banner
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির কয়েকটি নিশ্চিত উপায়

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির কয়েকটি নিশ্চিত উপায়

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির কয়েকটি নিশ্চিত উপায়

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির কয়েকটি নিশ্চিত উপায়
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির কয়েকটি নিশ্চিত উপায়

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে, এখানে কয়েকটি নিশ্চিত উপায় দেওয়া হল:

1. আপনার চিন্তাভাবনা পর্যবেক্ষণ করুন: প্রথমে আপনার চিন্তাভাবনার ধরণ বুঝতে হবে। কোন বিষয়গুলো আপনাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে? কখন আপনি সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা অনুভব করেন? আপনার চিন্তাভাবনা বাস্তবসম্মত কিনা তা পরীক্ষা করুন।

  • . মনোযোগী হোন: প্রথমে, আপনার চিন্তাভাবনার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। কোন বিষয়গুলো আপনাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে? কখন আপনি সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা অনুভব করেন?
  •  লিপিবদ্ধ করুন: আপনার চিন্তাভাবনা লিপিবদ্ধ করা একটি কার্যকর উপায়। একটি নোটবুক বা জার্নালে আপনার চিন্তা, অনুভূতি এবং দুশ্চিন্তার কারণগুলো লিখে রাখুন।
  • বিশ্লেষণ করুন: আপনার লেখাগুলো পুনরায় পড়ুন এবং বিশ্লেষণ করুন। আপনার চিন্তাভাবনা বাস্তবসম্মত কিনা তা পরীক্ষা করুন।
  • . প্রশ্ন করুন: আপনার চিন্তাভাবনার নেতিবাচক দিকগুলোকে প্রশ্ন করুন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন:
  • এই চিন্তা কি বাস্তবসম্মত?
  • এই চিন্তার ভিত্তি কি?
  • এই চিন্তা কি আমাকে সাহায্য করছে?
  • এই চিন্তার বিকল্প কি হতে পারে?
  • পুনর্গঠন করুন: ন্যায়সঙ্গত ও বাস্তবসম্মত চিন্তাভাবনা দিয়ে নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে প্রতিস্থাপন করুন।
  •  ধৈর্য ধরুন: চিন্তাভাবনা পর্যবেক্ষণ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নিয়মিত অনুশীলন করলে আপনি আপনার চিন্তাভাবনার উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করতে পারবেন।

কিছু অতিরিক্ত টিপস:

  • মেডিটেশন: মেডিটেশন আপনাকে মনোযোগী হতে এবং আপনার চিন্তাভাবনা পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করবে।
  • মাইন্ডফুলনেস: মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন আপনাকে বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগী হতে এবং আপনার চিন্তাভাবনা ও অনুভূতিগুলোকে বিচার না করে গ্রহণ করতে সাহায্য করবে।
  • জার্নালিং: জার্নালিং আপনার চিন্তাভাবনা ও অনুভূতিগুলোকে প্রকাশ করতে এবং সেগুলোকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

মনে রাখবেন, চিন্তাভাবনা পর্যবেক্ষণ একটি দক্ষতা। নিয়মিত অনুশীলন করলে আপনি এই দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন এবং দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

2. নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম দুশ্চিন্তা কমাতে ও মন ভালো করতে সাহায্য করে। হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, যোগব্যায়াম ইত্যাদি ব্যায়াম

শারীরিক সুস্থতা:

  • হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস এবং পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে।
  • রক্তচাপ, রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
  • স্থূলতা রোধে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

মানসিক সুস্থতা:

  • দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা ও চাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • ঘুমের মান উন্নত করে।
  • আত্মবিশ্বাস ও মনোবল বৃদ্ধি করে।
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

কিছু সহজ ব্যায়াম:

  • হাঁটা: এটি একটি সহজ ও কার্যকর ব্যায়াম। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।
  • দৌড়ানো: দৌড়ানো হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের জন্য খুব ভালো।
  • সাঁতার কাটা: সাঁতার কাটা পুরো শরীরের ব্যায়াম।
  • যোগব্যায়াম: যোগব্যায়াম শরীর ও মনের জন্য খুব ভালো।
  • জিম: জিমে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করা যায়।

ব্যায়াম শুরু করার আগে:

  • একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ব্যায়াম নির্বাচন করুন।
  • ধীরে ধীরে শুরু করুন এবং ক্রমশ সময় ও তীব্রতা বাড়ান।
  • ব্যায়ামের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
  • ব্যায়ামের পরে শরীরকে শীতল করুন।

নিয়মিত ব্যায়াম একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অপরিহার্য অংশ। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।

কিছু অতিরিক্ত টিপস:

  • ব্যায়ামকে উপভোগ করুন: এমন ব্যায়াম নির্বাচন করুন যা আপনি উপভোগ করেন।
  • বন্ধু বা পরিবারের সাথে ব্যায়াম করুন: এতে ব্যায়াম করা আরও মজাদার হবে।
  • নিজের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: লক্ষ্য নির্ধারণ করলে অনুপ্রাণিত থাকা সহজ হবে।
  • পুরষ্কার দিন: লক্ষ্য পূরণ করলে নিজেকে পুরষ্কার দিন।

মনে রাখবেন, নিয়মিত ব্যায়াম একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ।

3. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: ঘুমের অভাব দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি করতে পারে। প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।

4. স্বাস্থ্যকর খাবার খান: অস্বাস্থ্যকর খাবার ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি করতে পারে।

5. ধ্যান ও যোগব্যায়াম: নিয়মিত ধ্যান ও যোগব্যায়াম মনকে শান্ত করতে এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।

6. নিজের ভাব প্রকাশ করুন: আপনার ভাবনা ও অনুভূতি নিজের প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। এতে আপনার মন ভালো হবে এবং দুশ্চিন্তা কমবে।

7. নতুন দক্ষতা শিখুন: নতুন কিছু শেখা আপনার মনকে ব্যস্ত রাখতে এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে।

8. পেশাদার সাহায্য নিন: যদি আপনার দুশ্চিন্তা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাহলে একজন মনোবিজ্ঞানী বা মনো

কিছু অতিরিক্ত টিপস:

  • গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
  • প্রকৃতির সাথে সময় কাটান।
  • ইতিবাচক চিন্তাভাবনা চর্চা করুন।
  • কৃতজ্ঞতার অনুশীলন করুন।
  • হাস্যরসের অনুশীলন করুন।

মনে রাখবেন, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে ধৈর্য ও সময় লাগে। নিয়মিতভাবে উপরে উল্লেখিত উপায়গুলো অনুশীলন করলে আপনি দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

kabinbd

টেনশন বা দুশ্চিন্তা মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটি যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। টেনশন ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া আজকাল কঠিন ব্যাপার!

বিভিন্ন গবেষণার ফলে প্রমাণিত হয়েছে, মানসিক চাপ হৃদযন্ত্রের ক্ষতি সাধন করে। নিউ ইয়র্কের রচেস্টার মেডিকল সেন্টারের ‘সেন্টার ফর মাইন্ড-বিডি রিসার্চ’ এর মনোরোগবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক ড. ক্যাথি হেফনার বলেন, “বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা গেছে যে, দুশ্চিন্তা, স্বল্পপুষ্টির খাবার খাওয়া বা ব্যায়াম করার অনীহার ফলে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা যায়, মানসিক চাপের ফলেও সৃষ্ট সমস্যাগুলো সাধারণত আরও ভয়াবহ হয়ে থাকে।”
দারুণ সব লেখা পড়তে ও নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ঘুরে এসো আমাদের ব্লগের নতুন পেইজ থেকে!

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার কিছু উপায় নিয়ে সাজানো হলো এই লেখাটি; যে উপায়গুলো মানসিক চাপ কমিয়ে হৃদয়ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

১। মেডিটেশন

মানসিক চাপ দূর করে মনকে শান্ত করার জন্য মেডিটেশন একটি অত্যন্ত কার্যকরী ব্যায়াম। কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয় এর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২৫ মিনিট করে টানা ৩ দিন মেডিটেশন করলে তা হতাশা এবং দুশ্চিন্তা অনেকখানিই দূর করতে সহায়তা করে। ড. হেফনার বলেন, “ইয়োগা, ধ্যান ইত্যাদি শরীরে দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।”

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত ইয়োগা করেন তারা তুলনামূলক কম শারীরিক সমস্যা বা প্রদাহে ভোগেন।
২। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন

দুশ্চিন্তাকে মাথা থেকে দূরে রাখতে হলে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আপনার মস্তিষ্ক এবং হাত ব্যস্ত থাকে এমন কোন কাজ করুন যেমন গেম খেলুন বা কোন হস্তশিল্প তৈরি করুন। বলা হয়ে থাকে, “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।” এটি কিন্তু বাস্তবিকই সত্য। আপনি কোনো কাজ না করে অলসভাবে শুয়ে বসে থাকলে হতাশা আর দুশ্চিন্তা আপনাকে ঘিরে ধরবে- এটাই স্বাভাবিক। তাই যে কোনো প্রোডাক্টিভ কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
। ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন

মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা করে রাখার অভ্যাস কখনোই হৃদযন্ত্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। নিউরোসায়েন্স এর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্ষমা করার পরিবর্তে ক্ষোভ জমা করে রাখলে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং সেই সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ে।

ডক্টর সিমন্স বলেন, “আপনি ভাবতেই পারবেন না মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা থাকলে তা কত দ্রুত এবং দীর্ঘ সময় ধরে শরীরের ক্ষতি সাধন করে। তাই নিজের ঘাড় থেকে এই আপদ নামিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন সব সময়।”
। বাস্তববাদী হওয়া

যে কোনো ঘটনা বা ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে এ আশঙ্কায় অনেকে অযথা উৎকণ্ঠিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, জীবন মানেই কিছু সমস্যা থাকবে এবং এমন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে যা জীবনে কাম্য নয়। তবে এও ঠিক, সবকিছুর সমাধান রয়েছে ও সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যায়। কাজেই বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নিয়ে তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার মানসিকতা গ্রহণ করতে হবে। ফলে কিছুটা টেনশন কমে যাবে। তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের প্রতি অতিরিক্ত আবেগী মনোভাব দূর করতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ, গবেষকদের মতে প্রিয় ফুটবল দলের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হারও বেড়ে যায়।

তাই তুচ্ছ কারণে উত্তেজিত হওয়া যাবে না। কারণ জীবনের মূল্য এর চেয়ে ঢের বেশি।
৫। নির্ভুল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন

যারা সাধারনণত টাইপ ‘এ’ চরিত্রের মানে সবসময় শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী হতে চান তারাই মূলত হৃদরোগে বেশি ভোগেন।

অধ্যাপক হেফনারের মতে, এ ধরনের অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে মনোভাব শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিচরিত্রে শত্রুতার মনোভাব তৈরি করে। তিনি বলেন, টাইপ ‘এ’ চরিত্রের পেছনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। প্রকৃতপক্ষে, এ ধরনের মনোভাব ব্যক্তিমনে অন্যদের প্রতি প্রবল বিদ্বেষ তৈরি করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ যা পরে হৃদরোগ ডেকে আনে। তাই সবসময় ভালো চিন্তা করুন এবং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন।

সুন্দরভাবে কথা বলা সাফল্যের অন্যতম রহস্য!
৬। ক্যাফেইন নেওয়া কমিয়ে দিন

ক্যাফেইন খুব দ্রুত আপনার ইন্দ্রিয়কে সজাগ করে তুলে এবং মানসিক চাপ বর্ধক হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এটা তখনই ভালো যদি আপনি কোনও হিংস্র বাঘের মুখে পড়েন।

তাই ঘন ঘন চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ুন। কেননা এসবে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে।

এমনকি জিরো-ক্যালরি বা চিনিহীন বলে বাজারজাত করা কোমল পানীয় থেকেও নিজেকে দূরে রাখুন।
৭। তালিকা তৈরি করুন

আপনার মনে হতে পারে আপনি শত শত সমস্যায় ভুগছেন। তাই আপনার দুশ্চিন্তার কারণগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন। দেখবেন, অল্প কয়েকটির পর আর কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। এর মধ্যে কিছু সমস্যা থাকবে যেগুলো কমবেশি সবারই থাকে। আপনি উপলব্ধি করবেন যে আপনার আসলে দুশ্চিন্তা করার খুব বেশি কারণ নেই। এটা আপনার দুশ্চিন্তা কমাতে এবং আপনাকে মানসিকভাবে শান্তি দিবে।

প্রাণ খুলে হাসলে শতকরা বিশভাগ বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়
৮। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান

সবসময় একাকী থাকা মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি করতে পারে। এমনকি কখনও হৃদরোগ ধরা না পড়লেও ক্ষতির আশংকা থেকেই যায়।

তাই একাকী ঘরে বসে না থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়ে পড়ুন। তবে এক্ষেত্রে প্রকৃত বন্ধু নির্বাচনে সচেতন হতে হবে।
৯। প্রাণ খুলে হাসুন

২০০৫ সালে পরিচালিত গবেষণায় জানা যায়, সবসময় গম্ভীর থাকার বদলে প্রাণ খুলে হাসলে শতকরা বিশভাগ বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়। প্রাপ্তবয়স্ক কিছু মানুষকে নিয়মিত হাস্যকর এবং তুলনামূলক গম্ভীর চলচ্চিত্র দেখানোর পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসেন।

নিয়মিত আমোদ-প্রমোদ হৃদস্পন্দনের হার বাড়িয়ে দেয়। ২০১০ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজি’র তথ্যানুসারে, হাসি-ঠাট্টার ফলে দেহের সংবহনতন্ত্র বা বিভিন্ন নালীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই ঠোঁটের কোণে সবসময় এক চিলতে হাসি রাখুন কিংবা পারলে মন খুলে হাসুন।

১০। ডায়েরি লিখুন

আপনি হয়তো কখনোই ডায়েরি লেখেননি। যে বিষয়টি আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, মানসিক চাপের কারণ হচ্ছে সেটি একটি ডায়রিতে লিখুন। পাশাপাশি আপনি কী চান বা কী করলে আপনার ভালো লাগত সেই বিষয়টিও লিখুন। ডায়েরি লেখার এই অভ্যাসটি মানসিক চাপ কমাতে অনেকটা সাহায্য করবে আপনাকে।
ইংরেজি ভাষা চর্চা করতে আমাদের নতুন গ্রুপ- 10 Minute School English Club-এ যোগদান করতে পারো!
English Language Club!
১১। পাওয়ার ন্যাপ বা পর্যাপ্ত ঘুম:

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে না ঘুমিয়ে থাকার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সুস্থ থাকতে হলে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক। এক্ষেত্রে সময়ের চেয়ে কতটা নিশ্চিন্তে ( ঘুমানো গেলো তা বেশি গুরুত্বপূর্ন।

‘ঘুম’ থেকে ভালো Stress Looser আর কিছু হতে পারে না। তাই যখন কোনোও কিছুই আর ভালো লাগবে না বা মনে হবে কোনো কিছুতেই মন দিতে পারছেন না, তখন একটু নিরিবিলি জায়গা দেখে পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে নিন। দুশ্চিন্তা কেটে যাবে!

এ কথা যেমন সত্যি যে, টেনশন মানুষের জীবনে স্বচ্ছন্দ গতি এবং স্বাভাবিক চলার পথে বিঘ্ন ঘটায়, তেমনি এ কথাও অস্বীকার করার অবকাশ নেই যে, জীবনে কিছু পরিমাণ টেনশন থাকা প্রয়োজন। কেননা, এই টেনশন জীবনের কাজ করার পেছনে উৎসাহ জোগায় এবং ক্ষেত্র বিশেষে, কাজ করার পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।

ghotok

আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *