banner

বিয়ে করার সঠিক সময় কখন ?

বিয়ের উপযুক্ত বয়স কত?

বিয়ের সঠিক সময় নির্ধারণ করা একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা বিবেচনা করা উচিত:

  • বয়স:
    • বয়স কেবল একটি সংখ্যা, এবং এটি সুখী ও সফল জীবনের জন্য একমাত্র নির্ধারক নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিভিন্ন বয়সে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।

      কিছু উদাহরণ:

      • শিক্ষা:
        • যেকোনো বয়সে নতুন জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।
        • অনেক ব্যক্তি তাদের কর্মজীবনের উন্নতির জন্য পরবর্তী জীবনে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন।
      • কর্মজীবন:

        কর্মজীবন মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ব্যক্তির আর্থিক সুরক্ষা, সামাজিক পরিচয় এবং ব্যক্তিগত পরিপূর্ণতা প্রদান করে।

        কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক:

        • কর্মজীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ:
          • আপনি আপনার কর্মজীবনে কী অর্জন করতে চান তা ভেবে দেখুন।
          • আপনার আগ্রহ, দক্ষতা এবং মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
        • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ:
          • আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অর্জন করুন।
        • কাজের অভিজ্ঞতা:
          • বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতা আপনার দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি করবে।
        • কর্মজীবনের উন্নয়ন:
          • নতুন দক্ষতা শিখুন এবং আপনার কর্মজীবনের অগ্রগতির জন্য সুযোগ খুঁজুন।
        • কর্মজীবনের ভারসাম্য:
          • কাজের চাপ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

        কর্মজীবনে সফল হওয়ার জন্য কিছু টিপস:

        • নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন:
          • আপনার ক্ষমতা ও দক্ষতার উপর বিশ্বাস রাখুন।
        • কঠোর পরিশ্রম করুন:
          • সাফল্যের জন্য পরিশ্রম ও অধ্যবসায় অপরিহার্য।
        • ইতিবাচক মনোভাব:
          • কাজের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখুন।
        • নমনীয়তা:
          • পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য নমনীয় হোন।
        • অন্যের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন:
          • সহকর্মী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন।

        মনে রাখবেন, কর্মজীবন একটি দীর্ঘ যাত্রা।

        ধৈর্য্য ধরুন, পরিশ্রম করুন এবং আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করুন।

        • অনেক ব্যক্তি তাদের কর্মজীবনে দেরিতে শুরু করলেও সাফল্য অর্জন করেন।
        • অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অনেক ক্ষেত্রে বয়সের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
      • সম্পর্ক:
        • যেকোনো বয়সে ভালোবাসা ও সঙ্গ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
        • বয়সের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো সঙ্গীর সাথে সামঞ্জস্য ও ভালোবাসা।

      গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

      • নিজের লক্ষ্য স্থির করা:
        • জীবনে আপনি কী অর্জন করতে চান তা নির্ধারণ করা।
      • নিজের উপর বিশ্বাস রাখা:
        • যেকোনো বয়সে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
      • কঠোর পরিশ্রম:
        • সাফল্যের জন্য পরিশ্রম ও অধ্যবসায় অপরিহার্য।
      • ইতিবাচক মনোভাব:
        • জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা।

      মনে রাখবেন, বয়স কেবল একটি সংখ্যা।

      নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন।

      শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিণত হওয়া।

    • আইনি বয়স (বাংলাদেশে ১৮ বছর)।
  • শিক্ষা ও কর্মজীবন:

    শিক্ষা এবং কর্মজীবন একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। আপনার শিক্ষা আপনার কর্মজীবনের বিকল্পগুলিকে প্রভাবিত করবে এবং আপনার কর্মজীবন আপনার শিক্ষার উপর প্রভাব ফেলবে।

    আপনার শিক্ষা এবং কর্মজীবনের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করার সময় এখানে কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত:

    • আপনার আগ্রহ কী? আপনি কী করতে উপভোগ করেন?
    • আপনার দক্ষতা কি? আপনি কি ভাল?
    • আপনার মূল্যবোধ কি? আপনার কাছে কী গুরুত্বপূর্ণ?
    • আপনার কর্মজীবনের লক্ষ্য কি? আপনি ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

    আপনার শিক্ষা এবং কর্মজীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু সংস্থান রয়েছে:

    • আপনার স্কুলের কাউন্সেলর বা ক্যারিয়ার কাউন্সেলরের সাথে কথা বলুন।
    • অনলাইন ক্যারিয়ার মূল্যায়ন নিন।
    • বিভিন্ন কর্মজীবন সম্পর্কে গবেষণা করুন।
    • ইন্টার্নশিপ বা ছায়া অনুসরণ করুন।

    আপনার শিক্ষা এবং কর্মজীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, তবে এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত যা আপনাকে আপনার স্বপ্নের জীবনযাপন করতে সহায়তা করতে পারে।

    এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা আপনাকে আপনার শিক্ষা এবং কর্মজীবনের লক্ষ্য অর্জন করতে সহায়তা করতে পারে:

    • একটি শক্তিশালী শিক্ষাগত ভিত্তি তৈরি করুন।
    • নতুন দক্ষতা শিখতে থাকুন।
    • নেটওয়ার্ক এবং অন্যান্য পেশাদারদের সাথে সংযোগ করুন।
    • আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে এবং আত্মত্যাগ করতে ইচ্ছুক হন।

    আপনার শিক্ষা এবং কর্মজীবনের যাত্রা জুড়ে আপনাকে শুভকামনা!

    • শিক্ষা সম্পন্ন করা বা ক্যারিয়ারের লক্ষ্য স্থির করা।
    • আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া।
  • মানসিক প্রস্তুতি:

    মানসিক প্রস্তুতি বলতে বোঝায় যেকোনো কাজ, পরীক্ষা, বা চ্যালেঞ্জের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা।

    মানসিক প্রস্তুতির গুরুত্ব:

    • আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে:
      • যখন আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন, তখন আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
    • চাপ কমায়:
      • মানসিক প্রস্তুতি চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
    • একাগ্রতা বৃদ্ধি করে:
      • যখন আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন, তখন আপনার একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়।
    • সফলতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে:
      • মানসিক প্রস্তুতি সফলতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।

    কিভাবে মানসিক প্রস্তুতি নেবেন:

    • লক্ষ্য নির্ধারণ:
      • আপনি কী অর্জন করতে চান তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করুন।
    • পরিকল্পনা:
      • আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।
    • অনুশীলন:
      • আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো অনুশীলন করুন।
    • ইতিবাচক চিন্তাভাবনা:
      • ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করুন এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।
    • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:
      • ধ্যান, যোগব্যায়াম, বা অন্যান্য উপায়ে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন।
    • পর্যাপ্ত বিশ্রাম:
      • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং সুস্থ থাকুন।

    মনে রাখবেন, মানসিক প্রস্তুতি সাফল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি।

    • দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত থাকা।
    • দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা।
  • সঙ্গীর সাথে সামঞ্জস্য:
    • মূল্যবোধ, লক্ষ্য, এবং জীবনধারার সামঞ্জস্য।
    • পারস্পরিক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।
  • পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন:
    • পরিবার ও সমাজের সমর্থন।

কিছু গবেষণামতে:

  • ২৮ থেকে ৩২ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করলে তালাকের সম্ভাবনা কম থাকে।
  • তবে, বয়সের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসিক ও আর্থিক প্রস্তুতি।

কিছু টিপস:

  • নিজের সময় নিন:
    • দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন না।
    • ভালোভাবে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
  • পরিবার ও বন্ধুদের সাথে কথা বলুন:
    • তাদের মতামত ও পরামর্শ নিন।
  • প্রয়োজনে একজন মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিন:
    • যদি সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়।

মনে রাখবেন, বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

‘দাওয়াত পাচ্ছি না কেন’—

একটি নির্দিষ্ট বয়স পেরোলেই তরুণ-তরুণীদের দিকে ছুটে যায় এমন ইঙ্গিতপূর্ণ জিজ্ঞাসা।

অতটা ভণিতা না করে কেউ সরাসরিই জিজ্ঞেস করেন, ‘বিয়ে করছ কবে?’ এমন সব প্রশ্নের

উত্তর দেওয়া খুব কঠিন কাজ। ‘একটু গুছিয়ে নিই’, ‘আরে বয়স তো এখনো আছে’ বলে পার

পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলে। কিন্তু আসলেই কোন বয়সে বিয়ে করা উচিত? জীবনের কোন পর্যায়ে

থাকলে বিয়ে করার সময়টাকে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হয়?

Kabinbd
Kabinbd

শুধু বয়স নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আরও কিছু ব্যাপার। যিনি বিয়ে করছেন, সেই ছেলে বা

মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত কি না, জীবনের এত বড় দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেকে

উপযুক্ত ভাবছেন কি না, ক্যারিয়ারের কোন পর্যায়ে আছেন…এমন অনেক বিষয় কাজ করে।

আবার এও ঠিক, এসব নিয়ে বেশি বেশি ভাবতে গিয়ে বা দুশ্চিন্তা করতে গিয়ে অনেকে সঠিক

সময়ে বিয়েটাই করে উঠতে পারেন না।

একটি নির্দিষ্ট বয়স নিশ্চয়ই আছে, যে বয়সটা সংসার গুছিয়ে আনার জন্য সবচেয়ে ভালো।

গুহামানবদের যুগ থেকেই এ বিষয়টি ধ্রুবসত্য! ১৩-১৪ বছর বয়সে বয়ঃপ্রাপ্ত হলেও বিবাহিত

জীবন বা পারিবারিক জীবনে তারা ঢুকত আরও পরে। যখন তারা নিশ্চিত হতো শিকার করে সঙ্গী

ও সন্তানদের বাঁচানোর ক্ষমতা রাখছে, তখনই পারিবারিক জীবনে ঢুকত পুরুষ। নারীরাও সন্তান

পালনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেই পারিবারিক জীবনে আগ্রহী হতো।

আধুনিক সমাজও এটা মেনে চলে। এ নিয়ে ২০১৫ সালে একটি গবেষণা চালিয়েছে ইউটাহ

বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষক নিকোলাস উলফফিঙ্গার দাবি করেন, বিয়ের আদর্শ সময় খুঁজে পেয়েছেন

তিনি। বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সবাইকে ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে বিয়ে করার

পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উলফফিঙ্গার লিখেছেন, ‘বয়স বিশের শেষভাগে পৌঁছালে বিয়েতে

বিচ্ছেদের সম্ভাবনা কমতে থাকে। তবে বয়স যখনই মধ্যত্রিশ পার হয়ে যায়, ততই সে ঝুঁকি

আবার ফিরে আসে।’

এ গবেষণা শুধু পশ্চিমা বিশ্বের জন্য নয়, সব দেশ ও সংস্কৃতির জন্যই

সঠিক বলে দাবি উলফফিঙ্গারের।

আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে চাইলে, এই বয়সটাতেই (২৮-৩২) কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সারা জীবন

কাটানোর পক্ষে সঠিক যুক্তি খুঁজে পায় মানুষ। এই বয়সেই পরিণতবোধ আসে। তারুণ্যের

অস্থিরতা কাটতে থাকে। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। জীবনের এ পর্যায়ে এসে

বুঝতে পারে, আসলেই এ মানুষটা তাঁর যোগ্য কি না। কর্মজীবনেও এই বয়সে এসে স্থিতি আসে

মানুষের জীবনে।

তাই ২৮ থেকে ৩২ বছর বয়সের মধ্যেই বিয়েটা সেরে ফেলা ভালো। সন্তান নেওয়া ও তাকে একটা

পর্যায় পর্যন্ত অভিভাবকের ছায়া দেওয়ার জন্যও ভালো সময় পাওয়া যায়।

আর সঠিক সময়ে বিয়ে না করার কারনে দেখা যায় মানুষের সামাজিক গ্রহন যোগ্যতা কমে যায়,

পারিবারিক গুরুত্ব কমে যায় তার ব্যাক্তিতিত্ত মানুষের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হয় ,

বিয়ে না করা মানুষগুলো অল্প বয়সেই তার কর্ম শক্তি হারিয়ে ফেলে ,

তবে এই বয়সে পড়েছেন বলেই বিয়ে করে ফেলতেই হবে, তাও নয়। বিশেষ করে এসব

কারণে কখনোই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেবেন না—

* বন্ধুরা সবাই বিয়ে করছে বলে

* আত্মীয়স্বজনের প্রশ্নের উত্তর দিতে ক্লান্ত বলে

* কেবল একাকী বোধ করছেন বলে

* আপনার ছোট ভাইবোনদের বিয়ের বয়স হয়ে গেছে বলে

* শেষ বয়সে সঙ্গী দরকার, এটা ভেবে

* সন্তান পেতে চান, এ জন্য

* সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকা বিয়ে করেছে, তার পাল্টা জবাব দিতে

তাহলে কখন বিয়ে করবেন? যখন এমন কাউকে খুঁজে পাবেন, যাঁর সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য

বাকি জীবনটাও যথেষ্ট মনে হবে না!

marriage

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *