Site icon Kabinbd Blog

বিয়ে করার সঠিক সময় কখন ?

বিয়ের উপযুক্ত বয়স কত?

বিয়ের সঠিক সময় নির্ধারণ করা একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা বিবেচনা করা উচিত:

কিছু গবেষণামতে:

কিছু টিপস:

মনে রাখবেন, বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

‘দাওয়াত পাচ্ছি না কেন’—

একটি নির্দিষ্ট বয়স পেরোলেই তরুণ-তরুণীদের দিকে ছুটে যায় এমন ইঙ্গিতপূর্ণ জিজ্ঞাসা।

অতটা ভণিতা না করে কেউ সরাসরিই জিজ্ঞেস করেন, ‘বিয়ে করছ কবে?’ এমন সব প্রশ্নের

উত্তর দেওয়া খুব কঠিন কাজ। ‘একটু গুছিয়ে নিই’, ‘আরে বয়স তো এখনো আছে’ বলে পার

পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলে। কিন্তু আসলেই কোন বয়সে বিয়ে করা উচিত? জীবনের কোন পর্যায়ে

থাকলে বিয়ে করার সময়টাকে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হয়?

Kabinbd

শুধু বয়স নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আরও কিছু ব্যাপার। যিনি বিয়ে করছেন, সেই ছেলে বা

মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত কি না, জীবনের এত বড় দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেকে

উপযুক্ত ভাবছেন কি না, ক্যারিয়ারের কোন পর্যায়ে আছেন…এমন অনেক বিষয় কাজ করে।

আবার এও ঠিক, এসব নিয়ে বেশি বেশি ভাবতে গিয়ে বা দুশ্চিন্তা করতে গিয়ে অনেকে সঠিক

সময়ে বিয়েটাই করে উঠতে পারেন না।

একটি নির্দিষ্ট বয়স নিশ্চয়ই আছে, যে বয়সটা সংসার গুছিয়ে আনার জন্য সবচেয়ে ভালো।

গুহামানবদের যুগ থেকেই এ বিষয়টি ধ্রুবসত্য! ১৩-১৪ বছর বয়সে বয়ঃপ্রাপ্ত হলেও বিবাহিত

জীবন বা পারিবারিক জীবনে তারা ঢুকত আরও পরে। যখন তারা নিশ্চিত হতো শিকার করে সঙ্গী

ও সন্তানদের বাঁচানোর ক্ষমতা রাখছে, তখনই পারিবারিক জীবনে ঢুকত পুরুষ। নারীরাও সন্তান

পালনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেই পারিবারিক জীবনে আগ্রহী হতো।

আধুনিক সমাজও এটা মেনে চলে। এ নিয়ে ২০১৫ সালে একটি গবেষণা চালিয়েছে ইউটাহ

বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষক নিকোলাস উলফফিঙ্গার দাবি করেন, বিয়ের আদর্শ সময় খুঁজে পেয়েছেন

তিনি। বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সবাইকে ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে বিয়ে করার

পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উলফফিঙ্গার লিখেছেন, ‘বয়স বিশের শেষভাগে পৌঁছালে বিয়েতে

বিচ্ছেদের সম্ভাবনা কমতে থাকে। তবে বয়স যখনই মধ্যত্রিশ পার হয়ে যায়, ততই সে ঝুঁকি

আবার ফিরে আসে।’

এ গবেষণা শুধু পশ্চিমা বিশ্বের জন্য নয়, সব দেশ ও সংস্কৃতির জন্যই

সঠিক বলে দাবি উলফফিঙ্গারের।

আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে চাইলে, এই বয়সটাতেই (২৮-৩২) কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সারা জীবন

কাটানোর পক্ষে সঠিক যুক্তি খুঁজে পায় মানুষ। এই বয়সেই পরিণতবোধ আসে। তারুণ্যের

অস্থিরতা কাটতে থাকে। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। জীবনের এ পর্যায়ে এসে

বুঝতে পারে, আসলেই এ মানুষটা তাঁর যোগ্য কি না। কর্মজীবনেও এই বয়সে এসে স্থিতি আসে

মানুষের জীবনে।

তাই ২৮ থেকে ৩২ বছর বয়সের মধ্যেই বিয়েটা সেরে ফেলা ভালো। সন্তান নেওয়া ও তাকে একটা

পর্যায় পর্যন্ত অভিভাবকের ছায়া দেওয়ার জন্যও ভালো সময় পাওয়া যায়।

আর সঠিক সময়ে বিয়ে না করার কারনে দেখা যায় মানুষের সামাজিক গ্রহন যোগ্যতা কমে যায়,

পারিবারিক গুরুত্ব কমে যায় তার ব্যাক্তিতিত্ত মানুষের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হয় ,

বিয়ে না করা মানুষগুলো অল্প বয়সেই তার কর্ম শক্তি হারিয়ে ফেলে ,

তবে এই বয়সে পড়েছেন বলেই বিয়ে করে ফেলতেই হবে, তাও নয়। বিশেষ করে এসব

কারণে কখনোই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেবেন না—

* বন্ধুরা সবাই বিয়ে করছে বলে

* আত্মীয়স্বজনের প্রশ্নের উত্তর দিতে ক্লান্ত বলে

* কেবল একাকী বোধ করছেন বলে

* আপনার ছোট ভাইবোনদের বিয়ের বয়স হয়ে গেছে বলে

* শেষ বয়সে সঙ্গী দরকার, এটা ভেবে

* সন্তান পেতে চান, এ জন্য

* সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকা বিয়ে করেছে, তার পাল্টা জবাব দিতে

তাহলে কখন বিয়ে করবেন? যখন এমন কাউকে খুঁজে পাবেন, যাঁর সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য

বাকি জীবনটাও যথেষ্ট মনে হবে না!

marriage

Exit mobile version