বিয়ের আগে পাত্র পাত্রীর বিষয়ে জানাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বিয়ের আগে পাত্র পাত্রীর বিষয়ে জানাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে জানার গুরুত্ব: একটি বিস্তারিত আলোচনা
ভূমিকা:
বিবাহ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি সংস্কৃতি এবং দুটি জীবনের একীভূত হওয়া। সুখী ও সফল দাম্পত্য জীবনের জন্য, বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করা অপরিহার্য।
কেন জানা জরুরি?
- সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য: পাত্র-পাত্রীর ব্যক্তিত্ব, মূল্যবোধ, আগ্রহ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত জীবন, পারিবারিক পটভূমি, ধর্মীয় বিশ্বাস, জীবনধারা ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা থাকলে তাদের মিল ও অমিল সম্পর্কে জানা যায়। এটি দীর্ঘমেয়াদী সুখী ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যোগাযোগ:
- নিয়মিত আলোচনা: একে অপরের সাথে নিয়মিত আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি শেয়ার করা উচিত।
- সৎ ও খোলামেলাভাবে কথা বলা: একে অপরের সাথে সৎ ও খোলামেলাভাবে কথা বলা উচিত। মনের ভেতরের কথা লুকিয়ে রাখা উচিত নয়।
- সক্রিয়ভাবে শোনা: কেবল কথা বলাই নয়, একে অপরের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনাও গুরুত্বপূর্ণ।
- মতবিরোধ সমাধান: মতবিরোধ হলে ধৈর্য ধরে এবং শান্তভাবে মতবিরোধ সমাধান করা উচিত।
বিশ্বাস ও সম্মান:
- একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখা: বিশ্বাস ছাড়া কোন সম্পর্হই টিকতে পারে না।
- একে অপরের সম্মান করা: একে অপরের মতামত, পছন্দ, সিদ্ধান্ত ইত্যাদিকে সম্মান করা উচিত।
সময় ও মনোযোগ:
- একে অপরের জন্য সময় দেওয়া: ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও একে অপরের জন্য সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- একে অপরের প্রতি মনোযোগ দেওয়া: কথা বলার সময়, কাজ করার সময়, এমনকি একসাথে সময় কাটানোর সময় একে অপরের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
সহযোগিতা ও সমর্থন:
- সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা: জীবনের সকল ক্ষেত্রে একে অপরের সহযোগিতা করা এবং একে অপরকে সমর্থন দেওয়া উচিত।
- গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে একসাথে কাজ করা: জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো একসাথে বসে আলোচনা করে নেওয়া উচিত।
ক্ষমা:
- ভুলত্রুটি ক্ষমা করার মনোভাব রাখা: মানুষ ভুল করে। তাই, একে অপরের ভুলত্রুটি ক্ষমা করার মনোভাব রাখা উচিত।
- ক্ষমা চাওয়ার সাহস থাকা: ভুল করলে সাহস করে ক্ষমা চাইতে পারা উচিত।
ভালোবাসা ও যত্ন:
- একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা: কথায়, কাজে এবং অনুভূতিতে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা উচিত।
- একে অপরের যত্ন নেওয়া: অসুস্থ হলে, সমস্যায় পড়লে, কিংবা সুখের সময় একে অপরের যত্ন নেওয়া উচিত।
- আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণের জন্য: বিবাহের পর একে অপরের কাছ থেকে কী আশা করা যায়, তা জানা থাকলে ভুল বোঝাবুঝি ও হতাশার সম্ভাবনা কমে যায়।
- বিবাহের আগে একে অপরের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা সম্পর্কে খোলামেলাভাবে আলোচনা করা: বিবাহের আগে একে অপরের চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, জীবনধারা ইত্যাদি সম্পর্কে জানাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে ভবিষ্যতে ভুল বোঝাবুঝি ও হতাশার সম্ভাবনা কমে যায়।
- নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে একে অপরের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা সম্পর্কে আপডেট থাকা: বিয়ে হয়ে গেলেও একে অপরের সাথে নিয়মিত আলোচনা করা উচিত। জীবনের বিভিন্ন সময়ে আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পরিবর্তিত হতে পারে। তাই, একে অপরের সাথে খোলামেলাভাবে কথা বলে একে অপরের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জানা উচিত।
সমঝোতার মনোভাব:
-
- প্রয়োজনে একে অপরের সাথে সমঝোতা করার মনোভাব রাখা: সবসময় সব আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই, প্রয়োজনে একে অপরের সাথে সমঝোতা করার মনোভাব রাখা উচিত।
- একে অপরের আগ্রহ ও পছন্দকে সম্মান করা: একে অপরের আগ্রহ ও পছন্দকে সম্মান করা উচিত।
সহযোগিতা:
- একে অপরের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণে সহযোগিতা করা: একে অপরের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করা উচিত।
- একে অপরের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করা: একে অপরের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করা উচিত।
ধৈর্য ও ইতিবাচক মনোভাব:
- ধৈর্য ধরে এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে একে অপরের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণের জন্য কাজ করা: রাতারাতি সব আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই, ধৈর্য ধরে এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করা উচিত।
- হতাশ না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া: পথে বাধা আসলে হতাশ না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ:
- একে অপরের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা: একে অপরের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। এতে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।
- সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে: জীবনে বিভিন্ন সমস্যা আসা স্বাভাবিক। পূর্ব ধারণা থাকলে একে অপরকে আরও ভালোভাবে বোঝা যায় এবং সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করা সহজ হয়।
যোগাযোগ:
- সমস্যা সম্পর্কে খোলামেলাভাবে আলোচনা করা: সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হল সমস্যা সম্পর্কে খোলামেলাভাবে আলোচনা করা। একে অপরের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করা উচিত।
- স্পষ্টভাবে এবং সংক্ষেপে কথা বলা: অস্পষ্ট বা আবেগপ্রবণ ভাষা ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে, স্পষ্টভাবে এবং সংক্ষেপে আপনার চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি প্রকাশ করুন।
- সমালোচনা করার পরিবর্তে সমাধানের উপর মনোযোগ দেওয়া: একে অপরকে অভিযুক্ত করার বা সমালোচনা করার পরিবর্তে, সমাধান খুঁজে বের করার উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত।
সম্মান:
- একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া: মতবিরোধ হলেও একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
- একে অপরের অনুভূতিতে মনোযোগ দেওয়া: শুধুমাত্র নিজের কথা না ভেবে একে অপরের অনুভূতিতেও মনোযোগ দেওয়া উচিত।
সহযোগিতা:
- একে অপরের সাথে সহযোগিতা করা: সমস্যা সমাধানের জন্য একে অপরের সাথে সহযোগিতা করা গুরুত্বপূর্ণ।
- সমাধান খুঁজে বের করার জন্য একসাথে কাজ করা: একে অপরের পরামর্শ গ্রহণ করে এবং একে অপরের সাথে আলোচনা করে সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত।
সমঝোতা:
- প্রয়োজনে সমঝোতা করার জন্য প্রস্তুত থাকা: সবসময় সবকিছু নিজের মতো করে চাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তাই, প্রয়োজনে সমঝোতা করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।
- একে অপরের চাহিদা ও পছন্দকে সম্মান করা:
ধৈর্য:
-
- ধৈর্য ধরে এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা: রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই, ধৈর্য ধরে এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত।
- হতাশ না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া:
- সুস্থ ও টেকসই সম্পর্ক গড়ে তোলে: পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক সুস্থ ও টেকসই হয়।
- মানসিক প্রস্তুতির জন্য: বিবাহের পর জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে জানা থাকলে এই পরিবর্তনগুলোর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা যায়।
কীভাবে জানবেন:
- পরিবারের সাথে আলোচনা: পরিবারের সদস্যরা পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে অনেক তথ্য জানেন। তাদের সাথে খোলামেলাভাবে আলোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।
গুরুত্ব:
- পরিবারের সদস্যরা অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী ব্যক্তি হন: তারা জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা দিতে পারেন।
- পরিবারের সদস্যরা আপনাকে ভালোভাবে চেনেন: তারা আপনার চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা এবং ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানেন। তাই তারা আপনার জন্য উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারেন।
- পরিবারের সদস্যরা আপনার সঙ্গীর সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারেন: তারা আপনার সঙ্গীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে এবং ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারেন।
কিভাবে আলোচনা করবেন:
- উপযুক্ত সময় বেছে নিন: যখন সকলেই শিথিল ও মনোযোগী থাকবে, তখন আলোচনার জন্য উপযুক্ত সময় বেছে নিন।
- আপনার চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করুন: আপনি কী খুঁজছেন এবং আপনার সঙ্গীর জন্য আপনার কি কি আশা-আকাঙ্ক্ষা আছে তা স্পষ্টভাবে বলুন।
- তাদের মতামত শুনুন: তাদের পরামর্শ ও মতামত মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
- প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন: যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করুন।
- খোলামেলাভাবে কথা বলুন: আপনার মনের ভেতরের কথা গোপন করবেন না।
- সম্মানের সাথে আলোচনা করুন: মতবিরোধ হলেও একে অপরের সাথে সম্মানের সাথে কথা বলুন।
বিষয়বস্তু:
- আপনার আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা: আপনি একজন সঙ্গীতে কী কী গুণাবলী খুঁজছেন, আপনার বিবাহের পরিকল্পনা কী, এবং ভবিষ্যতে আপনি কী অর্জন করতে চান তা তাদের জানান।
- আপনার পরিবারের মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য: আপনার পরিবারের জন্য কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ তা তাদের জানান।
- আপনার সঙ্গীর পছন্দ: আপনি যদি ইতিমধ্যে কোন সঙ্গীর সাথে পরিচিত হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের সম্পর্কে তাদের জানান।
কিছু টিপস:
- আপনার আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিন: আপনি কী বলতে চান তা আগে থেকে ভেবে রাখুন।
- ইতিবাচক মনোভাব রাখুন: মনে রাখবেন, আপনার পরিবার আপনার ভালো চায়।
- ধৈর্য ধরুন: তাদের মতামত গ্রহণ করতে এবং তাদের সাথে একটি সিদ্ধান্তে আসতে সময় লাগতে পারে।
- বন্ধু ও সহকর্মীর সাথে কথা বলা: যারা পাত্র-পাত্রীকে ভালোভাবে চেনেন তাদের সাথে কথা বলে তাদের সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যেতে পারে।
বন্ধু ও সহকর্মীর সাথে কথা বলার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
যোগাযোগ:
- স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলা: অস্পষ্ট বা আবেগপ্রবণ ভাষা ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে, স্পষ্টভাবে এবং সংক্ষিপ্তভাবে আপনার চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি প্রকাশ করুন।
- সক্রিয়ভাবে শোনা: শুধুমাত্র নিজের কথা বলাই নয়, আপনার বন্ধু বা সহকর্মীর কথাও মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
- প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা: যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করুন।
- মৌখিক ও অমৌখিক যোগাযোগের দিকে মনোযোগ দেওয়া: শুধুমাত্র কী বলা হচ্ছে তা নয়, কীভাবে বলা হচ্ছে তাও লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মান:
- একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া: মতবিরোধ হলেও একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
- একে অপরের মতামত মূল্য দেওয়া: আপনি যদি তাদের সাথে একমত নাও হন তবেও তাদের মতামতকে সম্মান করুন।
সহানুভূতি:
- একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করা: নিজের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টি দেখার চেষ্টা করার পরিবর্তে, একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন।
- একে অপরের অনুভূতিতে মনোযোগ দেওয়া: শুধুমাত্র নিজের অনুভূতি নয়, একে অপরের অনুভূতিতেও মনোযোগ দেওয়া উচিত।
বিশ্বাস:
- একে অপরের সাথে সৎ ও খোলামেলাভাবে কথা বলা: আপনার চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি লুকিয়ে রাখবেন না।
- একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখা: বিশ্বাস ছাড়া কোন সম্পর্হই টিকতে পারে না।
সীমানা নির্ধারণ:
- ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করা: যদি আপনার বন্ধু আপনার সহকর্মীও হয়, তাহলে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- অনুপযুক্ত বিষয় এড়িয়ে চলা: ধর্ম, রাজনীতি বা ব্যক্তিগত সমস্যা সম্পর্কে অফিসে আলোচনা করা এড়িয়ে চলুন।
- সরাসরি কথা বলা: পাত্র-পাত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলে তাদের চিন্তাভাবনা, আগ্রহ, লক্ষ্য ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়।
- গুলোচার সময় স্পষ্টতা ও সততা বজায় রাখা: অস্পষ্টতা এড়িয়ে স্পষ্টভাবে আপনার মতামত, ধারণা এবং চাহিদা প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- বোঝাপড়া ও সম্পর্ক উন্নত করা: সরাসরি কথা বলা ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে এবং একে অপরের সাথে আরও ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
- সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে: সরাসরি কথা বলা সমস্যাগুলো দ্রুত ও কার্যকরভাবে সমাধানে সাহায্য করে।
কিছু টিপস:
- আপনার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করুন: আপনি কী বলতে চান তা আগে থেকে ভেবে রাখুন এবং স্পষ্টভাবে বলুন।
- “আমি” বক্তব্য ব্যবহার করুন: “তুমি” বলে অভিযোগ করার পরিবর্তে, “আমি” বলে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করুন। উদাহরণস্বরূপ, “আমি যখন তুমি…” এর পরিবর্তে “আমি যখন তুমি… বলি/করি তখন… অনুভব করি।”
- শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত থাকুন: আবেগপ্রবণ হয়ে কথা বলবেন না।
- সক্রিয়ভাবে শুনুন: শুধুমাত্র নিজের কথা বলাই নয়, আপনার সঙ্গীর কথাও মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
- প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন: যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করুন।
- সমালোচনা করার পরিবর্তে সমাধানের উপর মনোযোগ দিন: একে অপরকে অভিযুক্ত করার বা সমালোচনা করার পরিবর্তে, সমাধান খুঁজে বের করার উপর মনোযোগ দিন।
- সম্মানের সাথে আলোচনা করুন: মতবিরোধ হলেও একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
- ধৈর্য ধরুন: বোঝাপড়া তৈরি করতে সময় লাগতে পারে।
কিছু পরিস্থিতি যেখানে সরাসরি কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ:
- যখন আপনি বিরক্ত বা হতাশ বোধ করেন: আপনার অনুভূতিগুলো গোপন করে রাখার পরিবর্তে, সেগুলো সম্পর্কে সরাসরি কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
- যখন আপনাকে মনে হয় যে আপনার সঙ্গী আপনার কথা শুনছে না: আপনার সঙ্গীর মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য এবং আপনার কথা শোনার জন্য তাদের অনুরোধ করার জন্য সরাসরি কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
- যখন আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চান: আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি শেয়ার করার জন্য এবং তাদের মতামত জানার জন্য সরাসরি কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার:
সতর্কতা অবলম্বন:
- প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্যের সত্যতা যাচাই করা কঠিন হতে পারে। তাই, পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের সময় সতর্ক থাকা উচিত।
- অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা: শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্যের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
- গোপনীয়তা লঙ্ঘন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার সময় সতর্ক থাকা উচিত।
কিছু টিপস:
- প্রোফাইল যাচাই করুন: পাত্র-পাত্রীর প্রোফাইল যাচাই করে দেখুন। তাদের বন্ধু, পরিবার ও পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করুন।
- সরাসরি যোগাযোগ করুন: শুধুমাত্র কমেন্ট বা লাইকের মাধ্যমে যোগাযোগ সীমাবদ্ধ না রেখে সরাসরি মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করুন।
- অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করুন: ফোন কল, ভিডিও কল ইত্যাদির মাধ্যমে সরাসরি কথা বলে তাদের সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানুন।
- সময় নিন: জলদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেয়ে সময় নিয়ে পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন।
উপসংহার:
বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথ্য সংগ্রহের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। পরিবার, বন্ধু, এবং সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমেও তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। সময় নিয়ে এবং ধৈর্য ধরে সিদ্ধান্ত নেওয়াই সবচেয়ে ভালো।
আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস