banner

দাম্পত্য জীবনে নিয়মিত ব্যায়ামের উপকারিতা

kabinbd
kabinbd

দাম্পত্য জীবনে নিয়মিত ব্যায়ামের উপকারিতা

দাম্পত্য জীবনে নিয়মিত ব্যায়ামের অনেক উপকারিতা রয়েছে।

কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা:

১. শারীরিক সুস্থতা:

শারীরিকভাবে ফিট থাকা মানে আপনার শারীরিকভাবে সুস্থ এবং সুস্থ থাকা। এটি নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে।

নিয়মিত ব্যায়ামের অনেক সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • হৃদরোগ, স্ট্রোক, টাইপ 2 ডায়াবেটিস এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • শক্তি এবং সহনশীলতা বৃদ্ধি করে।
  • হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করে।
  • উন্নত মেজাজ এবং মানসিক স্বাস্থ্য।
  • উন্নত ঘুমের মান।

স্বাস্থ্যকর খাওয়াও শারীরিকভাবে ফিট থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য অন্তর্ভুক্ত:

  • প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং পূর্ণ শস্য।
  • চর্বিহীন প্রোটিনের উত্স, যেমন মাছ, মুরগির মাংস এবং শিম।
  • স্বাস্থ্যকর চর্বি, যেমন বাদাম, বীজ এবং জলপাই তেল।
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত পানীয় এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি সীমিত করা।

পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া শারীরিকভাবে ফিট থাকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে 7-8 ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়।

এখানে শারীরিকভাবে ফিট থাকার জন্য কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে:

  • সারাদিন হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রচুর পানি পান করুন।
  • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

শারীরিকভাবে ফিট থাকার অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি আপনাকে দীর্ঘ, স্বাস্থ্যকর এবং আরও পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে সাহায্য করতে পারে।

  • নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে।
  • ব্যায়াম করলে হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, এবং পেশী শক্তিশালী হয়।
  • ব্যায়াম করলে রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

২. মানসিক সুস্থতা:

মানসিক সুস্থতা কেবল মানসিক অসুস্থতার অনুপস্থিতি নয়, বরং এটি একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি তার নিজস্ব দক্ষতা উপলব্ধি করতে পারে, জীবনের স্বাভাবিক চাপের সাথে মোকাবেলা করতে পারে, উত্পাদনশীলভাবে কাজ করতে পারে এবং তার সম্প্রদায়ের একটি অবদানকারী হতে পারে।

মানসিক সুস্থতা অনেকগুলি বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে:

  • জীববিজ্ঞান: জিন, হরমোন এবং মস্তিষ্কের রসায়ন মানসিক স্বাস্থ্যের ভূমিকা পালন করে।
  • অভিজ্ঞতা: শৈশবের অভিজ্ঞতা, আঘাতমূলক ঘটনা এবং দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
  • জীবনধারা: নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।
  • সামাজিক সমর্থন: পরিবার, বন্ধু এবং সম্প্রদায়ের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক থাকা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য, এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

  • আপনার আবেগ সম্পর্কে সচেতন হন এবং সেগুলি স্বাস্থ্যকর উপায়ে প্রকাশ করুন।
  • মানসিক চাপের সাথে মোকাবেলা করার জন্য স্বাস্থ্যকর উপায় খুঁজুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম পান।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  • আপনার প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান।
  • প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।

মানসিকভাবে সুস্থ থাকা আপনার সামগ্রিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মানসিকভাবে সুস্থ থাকার কিছু উপকারিতা:

  • উন্নত শারীরিক স্বাস্থ্য।
  • তীব্র দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে দ্রুততর পুনরুদ্ধার।
  • বৃদ্ধি কর্মক্ষমতা এবং উত্পাদনশীলতা।
  • উন্নত সম্পর্ক।
  • একটি আরও পরিপূর্ণ এবং অর্থপূর্ণ জীবন।

আপনি যদি মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে সাহায্য পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি একজন মনোবিজ্ঞানী, মনোচিকিৎসক, বা অন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের সাথে কথা বলতে পারেন।

আপনি আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকেও সমর্থন পেতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি গোপন করার কোনও দরকার নেই।

সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।

  • নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমে।
  • ব্যায়াম করলে মন ভালো হয় এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
  • ব্যায়াম করলে ঘুম ভালো হয়।

৩. দাম্পত্য সম্পর্ক:

  • নিয়মিত ব্যায়াম করলে দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নত হয়।
  • ব্যায়াম করলে সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা ও আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়।
  • ব্যায়াম করলে একসাথে সময় কাটানোর সুযোগ তৈরি হয়।

৪. যৌন জীবন:

  • নিয়মিত ব্যায়াম করলে যৌন শক্তি ও ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়।
  • ব্যায়াম করলে যৌন জীবন আরও উপভোগ্য হয়।
  • ব্যায়াম করলে যৌন সমস্যাগুলি দূর হয়।

উপরে উল্লিখিত উপকারিতাগুলি ছাড়াও নিয়মিত ব্যায়ামের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিছু ব্যায়াম যা দাম্পত্য জীবনে উপকারী:

  • হাঁটা: হাঁটা একটি সহজ ও উপকারী ব্যায়াম। প্রতিদিন সকালে বা সন্ধ্যায় ৩০ মিনিট হাঁটলে শরীর ও মন ভালো থাকে।
  • দৌড়ানো: দৌড়ানো একটি কার্যকর ব্যায়াম যা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • সাঁতার কাটা: সাঁতার কাটা একটি সম্পূর্ণ শরীরের ব্যায়াম যা শরীরের সব পেশীকে কাজে লাগায়।
  • জিমে যাওয়া: জিমে বিভিন্ন ধরণের ব্যায়াম করা যায়। একজন প্রশিক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

দাম্পত্য জীবনে নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য কিছু টিপস:

  • একসাথে ব্যায়াম করার পরিকল্পনা করুন।
  • একে অপরকে ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করুন।
  • ব্যায়াম করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন।
  • ব্যায়াম করার সময় মজা করুন।

নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি ও আপনার সঙ্গী শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন এবং আপনাদের দাম্পত্য জীবন আরও সুখী ও সমৃদ্ধ হবে।

দাম্পত্য জীবনে  নিয়মিত ব্যায়ামের উপকারিতা নিয়ে এ পর্যন্ত যত লেখা হয়েছে, যোগ করলে কয়েকশো মাইল দীর্ঘ হয়ে যেতে বাধ্য! প্রতিদিন পরিমিত ব্যায়াম আপনাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে, এনার্জি বাড়ায়, এ সব কিছুই জানা কথা! কিন্তু জানেন কি, নিয়মিত ব্যায়াম প্রভাব ফেলে আপনার যৌনজীবনেও? কোন কোন বিশেষ অথচ সহজ ব্যায়াম রোজ করলে আপনার বিছানার সেশনগুলো আরও উত্তেজক আর আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে, তারই হদিশ দিচ্ছি আমরা!

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্ল্যাঙ্কস আপনার পিঠের আর পেটের পেশিগুলোকে সবল করে তুলতে সাহায্য করে। শরীরের উপরের অংশ মজবুত হলে বিছানাতেও অনেক বেশিক্ষণ পারফর্ম করতে পারবেন। প্রতিদিন 10 মিনিট প্ল্যাঙ্কস করুন, তফাতটা নিজেই বুঝতে পারবেন!

প্ল্যাঙ্কস


কী করে করবেন: উপুড় হয়ে শুয়ে হাতদুটো দু’পাশে মেঝেতে পাশাপাশি রাখুন, তারপর হাতের উপর ভর দিয়ে পুশ-আপের ভঙ্গিতে উপরের দিকে শরীরটাকে টেনে তুলুন। পায়ের আঙুল মেঝেতে ছুঁয়ে থাকবে, পিঠ আর মাথা থাকবে একই লাইনে। শরীরটাকে উপরে তোলার সময় পুরো ওজনটা থাকবে বাহু আর পায়ের আঙুলের উপর। শ্বাস টেনে বন্ধ করে যতক্ষণ পারবেন এই অবস্থায় থাকুন, তারপর ধীরে ধীরে শরীরটাকে নামিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। রিপিট করুন।

কেগলস
পেলভিক মাসলের জোর বাড়াতে জুড়ি নেই কেগলসের। অর্গাজ়মের সময় পেলভিক মাসল সংকুচিত হয়। কাজেই বুঝতেই পারছেন, পেলভিক মাসল যদি মজবুত হয় তা হলে অর্গাজ়মের সুখও কয়েকগুণ বেড়ে যেতে বাধ্য! কেগলস করার জন্য কোনও যন্ত্রপাতির দরকার নেই, যে কোনও জায়গায় বসে কেগলস করতে পারেন। তবে আগে বাথরুম করে নেবেন। ঠিকঠাক কেগলস করার জন্য ব্লাডার খালি থাকা দরকার।
কীভাবে করবেন:
ইউরিনের বেগ সম্বরণ করার জন্য আপনি যে পেশিগুলো সংকুচিত করেন, সেটাই পেলভিক মাসল। ইউরিন বন্ধ করতে হলে যেভাবে পেশি সংকুচিত করেন, ঠিক সেভাবেই সংকুচিত করুন। কম করে পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর ছেড়ে দিন। বেশ কয়েকবার রিপিট করুন।

নিতম্বের পেশি মজবুত আর সুগঠিত করতে আপনাকে করতে হবে গ্লাট ব্রিজ। নিতম্বের পেশি আর হ্যামস্ট্রিং মজবুত হলে আপনার শরীরও নমনীয় থাকবে, ফলে সেক্সের আনন্দ অনেক বেশি পাবেন।

গ্লুট ব্রিজ

কীভাবে করবেন: মাটিতে শুয়ে পড়ুন। হাতের পাতা মেঝেতে থাকবে। হাঁটু মুড়ে ভাঁজ করে নিন। এবার গোড়ালির উপর ভর করে ধীরে ধীরে কোমর আর নিতম্ব উপরে তুলুন। কাঁধ আর পিঠের উপরের অংশ মেঝে ছুঁয়ে থাকবে। এবার নিতম্ব উপরে তোলা অবস্থাতেই নিতম্বের পেশিগুলো সংকুচিত করার চেষ্টা করুন। পাঁচ সেকেন্ড রেখে ছেড়ে দিন। ধীরে ধীরে শরীর মেঝেতে নামিয়ে আনুন।

নিয়মিত এই ব্যায়ামগুলো করলে নিশ্চিতভাবেই অনেক বেশি সুখময় হয়ে উঠবে আপনাদের যৌনজীবন! ফল পেলেন কিনা আমাদের জানাতে ভুলবেন না যেন!

marriagemedia

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *