যে  কারণে বিয়ে করা গুরুত্বপূর্ণ।

0
109

বিয়ে করার গুরুত্ব:

বিয়ে একটি সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথা যা দু’জন মানুষকে একত্রিত করে। বিয়ে করার অনেক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ নীচে উল্লেখ করা হলো:

বিয়ে করার গুরুত্ব:

ব্যক্তিগত দিক:

  • সঙ্গী: মানুষ সামাজিক প্রাণী, তাই তাদের জীবনে একজন স্থায়ী সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। বিয়ে একজন সঙ্গী প্রদান করে যার সাথে জীবনের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়া যায়।
  • ভালোবাসা ও সমর্থন: বিয়ে ভালোবাসা, সমর্থন এবং সঙ্গ প্রদান করে।
  • পরিবার: বিয়ের মাধ্যমে একটি পরিবার গঠিত হয়। পরিবার স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং ভালোবাসা প্রদান করে।
  • মানসিক স্বাস্থ্য: গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিয়েকরা অবিবাহিতদের তুলনায় মানসিকভাবে সুস্থ থাকে।
  • আর্থিক সুবিধা: বিয়েকরা অবিবাহিতদের তুলনায় আর্থিকভাবে স্থিতিশীল থাকে।

সামাজিক দিক:

  • সমাজের নীতি-নৈতিকতা: বিয়ে সমাজের নীতি-নৈতিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • সামাজিক দায়িত্ব: বিয়ে সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথা। বিয়ে করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করে।
  • সন্তান জন্মদান ও লালনপালন: বিয়ের মাধ্যমে সন্তান জন্মদান ও লালনপালনের জন্য একটি স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়।

ধর্মীয় দিক:

  • অনেক ধর্মেই বিয়েকে একটি পবিত্র বন্ধন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • বিয়ের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করে।

তবে, বিয়ে করার আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত:

  • বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত কিনা: বিয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি। তাই বিয়ের আগে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে।
  • সঠিক সঙ্গীর নির্বাচন: বিয়ের জন্য সঠিক সঙ্গীর নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • আর্থিক স্থিতিশীলতা: বিয়ের জন্য আর্থিকভাবে প্রস্তুত থাকা উচিত।
  • পরিবারের সম্মতি: বিয়ের জন্য পরিবারের সম্মতি নেওয়া উচিত।

বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তাই বিয়ে করার আগে সব দিক ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

বিয়ে করার কিছু বিকল্প:

  • অবিবাহিত থাকা: যারা বিয়ের জন্য প্রস্তুত নয় বা বিয়ের ইচ্ছা নেই তারা অবিবাহিত থাকতে পারেন।
  • লাইভ-ইন রিলেশনশিপ: কিছু মানুষ বিয়ের পরিবর্তে লাইভ-ইন রিলেশনশিপে থাকতে পছন্দ করেন।
  • সমকামী বিয়ে: কিছু দেশে সমকামী বিয়ে বৈধ।

বিয়ে করা বা না করা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

কোন সিদ্ধান্তই ভুল বা সঠিক নয়।

গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।

সঙ্গী:

  • মানুষ সামাজিক প্রাণী, তাই তাদের জীবনে একজন সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। বিয়ে একজন স্থায়ী সঙ্গী প্রদান করে যার সাথে জীবনের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়া যায়।
  • বিয়ে একজনের জীবনে ভালোবাসা, সমর্থন এবং সঙ্গ প্রদান করে।

পরিবার:

পরিবার হলো একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি সামাজিক একক যাদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক, বৈবাহিক সম্পর্ক, অথবা দত্তক সম্পর্ক থাকে। পরিবারের সদস্যরা সাধারণত একই বাসস্থানে থাকে এবং একই রকমের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অনুসরণ করে।

পরিবারের গুরুত্ব:

  • ভালোবাসা ও সমর্থন: পরিবার সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা, সমর্থন, এবং সঙ্গ প্রদান করে।
  • সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতা: পরিবার সদস্যদের জন্য সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
  • মানসিক স্বাস্থ্য: পরিবার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • সামাজিকীকরণ: পরিবার সন্তানদের সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়া শেখানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • মূল্যবোধ শিক্ষা: পরিবার সন্তানদের নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষা দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য: পরিবার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ ও সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পরিবারের ধরণ:

  • পিতৃতান্ত্রিক পরিবার: পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে পিতা পরিবারের কর্তা হন।
  • মাতৃতান্ত্রিক পরিবার: মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে মাতা পরিবারের কর্তা হন।
  • সমতান্ত্রিক পরিবার: সমতান্ত্রিক পরিবারে পিতা ও মাতা উভয়েই পরিবারের দায়িত্ব ভাগ করে নেন।
  • একক পরিবার: একক পরিবারে একজন ব্যক্তি তার সন্তানদের লালনপালন করেন।
  • মিশ্র পরিবার: মিশ্র পরিবারে বিভিন্ন রকমের সম্পর্ক থাকতে পারে, যেমন পিতৃতান্ত্রিক, মাতৃতান্ত্রিক, সমতান্ত্রিক, একক, ইত্যাদি।

পরিবারের সমস্যা:

  • অর্থনৈতিক সমস্যা: অর্থনৈতিক সমস্যা পরিবারের মধ্যে ঝামেলার কারণ হতে পারে।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: স্বাস্থ্য সমস্যা পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
  • মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা পরিবারের মধ্যে ঝামেলার কারণ হতে পারে।
  • যোগাযোগের সমস্যা: যোগাযোগের অভাব পরিবারের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণ হতে পারে।
  • সম্পর্কের সমস্যা: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পরিবারের সমাধান:

  • খোলামেলা আলোচনা: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত।
  • পারস্পরিক সম্মান: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা উচিত।
  • বিয়ের মাধ্যমে একটি পরিবার গঠিত হয়। পরিবার স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং ভালোবাসা প্রদান করে।
  • সন্তান জন্মদান ও লালনপালনের জন্য বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

সামাজিক দায়িত্ব:

  • বিয়ে সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথা। বিয়ে করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করে।
  • বিয়ে সমাজের নীতি-নৈতিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ধর্মীয় দিক:

  • অনেক ধর্মেই বিয়েকে একটি পবিত্র বন্ধন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • বিয়ের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করে।

মানসিক স্বাস্থ্য:

  • গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিয়েকরা অবিবাহিতদের তুলনায় মানসিকভাবে সুস্থ থাকে।
  • বিয়ে একজনের জীবনে স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা অনুভূতি প্রদান করে যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

অর্থনৈতিক সুবিধা:

  • বিয়েকরা অবিবাহিতদের তুলনায় আর্থিকভাবে স্থিতিশীল থাকে।
  • দু’জন মানুষ একসাথে থাকলে তাদের আর্থিক খরচ কম হয়।

এছাড়াও, বিয়ে করার আরও অনেক কারণ থাকতে পারে।

তবে, বিয়ে করার আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত:

  • বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত কিনা: বিয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি। তাই বিয়ের আগে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে।
  • সঠিক সঙ্গীর নির্বাচন: বিয়ের জন্য সঠিক সঙ্গীর নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • আর্থিক স্থিতিশীলতা: বিয়ের জন্য আর্থিকভাবে প্রস্তুত থাকা উচিত।
  • পরিবারের সম্মতি: বিয়ের জন্য পরিবারের সম্মতি নেওয়া উচিত।

বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তাই বিয়ে করার আগে সব দিক ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

ঢাকা: বিয়েকে বর্তমানে সেকেলে প্রথা বলে মনে করছেন অনেকেই। তরুণ-তরুণীরা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অবিবাহিত’ থাকতে রক্ষণশীল ও ‘পছন্দসই বিয়ের’ সন্ধান করছেন।

কিন্তু ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সমাজ এখনো বিশ্বাস করে, প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে পরিবার অপরিহার্য একটি বিষয়। আর সেই পরিবার তৈরি হয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে।

 

বিয়ের সুবিধা-অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। এতে ইতিবাচক দিকই বেশি। কেননা মিলটা যদি সুখের হয় তাহলে ওই দম্পতি আর্থিক সুবিধা, মানসিক সমর্থন ও ভালো স্বাস্থ্য পেতে পারেন। এছাড়া বিয়ের পরও ওই দম্পতির সন্তানরা অনেক সুখী ও মানসিকভাবে স্বাস্থ্যসম্মত হবেন।

বিয়ের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সেই উপকারিতাগুলো উপস্থাপন করছে বাংলানিউজ।

 

দীর্ঘ জীবন

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অল্প বয়সে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে অবিবাহিতদের সংখ্যা বিবাহিতদের দ্বিগুণ। কারণ স্বামী-স্ত্রীরা প্রয়োজন হলে একে অপরের ভালো যত্ন নিতে পারেন। এছাড়া সহযোগীদের সমর্থন ও সাহায্যও পেতে পারেন। ফলে বিবাহিতরা নিজেদের যত্ন নেওয়ার জন্য দম্পতির প্রতি দায়িত্ববোধ ও বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবেন। তারা বুঝতে পারেন যে, প্রয়োজন পড়লে সহায়তা করার জন্য তাদের কেউ একজন রয়েছেন। তাই কেউ দীর্ঘজীবী হতে চাইলে তাকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন অভিজ্ঞরা।

তবে সত্যিকারের আদর্শ জীবনসঙ্গী না পেয়ে বিয়ে করলে সেটা চরম ভুল হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

নিজের দেখাশোনা

বিবাহিত নারী-পুরুষ স্বাস্থ্যবান বলে পরিসংখ্যানের ফলাফলে দেখা যায়। দম্পতিরা তাদের প্রিয়তমের প্রতি দায়িত্ব অনুভব করে খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করে নিজের সর্বচ্চ যত্ন নেওয়া শুরু করেন, যা তাকে স্বাস্থ্যবান ও দীর্ঘজীবী হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে সেটা দাম্পত্য জীবনে ভাঙনের সৃষ্টি করে। এর ফলে সংসার জীবন সংক্ষিপ্ত হতে পারে, যার ক্ষতিকর প্রভাবে নষ্ট হতে পারে তাদের স্বাস্থ্য। সুতরাং, অনুরোধের কারণে বিয়ে না করে আনন্দের সঙ্গে স্বেচ্ছায় বিয়ে করা, বিবাহিত জীবনকে উপভোগ করা, সঙ্গীকে ভালোবাসা, সর্বপরি ভালোবাসায় ফিরে আসা মন ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। 

যৌন জীবনে রোগের ঝুঁকি কম

যেসব দম্পতি একে অপরকে ভালোবাসেন ও বিশ্বাস করেন তারা প্রতিনিয়ত যৌনসুখ উপভোগ করেন। ফলে তাদের যৌনসঙ্গী খোঁজার প্রয়োজন হয় না। এতে তাদের যৌনজীবনে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কম থাকে।

তবে যে দম্পতি এর ব্যতিক্রম ঘটায় এবং একে অপরের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের যৌনরোগ সংক্রান্ত ঝুঁকি বেশি থাকে।

ভালো স্বাস্থ্য

বিয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত অনেক সুবিধা পান দম্পতিরা। তবে নারীরা এ সুবিধা বেশি ভোগ করেন। কেননা ভালো যৌনজীবন তাদের সন্তুষ্টি ও সুখের একটি সম্পূর্ণ অনুভূতি প্রমাণ করে। এই সাময়িক মানসিক অবস্থা শারীরিক স্বাস্থ্যের চেয়ে মানসিক স্বাস্থ্যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে বলে গবেষণায় জানা যায়।

গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, অবিবাহিতদের মন-মেজাজ সব সময় দোল খেতে থাকে, স্থির হতে পারে না। এমনকি সব সময় বিষণ্নতায়ও ভোগেন তারা। এর ফলে অবিবাহিতদের স্থাস্থ্যের ওপর অনেক খারাপ প্রভাব পরে।

স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান

শুধু নারীরাই নয়, বিবাহিত নারী-পুরুষ উভয়েই মানসিক ও আবেগগতভাবে ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন। কারণ তারা একে অপরের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী যত্ন নিতে পারেন। এটা পুরুষের হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী। তাই অবিবাহিত পুরুষদের তুলনায় বিবাহিতদের স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও অন্য রোগের ঝুঁকি কম থাকে বলে গবেষণায় দেখা যায়।

আর্থিক অবস্থার সমৃদ্ধি

অবিবাহিত ব্যক্তি বিবাহিত দম্পতিদের তুলনায় টাকা কম খরচ করে এটা অবশ্যই সত্য। তবে দম্পতিরা একত্রে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন এবং তাদের আর্থিক অবস্থাও অনেক সমৃদ্ধ হয়।

অন্যদিকে অবিবাহিতরা কম উপার্জনেই তাদের জীবনধারণ করতে পারেন। তাই ভালো কাজ ও বেশি উপার্জনের লক্ষ্যও তাদের কম থাকে। কিন্তু বিবাহিত পুরুষরা তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব অনুভব করে আর্থিক অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা চালিয়ে যান এবং সফল হন।

খারাপ খাদ্যাভ্যাস ত্যাগ

গবেষণায় দেখা যায় যে, বিবাহিতরা তাদের পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে মদ বা ড্রাগের মতো খারাপ অভ্যাস থেকে অনেক সহজেই পরিত্রাণ পেতে পারেন। অনেকে তাদের দম্পতি ও সন্তানদের কারণে ধূমপানও ছেড়ে দেন।

অন্যদিকে একজন সঙ্গীহীন ব্যক্তি তার এই আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। কারণ এই খারাপ অভ্যাসগুলো একক প্রচেষ্টায় ত্যাগ করা খুবই কঠিন

সন্তানদের যত্ন নেওয়া সহজ

কেউ যদি একা না হয়, বরং তাদের যদি জীবনসঙ্গী থাকে তাহলে তাদের বাড়ন্ত শিশুদের যত্ন নেওয়া অনেক সহজ হয়। আর যে বাবা-মায়েরা তাদের শিশুদের দায়িত্ব ভাগ করে পালন করেন তারা সন্তানদের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করেন।

এর মাধ্যমে ওই দম্পতির সন্তানরা প্রকৃত পারিবারিক সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে পারেন, যা তাদের ভবিষ্যৎ পারিবারিক জীবনে সুখের বন্ধন তৈরি করে।

পরিপূরক জীবন

বিয়ের পর থেকে যেহেতু একটি দম্পতির অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বাড়ে, সেহেতু জীবনযাত্রারও উন্নতি ঘটে। ফলে তারা একটি সুন্দর স্থানে রুচিশীল বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। এছাড়া তাদের সন্তানদের জন্য ভ্রমণ, ভালো খাবার ও উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করারও সামর্থ্য তৈরি হয় ওই দম্পতির।

আজীবন সাহচর্য

সম্পর্কের ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া একটি মহৎ ব্যাপার। কেননা বর্তমানে কারো কাছ থেকে যত্ন ও বিপদে সাহায্য গ্রহণ করা পুরস্কার পাওয়ার মতোই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ কোনো ব্যক্তি বিয়ে করার মাধ্যমেই এই শাশ্বত আশীর্বাদ পেতে পারেন। কারণ বিয়েতে ওই শাশ্বত গুণাবলি রয়েছে। এছাড়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওই দম্পতি সব সময় প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও প্রশংসা পেয়ে থাকেন।

ফলে সবারই স্বপ্ন থাকে যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে একজন বিশেষ মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে এবং তার সঙ্গেই বাকিটা জীবন অতিবাহিত হবে। এটা সত্যি যে পারিবারিক জীবন মানুষের বেঁচে থাকার এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তির উৎস।

best ghotok in dhaka

আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস

Kabinbd Blog

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here