banner
kabinbd

খারাপের মাঝেও ভালো থাকার রয়েছে কিছু পন্থা।

 

খারাপের মাঝেও ভালো থাকার রয়েছে কিছু পন্থা।

kabinbd

খারাপের মাঝেও ভালো থাকার রহস্য:

জীবন অনিশ্চিত, সুখ-দুঃখের মিশ্রণ। খারাপ সময় আসে, আবার ভালো সময়ও আসে। কিন্তু খারাপ সময়ের মধ্যেও ভালো থাকার উপায় আছে। এই বিষয়ে আলোচনা করবে এই লেখা।

খারাপ সময় কী?

জীবনের যেকোনো পরিস্থিতি যা আমাদের মানসিক, শারীরিক, বা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাকে খারাপ সময় বলা যেতে পারে। প্রিয়জনের মৃত্যু, চাকরি হারানো, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা, আর্থিক সংকট ইত্যাদি খারাপ সময়ের উদাহরণ।

খারাপ সময় হলো জীবনের এমন একটা পর্যায় যেখানে আমরা বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জ, বাধা, এবং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হই। এই সময়গুলোতে আমাদের মানসিক, শারীরিক, এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নড়বড়ে হতে পারে।

খারাপ সময়ের কিছু উদাহরণ:

  • প্রিয়জনের মৃত্যু: প্রিয়জনের মৃত্যু জীবনে একটি বড় ধাক্কা হতে পারে।
  • চাকরি হারানো: চাকরি হারানোর ফলে আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে।
  • দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা: দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্তিকর হতে পারে।
  • পারিবারিক সমস্যা: পারিবারিক বিবাদ, বিবাহবিচ্ছেদ, বা সন্তানের সাথে সমস্যার ফলে মানসিক অশান্তি দেখা দিতে পারে।
  • আর্থিক সংকট: ঋণের বোঝা, আয়ের অভাব, বা ব্যবসায়িক ক্ষতির ফলে আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে।

খারাপ সময়ের প্রভাব:

খারাপ সময় আমাদের জীবনে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ: খারাপ সময়ের ফলে আমরা মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং হতাশার শিকার হতে পারি।
  • ঘুমের সমস্যা: চিন্তা-ভাবনার কারণে ঘুমাতে অসুবিধা হতে পারে।
  • ক্ষুধামান্দ্য বা অতিরিক্ত খাওয়া: মানসিক চাপের কারণে ক্ষুধামান্দ্য বা অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • শারীরিক সমস্যা: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন মাথাব্যথা, পেট খারাপ, বা উচ্চ রক্তচাপ।
  • সামাজিক সম্পর্কে সমস্যা: খারাপ সময়ের ফলে আমাদের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।

খারাপ সময়ের মধ্যেও ভালো থাকার উপায়:

খারাপ সময় কেবলমাত্র আমাদের জীবনের একটি অংশ। এই সময়গুলোতেও আমরা কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভালো থাকার চেষ্টা করতে পারি।

  • নিজের অনুভূতিগুলোকে স্বীকার করুন: নিজের অনুভূতিগুলোকে চেপে না রেখে সেগুলোকে স্বীকার করুন। কান্না করা, রাগ করা, বা হতাশ বোধ করা – এসব অনুভূতিগুলোকে অনুভব করার অধিকার আপনার আছে।
  • নিজের যত্ন নিন: পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে।
  • প্রিয়জনদের সাথে কথা বলুন: আপনার অনুভূতিগুলো প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন।

খারাপ সময়ের প্রভাব:

খারাপ সময় আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। আমরা হতাশ, দুঃখী, রাগান্বিত, এবং উদ্বিগ্ন বোধ করতে পারি। এছাড়াও, খারাপ সময় আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা ঘুমাতে অসুবিধা, ক্ষুধামান্দ্য, এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে পারি।

জীবনে খারাপ সময় আসা স্বাভাবিক। এই সময়গুলো আমাদের মানসিক, শারীরিক, এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

মানসিক প্রভাব:

  • হতাশা: খারাপ সময়ের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে হতাশার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • উদ্বেগ: ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা এবং চিন্তার কারণে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।
  • রাগ: নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার অনুভূতি এবং ক্ষোভের কারণে রাগ অনুভূত হতে পারে।
  • অপরাধবোধ: নিজের পরিস্থিতির জন্য নিজেকে দোষারোপ করার ফলে অপরাধবোধ দেখা দিতে পারে।
  • একা থাকার ইচ্ছা: মানুষের সাথে মিশতে অনাগ্রহী হতে পারেন এবং একা থাকতে পছন্দ করতে পারেন।

শারীরিক প্রভাব:

  • ঘুমের সমস্যা: চিন্তা-ভাবনার কারণে ঘুমাতে অসুবিধা হতে পারে।
  • ক্ষুধামান্দ্য বা অতিরিক্ত খাওয়া: মানসিক চাপের কারণে ক্ষুধামান্দ্য বা অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • শারীরিক ব্যথা: মাথাব্যথা, পেট খারাপ, বা উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া: মানসিক চাপের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে পারে।

আর্থিক প্রভাব:

  • আয়ের অভাব: চাকরি হারানো বা ব্যবসায়িক ক্ষতির ফলে আয়ের অভাব দেখা দিতে পারে।
  • ঋণের বোঝা: আর্থিক সংকটের ফলে ঋণের বোঝা বেড়ে যেতে পারে।
  • বাসস্থানের সমস্যা: ভাড়া বা গৃহঋণ পরিশোধ করতে অসুবিধা হতে পারে।
  • খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব: আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব দেখা দিতে পারে।

সামাজিক প্রভাব:

  • পারিবারিক সমস্যা: মানসিক চাপের ফলে পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।
  • বন্ধুদের সাথে সম্পর্কের অবনতি: মানসিক অবসাদের কারণে বন্ধুদের সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।
  • সামাজিক বিচ্ছিন্নতা: মানুষের সাথে মিশতে অনাগ্রহী হওয়ার ফলে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা দেখা দিতে পারে।

খারাপ সময়ের প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে:

  • নিজের অনুভূতিগুলোকে স্বীকার করুন এবং সেগুলোকে প্রকাশ করুন।
  • নিজের যত্ন নিন: পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।

খারাপ সময়ের মধ্যেও ভালো থাকার উপায়:

  • নিজের অনুভূতিগুলোকে স্বীকার করুন: খারাপ সময়ের মধ্যে খারাপ অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক। তাই আপনার অনুভূতিগুলোকে চেপে না রেখে স্বীকার করুন। কান্না করা, রাগ করা, বা হতাশ বোধ করা – এসব অনুভূতিগুলোকে অনুভব করার অধিকার আপনার আছে।
  • নিজের যত্ন নিন: খারাপ সময়ের মধ্যে নিজের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে।
  • প্রিয়জনদের সাথে কথা বলুন: আপনার অনুভূতিগুলো প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। তাদের সাহায্য ও সমর্থন আপনাকে এই কঠিন সময় পার করতে সাহায্য করবে।
  • কোনো বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন: যদি আপনি নিজে থেকে এই কঠিন সময় পার করতে না পারেন, তাহলে কোনো মনোবিজ্ঞানী বা থেরাপিস্টের সাহায্য নিতে পারেন।
  • ইতিবাচক দিক খুঁজুন: খারাপ সময়ের মধ্যেও ইতিবাচক দিক খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। ছোট ছোট আনন্দের উৎস খুঁজে বের করুন এবং সেগুলোকে উপভোগ করুন।
  • কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করুন: আপনার জীবনে যা কিছু আছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করুন। এটি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে আরও ইতিবাচক হতে সাহায্য করবে।
  • নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: ভবিষ্যতের জন্য কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

kabinbd

করোনাভাইরাস মহামারীর কবলে চলতি বছরটা সবার জন্যই দুর্বিসহ একটা সময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাইরাসের কবলে অগনিত মানুষ তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। যারা সুস্থ হয়েছেন তাদেরও ধকল কম যায়নি। আর আতঙ্ক হয়ত আজও বিরাজমান পুরো পরিবারে।

যারা ভাইরাসের কবলে পড়েননি, তাদের সময়টাও ভালো যাচ্ছে না কোনো দিক থেকেই। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে গিয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা হয়নি বহুদিন। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, বেতন কমেছে। দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সবদিক মিলিয়ে প্রত্যেকেই একটা মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিন পার করছেন

এই মানসিক অবস্থায় কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনার কয়েকটি উপায় তুলে ধরেছেন মনবিজ্ঞানীরা। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল সেই উপায়গুলো।

ইতিবাচক দিকগুলোতে মনযোগ

যুক্তরাষ্ট্রে ‘কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি ফর বেটার লিভিং’য়ের প্রতিষ্ঠাতা টাটিয়ানা মেস্তেচিকিনা, পিএইচডি বলেন, “চারিদিকে অসংখ্য নেতিবাচক বিষয় থাকলেও ইতিবাচক ঘটনাও কম নেই। নিজের জীবনের সেই ইতিবাচক দিকগুলোর প্রতি নজর দিতে হবে এবং সেগুলোর জন্য মনে কৃতজ্ঞতা পোষণ করার চেষ্টা করতে হবে। একে অভ্যাসে পরিণত করার জন্য প্রতিদিন জীবনের যে বিষয়গুলোর জন্য আপনি ধন্য সেগুলোর তালিকা বানাতে পারেন। সেটা হতে পার সুস্বাদু কোনো খাবার থেকে পারিবারিক প্রসংশা পর্যন্ত যেকোনো কিছুই।”

যে কাজ মনকে চাঙ্গা করে

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট’ ও ‘বিহেভিয়ার হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস’ সংস্থার কর্ণধার সারি শেইট, পিএইচডি বলেন, “এমন একটা কাজ খুঁজে বের করতে হবে তা আপনি প্রতিদিন করলেও বিরক্তি আসে না, বরং আনন্দ পান। এদের মধ্যে থাকতে পারে গান শোনা, বাইরে হাঁটতে যাওয়া, বই পড়া, গরম পানি দিয়ে লম্বা একটা গোসল ইত্যাদি। তবে এমন কাজের শেষ নেই, আপনাকে শুধু আপনার নিজের জন্য কোনটা প্রযোজ্য সেটাই খুঁজে নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “অনেক সময় মন খারাপ থাকলে নিজের প্রিয় কাজগুলোর কথা চট করে মাথায় আসে না। এজন্য আমার রোগীদের প্রায়ই বলি নিজের প্রিয় কাজগুলোর তালিকা বানাতে, যাতে ওই সময়গুলোয় হাতে কাছে মন ভালো করার কি সুযোগ আছে তা দেখে নেওয়া যায়।”

ডাইরি লেখা

ডা. শেইট বলেন, “মন মেজাজ সামলানোর চমৎকার উপায় ডাইরিতে মনে কথাগুলো লেখা। গবেষণায়ও দেখা গেছে এই অভ্যাস হতাশা, মানসিক অস্বস্তি, মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। মনের কষ্ট, ক্ষোভ, ভয়গুলোকে ডায়রিতে লিখে রাখার কোনো ভুল পদ্ধতি নেই। তবে শুধু নেতিবাচক কথাই নয়, জীবনের ভালো দিকগুলো নিয়েও লেখা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল আবেগের স্রোতে গা ভাসিয়ে না দিকে জীবনের আনন্দঘন মুহূর্তগুলোকেও মনে রাখা।”

পরিবার ও বন্ধুদের কাছাকাছি থাকা

ডা. শেইট বলেন, “সামাজিক সম্পর্কগুলো প্রতিটি মানুষের ভালো থাকার জন্য জরুরি। বর্তমান মহামারীর কারণে প্রিয় মানুষগুলো সঙ্গে মেলামেশা হয়ত কঠিন হয়েছে, তবে তা অসম্ভব হয়ে যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন, ভিডিও কলে আড্ডা দিতে পারেন। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাক্ষাৎ করতেও মানা নেই।”

আনন্দঘন মুহূর্তগুলো উপভোগ করা

নিউ ইয়র্কের লেনক্স হিল হাসপাতালের ‘ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট’ সাবরিনা রোমানফ বলেন, “মন খারাপ হলে যদি সেই চিন্তাগুলো নিয়েই পড়ে থাকেন তবে ভালো কিছু হওয়া সম্ভব নয়। মন খারাপের মুহূর্তগুলো আনন্দঘন কোনো পরিবেশে গেলে, জীবনে কোনো খুশির মুহূর্ত আসলে তাকে উপভোগ করার চেষ্টা করতে হবে। নিজের মানসিক গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে বর্তমান অভিজ্ঞতায় সক্রিয় হতে হবে। আপনার আশপাশে মজার কিছু ঘটলে সেদিকে নজর না দিয়ে অতীতে নেতিবাচক ঘটনায় ডুবে থাকাটা নিজের প্রতিই অন্যায়।”

নেগেটিভ ভিজ্যুয়ালাইজেশন

“নেতিবাচক অভিজ্ঞতায় আটকে থাকা খুব সহজ কাজ। তবে আপনি যদি তা থেকে বেরিয়ে আসতে চান তবে প্রথমেই সেই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করা বাদ দিতে হবে, বলেন”, ডা. রোমানফ।

তিনি আরও বলেন, “বরং চিন্তা করুন জীবনের কোনো একটা ভালো ঘটনা বা প্রাপ্তির কথা। এবার ভেবে দেখুন, ওই ঘটনাটা যদি না ঘটত, তবে আপনার জীবন আজ কেমন হত। মনে করুন আপনার প্রিয় বন্ধুর কথা। ভেবে দেখুন তার সঙ্গে পরিচয় না হলে আপনার অবস্থা আজ কি হত। এই চিন্তাগুলো আপনাকে বর্তমানে সে বিষয়গুলো বিষণ্ন করছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।”

matrimony

matchmaking service

marriage media service

আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *