Site icon Kabinbd Blog

বিবাহ বিচ্ছেদে সন্তানের করুন পরিনতি

বিবাহ বিচ্ছেদে সন্তানের করুন পরিনতি

বিবাহের বিচ্ছেদ এবং সন্তানের সাথে পরিনতি সম্পর্কে চিন্তা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল সময়ের প্রশ্নের সামনে একটি মৌল্যবান প্রস্তাবনা করে। এই অভিজ্ঞানের সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে যাতে সন্তানদের ভবিষ্যত এবং সহবাসের সমর্থন এবং সাহায্য করা যায়।

বিবাহের বিচ্ছেদ:

১. সহবাসের যাত্রা:

বিবাহের বিচ্ছেদ হলে মুল বৈচিত্র্য পূরণ হতে পারে এবং একজন অসুস্থ বা নিষ্ক্রিয় সংসারিত সম্পর্ক মূল্যবান হতে পারে। এটি তাদের জীবনের অংশগুলি স্বচ্ছন্দে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে এবং একটি অমিল জীবনযাত্রা পাওয়া সহায় করতে পারে।

২. পর্বত্তনের সাথে পরমাণু:

বিবাহ বিচ্ছেদ হলে, কিছু বাচ্চারা একটি অভিভাবক অথবা একটি পরমাণুর সাথে বাড়ি থেকে অবস্থান করতে পারে। এটি সহায় করতে পারে তাদের পরিস্থিতি এবং অনুভূতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে।

৩. আত্ম-উন্নতি এবং উন্নতি:

বিবাহের বিচ্ছেদ একজন ব্যক্তির আত্ম-উন্নতি এবং উন্নতি পথে একটি অবকাঠামো প্রদান করতে পারে। এটি তাদের প্রয়োজনীয় শখ এবং দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে, যা তাদের পেশাদার জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।

সন্তানের সাথে পরিনতি:

সন্তানের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে, সন্তানের সাথে পরিনতি সম্পর্কে চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ এবং দু:খজনক একটি সময়। এটি সন্তানদের উন্নতি, মানব সম্বন্ধ, এবং মানবাধিকারের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক উত্থান করতে একটি সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।

কিভাবে সন্তানের সাথে পরিনতি স্থাপন করতে হয়:

১. যোগাযোগ এবং উপার্জন:

বিবাহ বিচ্ছেদের পর, সন্তানের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানদের মধ্যে প্রতিদিন যোগাযোগ করতে এবং তাদের জীবনের বিভিন্ন দিকে আগ্রহ প্রদান করতে বুঝতে সাহায্য করে।

২. সান্ত্বনা এবং সমর্থন:

সন্তানদের সাথে পরিনতির সময়ে তাদের কাছে সান্ত্বনা এবং সমর্থন প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বিভিন্ন ভাবে মোকাবিলা করতে এবং তাদের ভবিষ্যতের উদ্দীপনা করতে পারে।

৩. আচরণ এবং ভাবনা:

বাড়িতে ভালো পরিবার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে, সন্তানদের সাথে আচরণ এবং ভাবনা মেলাতে গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ পরিবার পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করতে এই দুটি উপায় গুরুত্বপূর্ণ।

৪. শিক্ষা এবং ক্যারিয়ার সহায়ক হওয়া:

সন্তানদের প্রয়োজন ও আগ্রহ মেলাতে, তাদের শিক্ষা এবং ক্যারিয়ারের উপর সহায়ক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দীপনা করতে সাহায্য করতে পারে এবং তাদের পেশাদার জীবনের পথে সহায়ক হতে পারে।

৫. আর্থিক এবং অন্যান্য সাহায্য:

সন্তানদের জীবনের বিভিন্ন দিকে সাহায্য করতে, যেমন আর্থিক সাহায্য বা অন্যান্য সমর্থন, প্রয়োজন হতে পারে। তাদের জীবনে বৃদ্ধি এবং উন্নতি হাসিল করতে এবং তাদের সম্পর্কে সাহায্য করতে এই সাথে থাকতে পারে।

সন্তানদের সাথে পরিনতি সম্পর্কে বিবাদ বিস্তারিত এবং সতর্কতার সাথে ভিত্তি করে এটি একটি প্রকার পুনরাবৃত্তির সৃষ্টি করতে পারে এবং সন্তানদের ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে।

১. যোগাযোগ এবং সাহায্য:

বিবাহ বিচ্ছেদের পরে, সন্তানদের মধ্যে যোগাযোগ এবং সাহায্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মাধ্যমে প্রস্তুত থাকতে এবং তাদের মনের চেয়ে পুরোপুরি বুঝতে সাহায্য করতে পারে এবং একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বিকশন করতে পারে।

২. যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি:

সন্তানের সাথে পরিনতি বিচ্ছেদের জন্য সৃজনশীল হতে সাহায্য করতে পারে এবং তাদের জীবনে এবং উন্নত ক্যারিয়ারের দিকে সাথী হতে সাহায্য করতে পারে।

৩. বিশেষজ্ঞ সাহায্য:

যদি বিবাহ বিচ্ছেদের পর সন্তানদের সাথে সমস্যা হয় এবং তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা হয় না, তাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বা বিশেষজ্ঞের সাথে সাহায্য নিতে সহায় করা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

৪. উপার্জন ও আর্থিক সহায্য:

সন্তানদের সঙ্গে পরিনতি বিচ্ছেদ হলে, আর্থিক ও উপার্জন সহায্য করতে পারে এবং তাদের উন্নত পথে সাহায্য করতে পারে।

এই উপায়গুলি প্রয়োজন হতে পারে বিবাহ বিচ্ছেদের পর সন্তানদের কাছে স্থিতি সৃষ্টি করতে এবং তাদের সহবাসে সহায় করতে এবং একটি সুস্থ এবং সামর্থ্যশালী ভবিষ্যত প্রস্তুত করতে।

কেউ ভালোবেসে, কেউ পরিবারের সিদ্ধান্তে ঘর বাঁধেন। শুরু হয় একটি সুখী সংসারের ’পরশ পাথরের’ গল্প। ধন নয়, মান নয়, এইটুকু বাসা করেছিনু আশা। প্রথমদিকে দাম্পত্য জীবনে বোঝাপড়াটা হয়ে ওঠে ’সোনার হাতে সোনার কাকন কে কার অলংকারে’র মতো ধাধানো।

কিন্তু বুকভরা আশা আর রঙিন স্বপ্ন নিয়ে ঘর বাঁধলেও সর্বক্ষেত্রে ধরা দিচ্ছে না সুখপাখি। কখনো কখনো মেহেদীর রঙ মোছার আগেই ভেঙে যাচ্ছে অনেকের সংসার। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সংসারের বন্ধন দুর্বল হচ্ছে ক্রমেই। যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে মানুষ। ভালো লাগা, ভালোবাসাও যাচ্ছে কমে। ফলে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ।

গত এক দশকে বদলে গেছে তালাকের ধরন। আগে ৭০ শতাংশ তালাকের ঘটনা ঘটতো স্বামী কর্তৃক। কিন্তু ’সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে’ এই মিথ সময়ের ব্যবধানে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এখন তালাকের ঘটনায় নারীরা পুরুষের চেয়ে দশগুণ এগিয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে ৮০ শতাংশ তালাকের ঘটনা ঘটছে স্ত্রী কর্তৃক।

অতীতকালে সংসার ছিল বজ কঠিন বাধনে বাধা। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এখন ঠুনকো কাচের দেয়ালে পরিনত হয়েছে সেই বন্ধন। গ্রাম থেকে শহর সবখানেই প্রায় অভিন্ন চিত্র। স্বপ্নগুলো সত্য হয়ে উঠতে না উঠতেই খানখান হয়ে যাচ্ছে। গত এক দশকে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুন আর সঙ্গীদের থেকে আলাদা থাকার প্রবণতা বেড়েছে তিনগুন। সমপ্রতি বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশে এধরনের সামাজিক পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে বিবাহ নিবন্ধক, মনোবিজ্ঞানী এবং জেন্ডার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক বন্ধন হ্রাস, বহুগামিতা, বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক, অতিমাত্রায় ভার্চুয়াল জগতে বিচরণ, অর্থনৈতিকভাবে নারীদের শক্ত অবস্থান, পেশাগত উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদ এবং আলাদা থাকার প্রবণতা বাড়ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকায় একজন নারী এখন তার পরিবারকেও আর্থিক সহায়তা করতে পারছে। পারিবারিক বন্ধনের চেয়ে অনেক নারী নিজের পেশা জীবনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর মনস্তাত্তি্ব্বক পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ফলে নারী নিজেই এখন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে বেশি তালাক হচ্ছে ঢাকা সিটিতে। ঢাকায় প্রতি ঘণ্টায় তালাক হচ্ছে ১টি করে। ঢাকার অভিজাত অঞ্চলখ্যাত উত্তর সিটিতে তালাকের প্রবণতা বেড়েছে ৭৫ ভাগ। দক্ষিণ সিটিতে বেড়েছে ১৬ শতাংশ। দুই সিটিতে আপোস হচ্ছে গড়ে ৫ শতাংশের কম। তালাকের সবচেয়ে বড় কারণ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ‘বনিবনা না হওয়া’। স্ত্রীর করা আবেদনে কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বামীর সন্দেহবাতিক মনোভাব, পরনারীর সঙ্গে সম্পর্ক, যৌতুক, দেশের বাইরে গিয়ে আর ফিরে না আসা, মাদকাসক্তি, ফেসবুকে আসক্তি, পুরুষত্বহীনতা, ব্যক্তিত্বের সংঘাত, নৈতিকতাসহ বিভিন্ন কারণ। আর স্বামীর অবাধ্য হওয়া, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী না চলা, বদমেজাজ, সংসারের প্রতি উদাসীনতা, সন্তান না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছেন স্বামী।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ইমেরিটাস ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মানুষের নীতি-নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ নষ্ট হওয়ার কারণে পরকীয়া, খুন ইত্যাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে আত্মীয়তার সর্ম্পক। অপসংস্কৃতি চর্চায় মানুষের চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্দি পাচ্ছে। ফলে স্বামী-স্ত্রীরা বিদ্যমান সর্ম্পকের বাইরে গিয়ে অন্য মানুষের সঙ্গে সর্ম্পক তৈরি করছে। ফলে সোনালী সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে। এর থেকে বের হয়ে আসার উপায় সম্পর্কে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের নৈতিক শিক্ষার শিক্ষিত করে তুলতে হবে। সামাজিক মূল্যবোধ শেখাতে হবে। ইন্টারনেটের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পাঠ্যবইয়ে নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, সাধারণত উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মধ্যে বিচ্ছেদ প্রবণতা বেশি দেখা যায়। মধ্যবিত্ত পরিবারে এমন প্রবণতা অনেকটাই কম।’ বিচ্ছেদের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের কেউ কারও কথা শুনতে চান না। তারা যে যার কথা মতো চলেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, নিজেদের অঢেল অর্থ সম্পদ রয়েছে, তাই বিচ্ছেদ হলে সমস্যা হবে না। আর নিম্নবিত্ত পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ফারাক থাকে বেশি। বেশিরভাগ পরিবারের নারীরা চাহিদা অনুযায়ী অনেককিছুই পাননা, অভাব অনটন লেগেই থাকে। ফলে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়। আর মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা লোকলজ্জায় ঘর ভাঙতে রাজি হন না।

বিয়ে বিচ্ছেদের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ফারাহ দীবা বলেন, বিয়ে বিচ্ছেদের কারণকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। এর মধ্যে একটি মুখ্য কারণ হলো নারীর আর্থিক সক্ষমতা। দেখা যায়, কর্মজীবী নারীদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেশি। আবার মাদকের প্রভাবেও বিয়ে বিচ্ছেদের মাত্রা এখন ভয়াবহ জানিয়ে তিনি বলেন, এটিও বিচ্ছেদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ।

বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মনোবিজ্ঞানী ড. মোহিত কামাল বলেন, বিয়ে ভাঙার ক্ষেত্রে ফেসবুক বা মোবাইল কালচার বড় প্রভাব ফেলছে । বিশেষ করে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদের মধ্যে নানা ধরনের আকাঙ্খা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখান থেকেই বাড়ছে অপ্রাপ্তিবোধ ও হতাশা। তিনি বলেন, একটা মানুষ সম্পূর্ণ আলাদা আরেকটা মানুষকে বিয়ে করছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষের গুণ যেমন আছে তেমনি দোষও থাকবে। দুটো মিলিয়েই মানুষ। সুতরাং পার্টনারের দোষ-গুণ দুটোই মেনে নিতে না পারলে সংসার টেকানো যাবে না।

আর এই বিচ্ছেদে এক অপুরনিয় ক্ষতি হয়ে যায় সন্তান্দের, তাদের করুন পরিনতিতে কেউ তাদের

সাহায্যকারী থাকেনা, কেউ নেশায় জড়িয়ে পড়ে কেউ পড়ালেখা ছেড়ে দেয় নানা ক্ষতির বর্ণনা বলে শেষ করা যাবেনা।

অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন- পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে নারীকে বিশ্লেষণ করলে হবে না। দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি আমরা বড় বেশি বৈষয়িক হয়ে যাচ্ছি। এই অবস্থা থেকে সরে আসতে হবে।

divorcee matrimony in bangladesh

আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস

Exit mobile version