banner

পুরুষত্ব নষ্ট হতে পারে ৮টি অভ্যাসে

পুরুষত্ব নষ্ট হতে পারে এমন ৮টি অভ্যাস:

১) অতিরিক্ত মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে, যা পুরুষত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হরমোন।

শারীরিক ক্ষতি:

  • যকৃতের ক্ষতি: অতিরিক্ত মদ্যপান যকৃতের ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার হতে পারে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: অতিরিক্ত মদ্যপান উচ্চ রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি: অতিরিক্ত মদ্যপান মুখ, গলা, স্তন, লিভার, কোলন এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
  • মস্তিষ্কের ক্ষতি: অতিরিক্ত মদ্যপান মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মনোযোগের অভাব এবং বিষণ্ণতা হতে পারে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে: অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে, যার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • পুষ্টির ঘাটতি: অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরে পুষ্টির ঘাটতি ஏற்ப করতে পারে।

মানসিক ক্ষতি:

  • বিষণ্ণতা: অতিরিক্ত মদ্যপান বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
  • ঘুমের সমস্যা: অতিরিক্ত মদ্যপান ঘুমের সমস্যা, যেমন অনিদ্রা এবং ঘুমের apnea, হতে পারে।
  • আগ্রাসন: অতিরিক্ত মদ্যপান আগ্রাসন এবং সহিংস আচরণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
  • স্মৃতিশক্তি হ্রাস: অতিরিক্ত মদ্যপান স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতার অবনতি ঘটাতে পারে।

সামাজিক ক্ষতি:

  • পারিবারিক সমস্যা: অতিরিক্ত মদ্যপান পারিবারিক সমস্যা, যেমন বিবাদ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং শিশুদের উপর বিরূপ প্রভাব, হতে পারে।
  • কর্মক্ষেত্রে সমস্যা: অতিরিক্ত মদ্যপান কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, যেমন কর্মক্ষমতা হ্রাস, অনুপস্থিতি এবং চাকরি হারানো, হতে পারে।
  • আইনি সমস্যা: অতিরিক্ত মদ্যপান আইনি সমস্যা, যেমন গ্রেপ্তার এবং DUI, হতে পারে।

অতিরিক্ত মদ্যপান একটি গুরুতর সমস্যা যা আপনার শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

আপনি যদি অতিরিক্ত মদ্যপানের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে একজন ডাক্তার বা থেরাপিস্টের সাথে কথা বলুন।

তারা আপনাকে আপনার মদ্যপানের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার জীবন পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে।

২) ধূমপান: ধূমপান শুধুমাত্র ফুসফুসের জন্যই ক্ষতিকর নয়, এটি পুরুষত্বের জন্যও ক্ষতিকর। ধূমপান শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতিশীলতা কমিয়ে দিতে পারে।

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর একটি অভ্যাস। এটি ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ফুসফুসের ক্যান্সার: ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান কারণ। ধূমপায়ীদের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অধূমপায়ীদের চেয়ে 25 গুণ বেশি।
  • হৃদরোগ: ধূমপান হৃদরোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে। এটি ধমনীতে প্লাক তৈরি করতে পারে, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • স্ট্রোক: ধূমপান স্ট্রোকের ঝুঁকি 50% বৃদ্ধি করে। এটি মস্তিষ্কে রক্ত ​​নালীতে ক্ষতি করতে পারে, যা স্ট্রোকের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • ফুসফুসের রোগ: ধূমপান দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) এর প্রধান কারণ, যার মধ্যে রয়েছে এম্ফিসিমা এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস। COPD একটি প্রগতিশীল রোগ যা শ্বাস নিতে অসুবিধা করে।
  • অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: ধূমপান গর্ভাবস্থায় জটিলতা, টাইপ 2 ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যা এবং গামের রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে।

ধূমপান ছেড়ে দেওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আপনি করতে পারেন সবচেয়ে ভালো জিনিস।

ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরে আপনার শরীরে যে পরিবর্তনগুলি ঘটে তার মধ্যে রয়েছে:

  • 20 মিনিট: আপনার রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন নিয়মিত হতে শুরু করে।
  • 12 ঘন্টা: আপনার রক্তে কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা অর্ধেক কমে যায়।
  • 2 সপ্তাহ: আপনার ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত হতে শুরু করে।
  • 1 বছর: আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়।
  • 5 বছর: আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়।
  • 10 বছর: আপনার ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়।
  • 15 বছর: আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি একজন অধূমপায়ীর মতোই হয়।

ধূমপান ছেড়ে দেওয়া কঠিন হতে পারে, তবে এটি সম্ভব।

আপনাকে সাহায্য করার জন্য অনেকগুলি উপায় রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • পরামর্শ: একজন থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলর আপনাকে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত

৩) অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, যেমন অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, শরীরে ওজন বৃদ্ধি করতে পারে এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।

৪) শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকা: নিয়মিত ব্যায়াম না করলে শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায় এবং শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়।

৫) পর্যাপ্ত ঘুম না ঘুমানো: পর্যাপ্ত ঘুম না ঘুমালে শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায় এবং ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয়।

৬) অতিরিক্ত মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।

৭) কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পুরুষত্বের হ্রাস দেখা দিতে পারে।

৮) কিছু রোগের কারণে: কিছু রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এবং স্থূলতা, পুরুষত্বের হ্রাস ঘটাতে পারে।

উল্লেখ্য যে, এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়।

আপনার যদি পুরুষত্বের হ্রাসের কোন লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলির কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন।

সুস্থ থাকার জন্য চাই স্বাস্থ্যকর জীবনপদ্ধতি। লিঙ্গ সুস্থ রাখতেও তাই ত্যাগ করতে হবে বদভ্যাস। সঠিক না জেনে, উড়ো কথায় কান দিয়ে অনেকেই মনে করেন,আমার হয়ত সমস্যা আছে।

সমস্যা কী, আদৌ সমস্যা আছে কিনা সে বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতেও বিব্রত বোধ করেন।সমস্যা যদি মনেই হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তবে বাজে অভ্যাসের কারণেও পুরুষের জননেন্দ্রিয়ের কর্মক্ষমতার ক্ষতি হতে পারে। এসব বদভ্যাস প্রতিনিয়ত করতে থাকলে পৌরষত্বের ধার কমতেই থাকবে।

চিকিৎসাশাস্ত্র ও বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে বদভ্যাসগুলোর একটা তালিকা নিচে দেয়া হল।

১. বসে বসে সময় কাটানো: গবেষণা বলে, যারা নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের যৌনস্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর যারা আজীবনই কুঁড়েমি করেছেন কিংবা আগে পরিশ্রমি ছিলেন এখন অলস সময় পার করছেন তাদের মধ্যে যৌন অক্ষমতা দেখা দেয়ার আশঙ্কা বেশি।

২. ধূমপান: বিটিশ জার্নাল অফ ইউরোলজি’তে প্রকাশিত ৮ সপ্তাহে ধূমপান ছাড়ার এক গবেষণায় বলা হয়, অংশগ্রহণকারীদের ২০ শতাংশ স্বীকার করেছেন যে তারা পুরুষাঙ্গ দৃঢ় হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। ধূমপান ছাড়ার পর এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশেরই যৌনক্ষমতা বেড়েছে, পুরুষাঙ্গ হয়েছে দৃঢ়।

৩. দাঁতের অপরিচ্ছন্নতা: শুনতে আজব মনে হলেও গবেষণা মতে, যার পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে দৃঢ় না হওয়ার সমস্যা আছে, তার মাড়ির সমস্যা থাকার আশঙ্কা সাধারণের তুলনায় সাতগুন বেশি। এর কারণ হল মুখের ব্যাকটেরিয়া সারা শরীরে প্রবাহিত হয় এবং তা পুরুষাঙ্গের ধমনির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

৪. অপর্যাপ্ত ঘুম: শরীরের ঘুমের চাহিদা পূরণ না হলে ‘টেস্টোস্টেরন’য়ের মাত্রা কমে যায়। ফলে অবসাদ হয়। যা থেকে পেশি ও হাড়ের ঘনত্বও কমে যেতে পারে। দুইটি প্রভাবই পুরুষাঙ্গের জন্য ক্ষতিকর।

৫. অপর্যাপ্ত সঙ্গম: সঙ্গমের পরিমাণ দম্পতিভেদে বিভিন্ন। তবে ‘আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিন’য়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একবার সঙ্গমে লিপ্ত না হলে পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে দৃঢ় না হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সপ্তাহে তিনবার সঙ্গম হল আদর্শ।

৬. তরমুজ: ‘সিট্রুলাইন-আর্জিনাইন’ নামক উপাদানের ভালো উৎস তরমুজ। এর কাজই হল শরীরের যৌনক্ষমতার উন্নতিসাধন। উপাদানটি শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়ায় এবং পুরুষাঙ্গ দৃঢ় না হওয়ার সমস্যা সারাতে সক্ষম। তাই প্রতিদিন তরমুজ খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারলে ভালো।

৭. ট্রান্স ফ্যাট: শরীর প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ করলে শুক্রাণুর মান খারাপ হতে থাকে। তাই শুক্রাণুর সুস্বাস্থ্য ধর রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং ট্রান্স ফ্যাট খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।

৮. অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখা: ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন’য়ে প্রকাশিত হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’য়ের করা একটি গবেষণায় দেখা দেখা গেছে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি সময় টেলিভিশন দেখা পুরুষের শুক্রাণুর মাত্রা ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।

marriage media

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *