবা পা পিছলে পড়ে গেলে। এসব কারণে সফট টিস্যু ইনজুরি হয়। আঘাতের তীব্রতা বেশি হলে হাড় ভেঙে যেতে পারে। হাড় ভেঙে গেছে সন্দেহ হলে অবশ্যই তা এক্সরে করে দেখতে হবে এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসা নিতে হবে।
এমন আঘাতে কী করবেন
আক্রান্ত জায়গায় বরফ ব্যবহার করতে হবে ১৫-২০ মিনিট ধরে। ভেজা গামছার ভেতর বরফ নিয়ে আক্রান্ত অংশে মুড়িয়ে দিন। যদি বেশি ঠান্ডা লাগে, ৩ মিনিট পর উঠিয়ে ফেলুন। শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে আবার ১২-১৪ মিনিট ধরে পেঁচিয়ে রাখুন। আক্রান্ত অংশ ফুলে গেলে ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন, যাতে আর ফুলতে না পারে। আক্রান্ত অংশ বালিশ বা অন্য কিছু দিয়ে উঁচু করে রাখুন, যাতে হৃৎপিণ্ড বরাবর থাকে। এ অবস্থায় হালকা ব্যায়াম, হালকা ম্যাসাজ, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। রোগীকে ৬-৭ দিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, রোগী আবার যেন আঘাত না পায়।
ব্যথা ভালো না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিতে হবে।
মাথায় হঠাৎ আঘাত পেলে কী করবেন
আকস্মিক দুর্ঘটনায় কারও মাথায় আঘাত লাগতে পারে। যেমন ক্ষণিকের ভুলে কোলের শিশু পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনায়, বিশেষ করে মোটরসাইকেলের আরোহীদের মাথায় আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি বেশি।
মাথায় আঘাত পাওয়া রোগীর সঙ্গে অন্য আঘাত থাকতে পারে। যেমন তার ঘাড়ে, কোমরে ইনজুরি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তার নড়াচড়া হতে হবে খুব সীমিত। মাথায় আঘাত পাওয়া কোনো রোগীর ক্ষেত্রে প্রথমে দেখতে হবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছে কি না ঠিকমতো। যদি শ্বাসপ্রশ্বাস ঠিক না থাকে, দেখতে হবে নাকে–মুখে কোনো বাধা আছে কি না। যদি দেখা যায় মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে, জায়গাটি চেপে ধরে বন্ধ করতে হবে। অচেতন রোগীকে বেশি টানাটানি করা হলে হয়তো ঘাড়ে আঘাত পেতে পারে। সেই অবস্থায় তাকে আস্তে আস্তে তুলে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।
মাথায় আঘাত লাগার ফলে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে, সেগুলো হলো মাথাব্যথা, বমি বা বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, খিঁচুনি, অচেতন অবস্থা, দুই চোখের নিচে রক্ত জমে কালো রং ধারণ বা ব্ল্যাক আই ইত্যাদি। অনেকেই মনে করেন, মাথায় আঘাত লাগলেই নিশ্চিত মৃত্যু। ব্যাপারটা আসলে সে রকম নয়। বরং যত দ্রুত সম্ভব, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আঘাতের মাত্রা নির্ণয় এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে ক্ষতির মাত্রা কমবে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাথায় আঘাত লাগার পর রোগীকে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হলেও পরে হঠাৎ অবস্থা জটিল হতে পারে।
কোমরে ব্যথা পেলে
কোমরে ব্যথা পাওয়ার পর হাঁচি অথবা কাশি দিতে গেলে কোমরে ব্যথা লাগতে পারে। কোমরের ব্যথা পায়েও ছড়িয়ে যেতে পারে। আবার অনেক সময় ব্যথা শুধু পায়েই অনুভূত হয়, কোমরে না–ও হতে পারে। হাঁটলে বা কাজ করলে ব্যথা বেড়ে যায়, রাতে ঘুমেরও ব্যাঘাত হয়। অনেক সময় রোগী পায়ে ঝিনঝিন, অবশ ভাব ও দুর্বলতা অনুভব করেন। কোনো কোনো রোগীর কোমর এক দিকে বেঁকে যায় এবং চিত হয়ে শুয়ে পা উঁচু করলে তার ব্যথা অনুভূত হয়।
এ অবস্থায় ভারী জিনিস তোলা নিষেধ এবং শারীরিক ব্যায়াম অবশ্যই বন্ধ থাকবে।
অধ্যাপক ডা. কাজী শামিমুজ্জামান : জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল)