কম বয়সে বিয়ে করার দারুন সব উপকারিতা
কম বয়সে বিয়ে করার দারুন সব উপকারিতা
কম বয়সে বিয়ে করার কিছু সুবিধা থাকতে পারে, তবে অনেক ঝুঁকিও রয়েছে।
সুবিধা:
- ভালোবাসা ও সঙ্গ: কম বয়সে বিয়ে করলে দীর্ঘ সময় ধরে সঙ্গীর সাথে জীবনযাপন করা সম্ভব।
ভালোবাসা ও সঙ্গ মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভালোবাসা:
- সংজ্ঞা: ভালোবাসা হলো একজন ব্যক্তির প্রতি তীব্র অনুভূতি, আগ্রহ এবং যত্ন।
- প্রকারভেদ: পরিবার, বন্ধু, সঙ্গী, সন্তান, এমনকি পোষা প্রাণীর প্রতিও ভালোবাসা থাকতে পারে।
- গুরুত্ব: ভালোবাসা মানুষকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখে, সুখী করে তোলে এবং জীবনে অনুপ্রেরণা যোগায়।
সঙ্গ:
- সংজ্ঞা: সঙ্গ হলো একজন ব্যক্তির পাশে থাকা, সহায়তা করা এবং সঙ্গ দেওয়া।
- প্রকারভেদ: পরিবার, বন্ধু, সঙ্গী, এমনকি পোষা প্রাণীও সঙ্গী হতে পারে।
- গুরুত্ব: সঙ্গ মানুষকে একাকীত্ব থেকে রক্ষা করে, মানসিক শক্তি যোগায় এবং জীবনে আনন্দ দান করে।
ভালোবাসা ও সঙ্গের সম্পর্ক:
- ভালোবাসার মাধ্যমে সঙ্গ: ভালোবাসার মাধ্যমে সঙ্গী পাওয়া যায়।
- সঙ্গের মাধ্যমে ভালোবাসা: সঙ্গীর মাধ্যমে ভালোবাসা বিকশিত হয়।
- পরস্পর পরিপূরক: ভালোবাসা ও সঙ্গ একে অপরের পরিপূরক।
ভালোবাসা ও সঙ্গের উপকারিতা:
- মানসিক সুস্থতা: ভালোবাসা ও সঙ্গ মানুষকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখে।
- শারীরিক সুস্থতা: ভালোবাসা ও সঙ্গ মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
- সুখী জীবন: ভালোবাসা ও সঙ্গ মানুষের জীবনে সুখ ও আনন্দ দান করে।
ভালোবাসা ও সঙ্গ পেতে হলে:
- নিজেকে ভালোবাসা: প্রথমে নিজেকে ভালোবাসতে হবে।
- অন্যদের প্রতি ভালোবাসা: পরিবার, বন্ধু, সঙ্গী, এমনকি পোষা প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা দেখাতে হবে।
- সম্পর্কের যত্ন: ভালোবাসার সম্পর্কের যত্ন নিতে হবে।
মনে রাখবেন, ভালোবাসা ও সঙ্গ মানুষের জীবনের অমূল্য সম্পদ।
- শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কম বয়সে বিয়ে করা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা মানুষের সুখী ও সুন্দর জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক।
শারীরিক সুস্থতা:
- সংজ্ঞা: শারীরিক সুস্থতা বলতে বোঝায় রোগ-বালাই থেকে মুক্ত থাকা এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় ও কর্মক্ষম থাকা।
- উপকারিতা: শারীরিক সুস্থতা মানুষকে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপন করতে সাহায্য করে।
- কিছু উপায়: নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমানো, ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা ইত্যাদি।
মানসিক সুস্থতা:
- সংজ্ঞা: মানসিক সুস্থতা বলতে বোঝায় ভালোভাবে চিন্তা করতে, অনুভব করতে এবং সম্পর্ক স্থাপন করতে পারার ক্ষমতা।
- উপকারিতা: মানসিক সুস্থতা মানুষকে মানসিক চাপ মোকাবেলা করতে এবং জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।
- কিছু উপায়: নিয়মিত মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো, ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করা ইত্যাদি।
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার সম্পর্ক:
- পরস্পর পরিপূরক: শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা একে অপরের পরিপূরক।
- একটির উপর অন্যটির প্রভাব: শারীরিক অসুস্থতা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে এবং মানসিক অসুস্থতা শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য:
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমানো, ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা ইত্যাদি।
- মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা: মানসিক চাপ মোকাবেলা করার জন্য কার্যকর উপায় খুঁজে বের করা।
- সামাজিক সম্পর্ক: পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা।
- পেশাদার সাহায্য: প্রয়োজনে মনোবিজ্ঞানী বা মনো
মনে রাখবেন, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা মানুষের সুখী ও সুন্দর জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক।
- সন্তান ধারণ: কম বয়সে সন্তান ধারণ করা সহজ এবং সন্তানের সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বেশি।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে বিবেচ্য বিষয়:
- বয়স: গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত সময় ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে।
- স্বাস্থ্য: মা ও বাবার সুস্থতা গর্ভধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- মানসিক প্রস্তুতি: সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত কিনা তা ভেবে দেখা।
- আর্থিক স্থিতিশীলতা: সন্তানের লালনপালনের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্য আছে কিনা তা বিবেচনা করা।
- পারিবারিক ও সামাজিক সহায়তা: সন্তানের লালনপালনে সহায়তার জন্য পরিবার ও সমাজের সহায়তা পাওয়া যাবে কিনা তা ভেবে দেখা।
গর্ভধারণের প্রস্তুতি:
- ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ: গর্ভধারণের ৩ মাস আগে থেকে ফলিক অ্যাসিড খাওয়া শুরু করা।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গর্ভধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায়।
- ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা: ধূমপান ও মদ্যপান গর্ভধারণের জন্য ক্ষতিকর।
- চিকিৎসকের পরামর্শ: গর্ভধারণের আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
গর্ভধারণের পর:
- নিয়মিত গর্ভপরীক্ষা: নিয়মিত গর্ভপরীক্ষা করা গর্ভবতী মায়ের ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: গর্ভবতী মায়ের সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত।
- নিয়মিত ব্যায়াম: হালকা ব্যায়াম গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী।
- মানসিক চাপ এড়ানো: গর্ভবতী মায়ের মানসিক চাপ এড়ানো উচিত।
- ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা: ধূমপান ও মদ্যপান গর্ভবতী মায়ের ও শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
সন্তান লালনপালন:
- শিশুর স্বাস্থ্যের যত্ন: শিশুর নিয়মিত টিকা দেওয়া এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
- শিশুর শিক্ষা: শিশুর সঠিক শিক্ষা ও লালনপালনের ব্যবস্থা করা।
- শিশুর মানসিক বিকাশ: শিশুর মানসিক বিকাশে সাহায্য করা।
- শিশুর সাথে ভালো সম্পর্ক: শিশুর সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা।
মনে রাখবেন, সন্তান ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
- আর্থিক স্থিতিশীলতা: দুজন मिलकर আর্থিকভাবে স্থিতিশীল হতে পারে।
আর্থিক স্থিতিশীলতা বলতে বোঝায়:
- নিয়মিত আয়: নিয়মিত আয়ের উৎস থাকা।
- সঞ্চয়: ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করতে পারা।
- ঋণ পরিশোধ: ঋণ নিয়ে থাকলে তা সময়মতো পরিশোধ করতে পারা।
- অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য প্রস্তুতি: অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য কিছু অর্থ জমা রাখা।
আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের উপায়:
- বাজেট তৈরি: একটি বাজেট তৈরি করে আয় ও ব্যয়ের হিসাব রাখা।
- অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো: অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে অর্থ সঞ্চয় করা।
- আয় বৃদ্ধি: আয় বৃদ্ধির জন্য নতুন উপায় খোঁজা।
- ঋণ এড়ানো: যতটা সম্ভব ঋণ নেওয়া এড়ানো।
- বিনিয়োগ: ভবিষ্যতের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করা।
আর্থিক স্থিতিশীলতার গুরুত্ব:
- মানসিক শান্তি: আর্থিক স্থিতিশীলতা মানসিক শান্তি ও নিরাপত্তা দেয়।
- ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি: আর্থিক স্থিতিশীলতা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে সাহায্য করে।
- জীবনের মান উন্নত: আর্থিক স্থিতিশীলতা জীবনের মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য কিছু টিপস:
- আর্থিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন: আর্থিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ।
- পেশাদারের পরামর্শ: প্রয়োজনে একজন আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নেওয়া।
- ধৈর্য্য ধরা: আর্থিক স্থিতিশীলতা রাতারাতি অর্জন করা সম্ভব নয়। ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা করতে হবে।
মনে রাখবেন, আর্থিক স্থিতিশীলতা একটি সুখী ও সুন্দর জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ঝুঁকি:
- শারীরিক ও মানসিক পরিণত না হওয়া: কম বয়সে শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিণত না হওয়ায় বিয়ের দায়িত্ব নেওয়া কঠিন হতে পারে।
- শিক্ষা ও কর্মজীবনের ব্যাঘাত: কম বয়সে বিয়ে করলে শিক্ষা ও কর্মজীবনের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
- সম্পর্কে অসঙ্গতি: কম বয়সে মানুষের পছন্দ-অপছন্দ দ্রুত পরিবর্তিত হয়, তাই সম্পর্কে অসঙ্গতি দেখা দিতে পারে।
- ঝুঁকি বেশি: কম বয়সে বিয়ে করলে তালাকের ঝুঁকি বেশি থাকে।
কম বয়সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত:
- শারীরিক ও মানসিক পরিণত হওয়া: বিয়ের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিণত কিনা তা ভেবে দেখা।
- শিক্ষা ও কর্মজীবন: বিয়ে করলে শিক্ষা ও কর্মজীবনের কী হবে তা ভেবে দেখা।
- পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থা: পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত কিনা তা ভেবে দেখা।
- সঙ্গীর সাথে সামঞ্জস্য: সঙ্গীর সাথে মানসিক, সামাজিক ও আর্থিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা ভেবে দেখা।
মনে রাখবেন, বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কম বয়সে বিয়ে করার আগে সব দিক ভেবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
অনেকেরই ধারণা বেশি বয়সে বিয়ে করাই সঠিক। কারণ বিয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ও জড়িত থাকে বলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত অনেকেই বিয়ের কথা ভাবতে না করেন।
কিন্তু জানেন কি, দ্রুত বিয়ে করে ফেলার সিদ্ধান্তই বুদ্ধিমানের মতো কাজ। এতে জীবনটা অনেক বেশিই সহজ হয়ে যাবে।
জেনে নেয়া যাক কম বয়সে বিয়ে করার সুফলগুলো-
*আগে বিয়ে করলে আপনার কাছে এসে কেউ ‘কেন বিয়ে করছ না’, ‘কবে বিয়ে করবে’, ‘বয়স বেড়ে যাচ্ছে’, ‘কাউকে পছন্দ কর কি’ ইত্যাদি বিরক্তিকর কথা শোনার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
*সন্তানের জন্য খুব ভালো মাতা-পিতার উদাহরণ হতে পারবেন যদি বিয়ে আগে করে ফেলেন। আপনি দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান মানুষ করার বিষয়টিও পিছিয়ে যাবে। আর আপনার মানিসকতাও কিন্তু দিনকে দিন নষ্ট হতে থাকবে।
*আপনি যদি ৩০ পার করে বিয়ে করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি মধুর ও ঘনিষ্ঠ হবে না। ব্যাপারটি বরং এমন হবে যে, বিয়ে করা উচিত তাই বিয়ে করেছি। এ কারণে আগেই বিয়ে করা ভালো। যখন আবেগ কাজ করে অনেক।
*একাই সুখ-দুঃখ ভোগ করার চেয়ে দু’জনে ভাগাভাগি করে নিলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অল্প বয়সে বিয়ে করলে জীবনের সবকিছু ভাগ করে নেয়া যায়। ফলে মানসিক চাপটাও কম পড়ে।
*বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জন্য কতটা সময় পান? বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সন্তানের দায়িত্ব এসে পড়ে। আর সন্তান হয়ে গেলে দু’জনের একান্ত সময় কাটানো খুব বেশি হয়ে ওঠে না। কিন্তু অল্প বয়সে বিয়ে করলে সঙ্গীর সঙ্গে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। এতে সম্পর্ক অনেক ভালো ও মধুর থাকে।
*দুর্ভাগ্যবশত অনেকেই বিয়ের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যাও বাড়ছে। জলদি বিয়ে করার কিন্তু এই দিক থেকেও সুবিধা রয়েছে। যদি অল্প বয়সে বিয়ে করার পর, কোনো কারণে যদি সম্পর্ক ভেঙেও যায়, তারপরও জীবনটাকে নতুন করে গুছিয়ে নেয়ার দ্বিতীয় সুযোলাস্টনিউজবিডি/মারুফগ পাওয়া যায়।
al