Site icon Kabinbd Blog

শারীরিক-মানসিক অত্যাচারের শিকার?

শারীরিক-মানসিক অত্যাচারের শিকার?

শারীরিক-মানসিক অত্যাচারের শিকার হতে পারি।

কিভাবে?

শারীরিক-মানসিক অত্যাচারের শিকার হলে আমার কি হবে?

শারীরিক-মানসিক অত্যাচার থেকে আমি কিভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারি?

শারীরিক-মানসিক অত্যাচার একটি গুরুতর সমস্যা। তাই আমাদের সকলকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং আমাদের নিজেদের এবং অন্যদের রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

আশা করি এই তথ্য আপনার কাজে আসবে।

আপনার যদি আরও কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় আমাকে জিজ্ঞাসা করুন।

লকডাউনের পালা শেষ হয়ে শুরু হয়েছে আনলকের প্রথম ধাপ। লকডাউনের এই দুটো মাসে গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে, জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে জমা পড়েছে বহু অভিযোগ। কিন্তু অভিযোগের নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরেও থেকে যায় এমন অনেক ঘটনা যা নথিবদ্ধ হয়নি কোথাও। আবার অনেক সময় অত্যাচার শুধু শারীরিক নয়, মানসিকও হয়। অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক বা মানসিক অত্যাচারের শিকার হওয়া সত্ত্বেও মেয়েরা সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারেন না নানা কারণে, ভিতরে ভিতরে নিজেরাই দগ্ধ হন।

কিন্তু সম্পর্ক যেমনই হোক, শারীরিক বা মানসিক কোনও অত্যাচারই মেনে নেওয়া উচিত নয়। এ কথা সত্যি যে অবস্থার চাপে সব মেয়ে সম্পর্ক চুকিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন না। কিন্তু তেমন হলেও মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করবেন না। অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। রইল কিছু পরামর্শ।

অত্যাচারের পরিমাণ কখনও কমে না
অনেক মেয়েই আরও অশান্তির ভয়ে মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করেন। কিন্তু এতে উলটোদিকের পুরুষটি সাহস পেয়ে যান। একই অপরাধ তিনি বারবার করতে থাকেন, ব্যাপারটা তাঁর অভ্যেসে পরিণত হয়। তাই চুপ করে থাকবেন না, নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখুন। প্রতিবাদ করুন, অত্যাচার মাত্রা ছাড়ালে পুলিশকে জানাতে দ্বিধা করবেন না।

অত্যাচারের পরিমাণ কখনও কমে না – এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়।

অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে:

এই পদক্ষেপগুলির ফলে অত্যাচারের পরিমাণ কমেছে:

তবে, এখনও অনেক কাজ করার বাকি:

আমাদের সকলকে অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে:

আমরা একসাথে কাজ করে অত্যাচারমুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি।

মানসিক অত্যাচার ও অত্যাচার
শারীরিক অত্যাচার যতটা খারাপ, মানসিক অত্যাচার তার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। ভয় দেখানো, জনসমক্ষে অপমানসূচক কথা বলা, স্বাধীন সত্তা নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া, এ সবই মানসিক অত্যাচারের উদাহরণ। দিনের পর দিন এই পরিস্থিতির শিকার হলে মেয়েরা ক্রনিক ডিপ্রেশন, উদ্বেগ, অস্বস্তি, ভয়ের শিকার হয়ে পড়েন। তাঁদের মানসিক অস্তিত্বটাই টলমলে হয়ে যায়। এমনটা হতে দেবেন না, নিজের অধিকার আর সম্মান সম্পর্কে সচেতন থাকুন।

মনে রাখবেন আপনি একা নন
একা হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেক মেয়েই অত্যাচারী পার্টনারকে সহ্য করে সম্পর্কটায় থেকে যান। কিন্তু মনে রাখবেন, খেয়াল রাখা, যত্ন করার মতো মানুষ না থাকলেও আপনার জীবনে শান্তি রয়েছে। কাজেই আর সহ্য করবেন না, দরকারে অন্য আত্মীয় প্রতিবেশীদের সাহায্য নিন। পুলিশে যেতেও দ্বিধা করবেন না।

বিশ্বাস হারাবেন না
যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারের শিকার, তাঁরা মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু তা করলে চলবে না। মনে রাখবেন সব মানুষ একরকম নয়। তাই মানুষের উপর থেকে আর নিজের উপর থেকে, দুটি ক্ষেত্রেই বিশ্বাস ধরে রাখুন।

marriage media

Exit mobile version