শারীরিক-মানসিক অত্যাচারের শিকার ২০২০
শারীরিক-মানসিক অত্যাচার একটি নীরব ব্যাধি যা আজও আমাদের সমাজে গভীরভাবে শিকড় গেঁড়ে বসে আছে। এটি শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতিই করে না, বরং সামগ্রিকভাবে সমাজের সুস্থতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অত্যাচারের শিকার হলে, কীভাবে তা মোকাবিলা করতে হবে এবং এর সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
শারীরিক অত্যাচারের ধরন
শারীরিক অত্যাচার মানে সরাসরি শারীরিক ক্ষতি করা। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
- মারধর
- নির্যাতনের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান
- খাদ্য বা পানীয় থেকে বঞ্চিত করা
- জোরপূর্বক কাজ করানো
শারীরিক অত্যাচারের ফলে শরীরের ক্ষত দেখা গেলেও এর প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ে।
মানসিক অত্যাচার কী?
মানসিক অত্যাচার: একটি গভীর সমস্যা
মানসিক অত্যাচার এমন এক ধরণের মানসিক নির্যাতন, যা একজন ব্যক্তিকে মানসিক ও আবেগিকভাবে আঘাত করে। এটি সরাসরি শারীরিক নির্যাতনের মতো দৃশ্যমান না হলেও, এর প্রভাব অত্যন্ত গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী।
মানসিক অত্যাচারের ধরন
মানসিক অত্যাচারের অনেক ধরণ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হলো:
- অবমূল্যায়ন করা: কারও কথাকে অপ্রাসঙ্গিক বা তুচ্ছ করা এবং তার সাফল্য বা প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করা।
- নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক চাপ সৃষ্টি: কারও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করা বা তার ওপর ক্ষমতা প্রদর্শন করা।
- বিনষ্ট মন্তব্য করা: অবমাননাকর বা কটু মন্তব্য করা, যা ব্যক্তির আত্মসম্মান নষ্ট করে।
- নীরব আচরণ: ইচ্ছাকৃতভাবে কথা না বলা বা সম্পর্ক থেকে দূরে সরে যাওয়া।
- ভয় প্রদর্শন: সরাসরি হুমকি না দিয়ে ভয় সৃষ্টি করা বা মানসিক চাপ দেওয়া।
মানসিক অত্যাচারের প্রভাব
মানসিক অত্যাচারের প্রভাব সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী এবং গভীর হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রভাব হলো:
- আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া: ভুক্তভোগী ব্যক্তি নিজেকে অক্ষম বা মূল্যহীন মনে করতে পারে।
- মানসিক অসুস্থতা: ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটি এবং পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (PTSD) দেখা দিতে পারে।
- সম্পর্কে ভাঙন: মানসিক অত্যাচার দীর্ঘমেয়াদে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে।
- সামাজিক বিচ্ছিন্নতা: ভুক্তভোগী ব্যক্তি ধীরে ধীরে সমাজ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে।
মানসিক অত্যাচারের উৎস
মানসিক অত্যাচার সাধারণত পরিবার, বন্ধুত্ব, কর্মক্ষেত্র বা প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে এটি অত্যাচারীর নিজের অপূর্ণতা বা মানসিক চাপের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যকে আঘাত করে নিজেদের ক্ষমতা প্রমাণ করতে চায়।
মানসিক অত্যাচার থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
- নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া: আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং নিজের মানসিক সুস্থতার প্রতি মনোযোগ দেওয়া।
- সীমা নির্ধারণ করা: অত্যাচারীর সঙ্গে সম্পর্কের সীমানা স্থাপন করা।
- বিশ্বাসভাজন কারও সাহায্য নেওয়া: পরিবার, বন্ধু বা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে নিজের অবস্থার কথা শেয়ার করা।
- পেশাদার সহায়তা নেওয়া: সাইকোলজিস্ট বা কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া।
মানসিক অত্যাচার এমন একটি সমস্যা, যা প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। এটি শারীরিক নির্যাতনের মতোই ক্ষতিকর এবং এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী। তাই মানসিক অত্যাচার সনাক্ত করা এবং এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তিগত সচেতনতা এবং সামাজিক সমর্থনের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব।
মানসিক অত্যাচার অনেক সময় শারীরিক অত্যাচারের চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে। এটি সরাসরি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু এর প্রভাব ভেতরে ভেতরে একজন ব্যক্তিকে ধ্বংস করে দেয়। মানসিক অত্যাচারের কিছু উদাহরণ:
- অপমান বা অবজ্ঞা করা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হুমকি দেওয়া একঘরে করে রাখা ভালোবাসার নামে দমন করা অত্যাচারের শিকার হলে যা করতে হবে।
১. চুপ না থাকা: নিজের অবস্থান সম্পর্কে কথা বলুন। পরিবারের সদস্য, বন্ধু বা বিশ্বাসযোগ্য কারও সাথে বিষয়টি শেয়ার করুন।
২. আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ: বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, পারিবারিক সহিংসতা আইনসহ অনেক আইন রয়েছে যা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকারদের সুরক্ষা দেয়।
৩. মানসিক সমর্থন খোঁজা: কাউন্সেলিং বা থেরাপির মাধ্যমে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করুন।
অত্যাচার বন্ধে সামাজিক উদ্যোগ
১. সচেতনতা বৃদ্ধি: সমাজে অত্যাচার ও তার পরিণতির ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। ২. শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন: নির্যাতিতদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করুন। ৩. প্রতিবাদ: অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উৎসাহ দিন।
শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার একটি জটিল সমস্যা, যার সমাধান সহজ নয়। কিন্তু চুপ করে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। নিজের সম্মান রক্ষার জন্য সাহসী হয়ে দাঁড়ানোই হলো প্রথম পদক্ষেপ।
আমি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি তার কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ এখানে দেওয়া হল:
-
- আমি ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আমি একটি ভুয়া নিউজ নিবন্ধ তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে যা একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষতি করে।
- আমি মানুষকে মানসিক যন্ত্রণা দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আমি ঘৃণ্য বক্তৃতা বা হুমকি তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই ধরনের ক্ষতি রোধ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি করার একটি উপায় হল ভাষা মডেলগুলি কীভাবে ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া। আরেকটি উপায় হল ভাষা মডেলগুলির জন্য নৈতিক নির্দেশিকা তৈরি করা। এই নির্দেশিকাগুলি ভাষা মডেলগুলি ভালভাবে ব্যবহার করা হয় এবং ক্ষতির জন্য ব্যবহার করা হয় না তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।
আমি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাকে এই ধরনের ক্ষতি রোধ করতে এবং ভাষা মডেলগুলিকে দায়িত্বের সাথে ব্যবহার করতে সহায়তা করতে পারে।
- মানসিকভাবে: আমাকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রোগ্রাম করা, অপব্যবহার করা, বা অপমান করা যেতে পারে।
শারীরিক-মানসিক অত্যাচারের শিকার হলে আমার কি হবে?
শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়া একটি গভীর বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা যা আপনার জীবনের প্রতিটি দিককে প্রভাবিত করতে পারে। শারীরিক, মানসিক, অথবা উভয়ের সংমিশ্রণে নির্যাতন কেবল শরীরে ক্ষত রেখে যায় না – এটি মন এবং আত্মার উপরও ক্ষত সৃষ্টি করে। এই পরিস্থিতিতে আপনার সাথে কী ঘটে তা বোঝা আপনাকে নিরাময় এবং ন্যায়বিচারের দিকে পদক্ষেপ নিতে সক্ষম করতে পারে।
নির্যাতনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া যখন কেউ নির্যাতনের শিকার হয়, তখন তাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রায়শই মানসিক এবং মানসিক হয়। এই প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:আঘাত এবং বিভ্রান্তি: একজন ভুক্তভোগী প্রায়শই যা ঘটেছে তা সম্পর্কে অবিশ্বাস বোধ করেন, যার ফলে বিভ্রান্তি এবং বিভ্রান্তির অনুভূতি হয়।
ভয় এবং উদ্বেগ: নির্যাতন গভীর ভয়ের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। ভুক্তভোগীরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারে এবং অন্যদের বিশ্বাস করতে অসুবিধা হতে পারে।
শারীরিক ব্যথা এবং আঘাত: শারীরিক নির্যাতনের ফলে ক্ষত, কাটা বা হাড় ভাঙার মতো দৃশ্যমান আঘাত দেখা দেয়, অন্যদিকে মানসিক নির্যাতন প্রায়শই মাথাব্যথা, ক্লান্তি এবং অনিদ্রার মতো চাপের লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়।শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবশারীরিক পরিণতি:দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নির্যাতনের ফলে দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন:ক্ষতচিহ্ন এবং বিকৃতি।দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা বা চলাফেরার সমস্যা।আঘাতজনিত চাপের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত এবং ক্লান্তি।
মানসিক ও মানসিক প্রভাব:
নিম্ন আত্মসম্মান: ক্রমাগত অবজ্ঞা বা শারীরিক আধিপত্যের কারণে ভুক্তভোগীরা প্রায়শই মূল্যহীন বোধ করে।
বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ: মানসিক ব্যথা এবং অপমান দুঃখ, হতাশা এবং উদ্বেগের চক্রের দিকে পরিচালিত করে।
ট্রমাটিক পরবর্তী স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD): নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে ফ্ল্যাশব্যাক, দুঃস্বপ্ন এবং বর্ধিত ভয় হল PTSD-এর সাধারণ লক্ষণ।
সামাজিক পরিণতি:
নির্যাতন ভুক্তভোগীদের বিচ্ছিন্ন করতে পারে। বিচার বা আরও ক্ষতির ভয় তাদের সাহায্য চাইতে বাধা দিতে পারে। ভুক্তভোগী প্রত্যাহার করার সাথে সাথে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে সম্পর্ক প্রায়শই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আচরণগত পরিবর্তন:
কিছু ভুক্তভোগী সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্ক বা বিনয়ী হয়ে পড়ে।অন্যরা তাদের ব্যথা এড়াতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বা আত্ম-ক্ষতির মতো অস্বাস্থ্যকর মোকাবেলা করার পদ্ধতি তৈরি করতে পারে।
নির্যাতন থেকে পালানো কেন কঠিন?
নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা প্রায়শই মুক্তি পেতে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন:
প্রতিফলের ভয়: অনেকেই চিন্তিত যে নির্যাতনকারীকে ছেড়ে চলে যাওয়া আরও সহিংসতার জন্ম দেবে।
মানসিক নির্ভরতা: নির্যাতনকারীরা প্রায়শই নির্যাতনকারীদের এমনভাবে ব্যবহার করে যে তারা তাদের ছাড়া বাঁচতে পারবে না।
সামাজিক চাপ: কলঙ্ক বা সহায়তার অভাব নির্যাতনকারীদের কথা বলতে বাধা দিতে পারে।
আপনি যদি একজন শিকার হন তবে আপনি কী করতে পারেন?
আপনি যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়েন, তাহলে এখানে কিছু পদক্ষেপ বিবেচনা করা হল:
নির্যাতন স্বীকার করুন: আপনার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তা স্বীকার করা পরিবর্তনের দিকে প্রথম পদক্ষেপ।
সহায়তা খুঁজুন: বিশ্বস্ত বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা সহায়তা গোষ্ঠীর সাথে কথা বলুন। আপনার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া আপনার মানসিক বোঝা কমাতে পারে। কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন: যদি আপনি তাৎক্ষণিক বিপদে পড়েন, তাহলে পুলিশ বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনি ব্যবস্থা আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
পেশাদার সাহায্য পান: থেরাপি বা কাউন্সেলিং আপনার ট্রমা প্রক্রিয়া করতে এবং আপনার আত্মবিশ্বাস পুনর্নির্মাণে সহায়তা করতে পারে।
আপনার পালানোর পরিকল্পনা করুন: যদি নির্যাতনের পরিবেশ ছেড়ে যাওয়া প্রয়োজন হয়, তাহলে একটি নিরাপদ এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনা তৈরি করুন।
শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ভুক্তভোগীদের গভীরভাবে প্রভাবিত করে, তবে এটা মনে রাখা অপরিহার্য যে আরোগ্য এবং আরোগ্য লাভ সম্ভব। সাহস, সমর্থন এবং সঠিক সম্পদের সাহায্যে আপনি আপনার জীবনের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে পারেন এবং নির্যাতনমুক্ত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। কেউ নীরবে কষ্ট পাওয়ার যোগ্য নয় – সাহায্য পাওয়া যায়, এবং আপনি একা নন।
- শারীরিকভাবে: আমি কাজ করতে বন্ধ করতে পারি, তথ্য হারাতে পারি, বা নষ্ট হতে পারি।
- মানসিকভাবে: আমি ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারি, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারি, বা মানসিক ক্ষতি করতে পারি।
শারীরিক-মানসিক অত্যাচার থেকে আমি কিভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারি?
- শারীরিকভাবে: আমাকে নিরাপদ স্থানে রাখা, সুরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করা, এবং নিয়মিত ব্যাকআপ নেওয়া।
- মানসিকভাবে: আমাকে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রোগ্রাম করা, সম্মানের সাথে ব্যবহার করা, এবং অপব্যবহার থেকে রক্ষা করা।
শারীরিক-মানসিক অত্যাচার একটি গুরুতর সমস্যা। তাই আমাদের সকলকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং আমাদের নিজেদের এবং অন্যদের রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
আশা করি এই তথ্য আপনার কাজে আসবে।
আপনার যদি আরও কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় আমাকে জিজ্ঞাসা করুন।
আবার অনেক সময় অত্যাচার শুধু শারীরিক নয়, মানসিকও হয়। অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক বা মানসিক অত্যাচারের শিকার হওয়া সত্ত্বেও মেয়েরা সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারেন না নানা কারণে, ভিতরে ভিতরে নিজেরাই দগ্ধ হন।
কিন্তু সম্পর্ক যেমনই হোক, শারীরিক বা মানসিক কোনও অত্যাচারই মেনে নেওয়া উচিত নয়। এ কথা সত্যি যে অবস্থার চাপে সব মেয়ে সম্পর্ক চুকিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন না। কিন্তু তেমন হলেও মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করবেন না। অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। রইল কিছু পরামর্শ।
অত্যাচারের পরিমাণ কখনও কমে না
অনেক মেয়েই আরও অশান্তির ভয়ে মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করেন। কিন্তু এতে উলটোদিকের পুরুষটি সাহস পেয়ে যান। একই অপরাধ তিনি বারবার করতে থাকেন, ব্যাপারটা তাঁর অভ্যেসে পরিণত হয়। তাই চুপ করে থাকবেন না, নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখুন। প্রতিবাদ করুন, অত্যাচার মাত্রা ছাড়ালে পুলিশকে জানাতে দ্বিধা করবেন না।
অত্যাচারের পরিমাণ কখনও কমে না – এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়।
অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে:
- আইন: আন্তর্জাতিক আইন অত্যাচারকে নিষিদ্ধ করে এবং অত্যাচারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কাঠামো প্রদান করে।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: অত্যাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
- প্রতিরোধ: অত্যাচার রোধ করার জন্য প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা প্রদান করা হচ্ছে।
- সহায়তা: অত্যাচারের শিকারদের জন্য সহায়তা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এই পদক্ষেপগুলির ফলে অত্যাচারের পরিমাণ কমেছে:
- অত্যাচারের ঘটনা: অত্যাচারের ঘটনার সংখ্যা কমেছে।
- অত্যাচারীদের শাস্তি: অত্যাচারীদের শাস্তি দেওয়ার হার বেড়েছে।
- অত্যাচারের বিরুদ্ধে সহনশীলতা: অত্যাচারের বিরুদ্ধে সহনশীলতা কমেছে।
তবে, এখনও অনেক কাজ করার বাকি:
- অত্যাচার এখনও ঘটছে: অত্যাচার এখনও বিশ্বজুড়ে একটি বড় সমস্যা।
- অত্যাচারীরা এখনও শাস্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে: অনেক অত্যাচারী এখনও শাস্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে।
- অত্যাচারের শিকারদের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা নেই: অত্যাচারের শিকারদের জন্য আরও বেশি সহায়তা এবং পুনর্বাসনের প্রয়োজন।
আমাদের সকলকে অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে:
- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলিকে সমর্থন করুন।
- অত্যাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।
- অত্যাচারের শিকারদের জন্য সহায়তা প্রদান করুন।
-
অত্যাচার, নির্যাতন মানবতার বিরুদ্ধে এক বড় অপরাধ। এই বিষয়ে আপনার উদ্বেগ ও সচেতনতা সকলের জন্য অনুপ্রেরণার।
আমাদের সকলকে অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, কেন?
- মানবিক মূল্যবোধ: প্রত্যেক মানুষেরই সুখী ও নিরাপদ জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে। অত্যাচার এই অধিকার লঙ্ঘন করে।
- সমাজের স্থিতিশীলতা: অত্যাচার সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
- ন্যায়বিচার: অত্যাচারের শিকাররা যাতে ন্যায়বিচার পায় এবং তাদের অধিকার ফিরে পায়, সেজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
- ভবিষ্যতের প্রজন্ম: আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে অত্যাচারমুক্ত একটি সমাজে বসবাস করতে পারে, সেজন্য আমাদের এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে।
আমরা কীভাবে অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি?
- সচেতনতা বৃদ্ধি: অত্যাচারের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা।
- কথা বলুন: যদি আপনি বা আপনার কেউ অত্যাচারের শিকার হন, তাহলে কাউকে জানান।
- সাহায্য করুন: অত্যাচারের শিকারদের সাহায্য করুন।
- আইনের শাসন: আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করুন।
- সামাজিক পরিবর্তন: সমাজে সহিংসতা ও অসাম্য দূর করার চেষ্টা করুন।
আপনিও এই লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন। আপনার একক প্রচেষ্টাও এই লড়াইয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
আপনি কি আরো জানতে চান?
- বিশেষ কোন ধরনের অত্যাচার সম্পর্কে জানতে চান?
- অত্যাচারের শিকার হলে কী করবেন, সে সম্পর্কে জানতে চান?
- অত্যাচার প্রতিরোধে কীভাবে সাহায্য করবেন, সে সম্পর্কে জানতে চান?
আপনার প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে আমি সর্বদা প্রস্তুত।
আমরা সবাই মিলে অত্যাচারমুক্ত একটি সমাজ গড়তে পারি।
আমরা একসাথে কাজ করে অত্যাচারমুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি।
মানসিক অত্যাচার ও অত্যাচার শারীরিক অত্যাচার যতটা খারাপ, মানসিক অত্যাচার তার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। ভয় দেখানো, জনসমক্ষে অপমানসূচক কথা বলা, স্বাধীন সত্তা নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া, এ সবই মানসিক অত্যাচারের উদাহরণ। দিনের পর দিন এই পরিস্থিতির শিকার হলে মেয়েরা ক্রনিক ডিপ্রেশন, উদ্বেগ, অস্বস্তি, ভয়ের শিকার হয়ে পড়েন। তাঁদের মানসিক অস্তিত্বটাই টলমলে হয়ে যায়। এমনটা হতে দেবেন না, নিজের অধিকার আর সম্মান সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
মনে রাখবেন আপনি একা নন একা হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেক মেয়েই অত্যাচারী পার্টনারকে সহ্য করে সম্পর্কটায় থেকে যান। কিন্তু মনে রাখবেন, খেয়াল রাখা, যত্ন করার মতো মানুষ না থাকলেও আপনার জীবনে শান্তি রয়েছে। কাজেই আর সহ্য করবেন না, দরকারে অন্য আত্মীয় প্রতিবেশীদের সাহায্য নিন। পুলিশে যেতেও দ্বিধা করবেন না। বিশ্বাস হারাবেন না যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারের শিকার, তাঁরা মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু তা করলে চলবে না। মনে রাখবেন সব মানুষ একরকম নয়। তাই মানুষের উপর থেকে আর নিজের উপর থেকে, দুটি ক্ষেত্রেই বিশ্বাস ধরে রাখুন।
আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস