banner

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত

kabinbd

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একটি গভীর এবং মৌল্যবান সম্পর্ক হতে পারে যেটি সহজলভ্য, সমর্থনমূলক, এবং সুস্থ জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি স্বাস্থ্যকর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের জন্য কিছু মৌল্যবোধ এবং সুস্থ কৌশল নিম্নে দেখানো হয়েছে:

  1. সহজলভ্যতা এবং সহমতি:
    • সম্পর্কে সহজলভ্যতা এবং সহমতি গুরুত্বপূর্ণ মৌল্য। এটি প্রতিদিনের জীবনে সহজভাবে আপনার প্রতিষ্ঠান এবং সুখ-সমৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

      সহজলভ্যতা এবং সহমতি একটি সুস্থ সম্পর্কের মৌল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ মৌল্য। এই দুটি উভয়ই একে অপরকে বুঝতে এবং এক অপরকে সমর্থন করতে সাহায্য করে, যা সম্পর্কের জন্য প্রকাশ পাওয়া এবং তার সুস্থ বৃদ্ধির পথে সাহায্য করে।

      সহজলভ্যতা:

      1. আপনার মনটি খোলা রাখুন:
        • আপনি এবং আপনার সাথী একে অপরের মন বুঝতে সাহায্য করতে পারেন এবং এটি সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
      2. আত্মবিশ্বাস এবং সম্মান:
        • আপনার স্বজনের মন্তব্য এবং অভিজ্ঞান মূলক ভাবে শোনার চেষ্টা করুন। এটি একে অপরকে বুঝতে সাহায্য করতে পারে এবং সহজলভ্যতা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
      3. সময় দিন:
        • একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে দিন, এটি সহজলভ্যতা এবং সহমতি তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। সময়ের মাধ্যমে আপনি এক অপরের মন বুঝতে সাহায্য করতে পারেন এবং অভ্যন্তরীণ সমর্থন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারেন।

      সহমতি:

      1. সহমতির মধ্যে বুঝাবুঝি:
        • সহমতি হলো আপনি এবং আপনার সাথীর মধ্যে সামঞ্জস্য এবং বুঝাবুঝি। এটি কোনও প্রস্তুতির পর এবং সমস্যা সমাধানের মধ্যে সাহায্য করতে পারে।
      2. ভালবাসার মধ্যে বুঝাবুঝি:
        • একে অপরকে সমর্থন এবং ভালোবাসা দেখাতে সাহায্য করতে সাহায্য করতে পারে, এটি সহমতি এবং সম্পর্কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
      3. প্রস্তুতির পরিকল্পনা:
        • আপনি এবং আপনার সাথী একসাথে আস্তে আস্তে প্রস্তুতির পরিকল্পনা করতে সাহায্য করতে পারেন এবং এটি আপনাদের সম্পর্ক কে আরও সহজলভ্য করতে সাহায্য করতে পারে।
      4. অভিবাদ এবং পূর্বনির্ধারণ:
        • যেকোনও অভিবাদ বা পূর্বনির্ধারণ করতে একে অপরকে শৃঙ্গার করতে সাহায্য করতে পারে, যা সম্পর্কটি মাধ্যমে সমঝোতা এবং বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
      5. সামাজিক ক্ষমতা এবং সমর্থন:
        • একে অপরকে সামাজিক ক্ষমতা এবং সমর্থন দেখাতে সাহায্য করতে পারে, এটি সহমতি এবং আপনার সম্পর্কে প্রচুর পৌরাণিকভাবে ভূমিকা রাখতে সাহায্য করতে পারে।

      এই মৌল্যবোধ এবং কৌশলগুলি একে অপরকে বুঝতে, সমর্থন করতে এবং ভালোবাসার ভাবনা নিয়ে একটি সুস্থ এবং মধ্যস্থ সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।

  2. সমর্থন এবং সহানুভূতি:
    • সমর্থন এবং সহানুভূতি একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের ভিত্তি গুরুত্বপূর্ণ। একজন অপরকে বুঝতে এবং তাদের সমর্থন করতে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকলে সম্পর্ক সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

      সমর্থন এবং সহানুভূতি দুটি গুরুত্বপূর্ণ মৌল্য যা একটি সুস্থ এবং মধ্যস্থ সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করে। এই দুটি মৌল্য সম্পর্কের ভালোবাসা, বৃদ্ধি, এবং সুস্থ বাণীর উন্নতি করতে সাহায্য করে।

      সমর্থন:

      1. সমর্থনের অর্থ:
        • সমর্থন হলো অন্যকে তাদের লক্ষ্যে এবং স্বপ্রসারণে সাহায্য করা। এটি অপরকে বৃদ্ধি করতে, অনুকরণ করতে এবং তাদের মোতাবেক করতে সাহায্য করে।
      2. ভালোবাসার মাধ্যমে সমর্থন:
        • ভালোবাসার মাধ্যমে সমর্থন একটি সক্রিয় এবং উত্সাহী সম্পর্কের প্রতি অসীম গুরুত্ব দেয়। ভালোবাসা এবং সমর্থনের এই সমৃদ্ধি সম্পর্কটি আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।
      3. প্রস্তুতি এবং অনুসন্ধানশীলতা:
        • একে অপরকে তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে এবং প্রস্তুতি এবং অনুসন্ধানশীলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে হবে। এটি সম্পর্কটি ভালোভাবে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
      4. প্রোয়েক্টিভ এবং সমর্থনশীলতা:
        • প্রোয়েক্টিভ এবং সমর্থনশীলতা একে অপরকে অনুকরণ করতে এবং সমর্থন করতে সাহায্য করতে পারে। এই গুণগুলি সম্পর্কের প্রভাবকারী করতে সাহায্য করে এবং আপনি আপনাদের সাথীকে উৎসাহিত করতে পারেন।

      সহানুভূতি:

      1. সহানুভূতির অর্থ:
        • সহানুভূতি হলো অন্যের দুঃখ, সংকট, বা অসুখের জন্য মনোবল এবং আদর প্রদান করা। এটি অপরকে তাদের সমস্যায় মনোবল এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
      2. সহানুভূতি এবং মিলন:
        • সহানুভূতি এবং মিলন একটি সম্পর্কে সক্রিয়ভাবে যোগ করতে পারে, এটি অপরকে আপনাদের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে এবং সম্পর্কটি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
      3. অবসর এবং পুনরুদ্ধার:
        • যদি কোনও সদস্য দুঃখিত অথবা কঠিন সময়ে থাকে, তবে সহানুভূতি দেখানো এবং অবসর প্রদান করা একটি উত্তরণে সাহায্য করতে পারে।
      4. আদর এবং মৌন সমর্থন:
        • আদর এবং মৌন সমর্থন একটি সম্পর্ককে ভালোভাবে চালানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কথাবার্তা ছাড়াও, আপনি আপনার সাথীর সঙ্গে আদর এবং মৌন সমর্থন প্রদান করতে পারেন।
      5. অমুখালা বৃদ্ধি এবং আত্মবিশ্বাস:
        • অমুখালা বৃদ্ধি এবং আত্মবিশ্বাস দ্বারা আপনি আপনার সাথীর সঙ্গে সহানুভূতি প্রদান করতে সাহায্য করতে পারেন। এটি একটি সমর্থনশীল এবং সুস্থ সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।

      সমর্থন এবং সহানুভূতি একসাথে একটি সুস্থ সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে এবং এই গুণগুলি থাকতে সাহায্য করে সম্পর্কটি দুর্বল হতে সাহায্য করে।

  3. আদর্শ আকর্ষণ:
    • স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আদর্শ আকর্ষণ থাকলে সেই সম্পর্ক ভালোভাবে প্রকাশ পাওয়া যায়। মৌল্যবোধ এবং আদর্শ সঙ্গে এই আকর্ষণ তৈরি হয়।
  4. সময়ের জন্য অস্তিত্ব:
    • সম্পর্কে সমৃদ্ধি হোক বলে সময়ের জন্য অস্তিত্ব মূল্যবোধ করা গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের মাধ্যমে সম্পর্ক সুস্থ থাকতে সাহায্য করে এবং আপনি একে অপরকে বুঝতে সময় ব্যয় করতে পারেন।
  5. সীমানা ও স্বাধীনতা:
    • প্রতি সদস্যের জন্য ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং সীমানা মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। এটি অপরকে মোতাবেক করতে সাহায্য করে এবং সম্পর্কে সংমিলন তৈরি করে।
  6. যোগাযোগ এবং বৃদ্ধি:
    • সম্পর্কে যোগাযোগ এবং বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ। একসাথে হাসপাতাল, কলেজ, বা অন্যান্য জীবনের অংশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হতে পারে এবং এটি সম্পর্কে একটি গভীর বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

      সম্পর্কে যোগাযোগ এবং বৃদ্ধি দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মৌল্য, যা একটি সুস্থ এবং মধ্যস্থ সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে। এই দুটি মৌল্যের মাধ্যমে আপনি আপনার সাথীর সাথে ভালোবাসা, বৃদ্ধি, এবং আদরপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করতে পারেন।

      kabinbd

      যোগাযোগ:

      1. সহজলভ্য যোগাযোগ:
        • যোগাযোগে সহজলভ্য থাকা একটি মৌল্যবোধ যা সম্পর্কের প্রশংসা করে এবং আপনার সাথীর সাথে সংবাদ ও বিনোদনের জন্য মাধ্যম হতে পারে।
      2. আপনার মন্তব্যে মনোবল অর্জন করুন:
        • আপনার মন্তব্যে মনোবল অর্জন করা সুস্থ যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আপনি এবং আপনার সাথীর মধ্যে সুস্থ যোগাযোগ এবং বৃদ্ধি তৈরি করতে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
      3. সুস্থ শ্রদ্ধাশীলতা:
        • সুস্থ শ্রদ্ধাশীলতা হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌল্য যা যোগাযোগে প্রতিষ্ঠিত থাকা এবং পরিষ্কারভাবে বুঝা যায়। আপনি আপনার সাথীকে শ্রদ্ধাশীলতা এবং সমর্থন দেখাতে পারেন, যা তাদের বিশেষভাবে মোতাবেক করতে সাহায্য করতে পারে।

      বৃদ্ধি:

      1. আত্ম-উন্নতি এবং উন্নত সম্পর্ক:
        • বৃদ্ধির মাধ্যমে আপনি এবং আপনার সাথী অন্যদের উন্নত করতে সাহায্য করতে পারেন, যাতে সম্পর্ক সুস্থ থাকে এবং অভ্যন্তরীণ সমর্থন বৃদ্ধি পায়।
      2. পরিবর্তন এবং সম্পর্কে শৃঙ্গার:
        • সুস্থ বৃদ্ধির জন্য আপনার সম্পর্কে পরিবর্তন এবং উন্নতির জন্য প্রস্তুত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এবং আপনার সাথী এক অপরকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারেন এবং সম্পর্কটি একটি নতুন দিকে নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে।
      3. সহজলভ্য এবং সান্ত্বনা:
        • একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য সহজলভ্যতা এবং সান্ত্বনা গুরুত্বপূর্ণ। এই গুণগুলি সম্পর্কের বৃদ্ধি এবং মোতাবেক তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
      4. সামঞ্জস্য এবং সমর্থন:
        • একটি সুস্থ সম্পর্কে সামঞ্জস্য এবং সমর্থন দেখানো গুরুত্বপূর্ণ। এটি অভ্যন্তরীণ মনোবল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে এবং সম্পর্কটি আরও মজবুত করতে সাহায্য করতে পারে।
      5. আদর এবং প্রশংসা:
        • আদর এবং প্রশংসা একটি সম্পর্ককে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে, এটি আপনি এবং আপনার সাথীর মধ্যে সমর্থন এবং আত্ম-উন্নতি উৎসাহিত করতে সাহায্য করতে পারে।

      এই মৌল্যবোধ এবং কৌশলগুলি একটি সুস্থ এবং মধ্যস্থ সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে, যা আপনার সাথী এবং আপনির মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।

এই মৌল্যবোধ এবং কৌশলগুলি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে একটি সুস্থ এবং মনোবল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। এটি একটি দীর্ঘকালিক এবং সুখী সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে এবং অপরকে সমর্থন এবং ভালবাসা দেওয়ার জন্য মাধ্যম হতে পারে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে (স্ত্রী) সৃষ্টি করেছেন; আর (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। (সুরা নিসা : আয়াত ১)

উল্লেখিত আয়াতে কারিমা থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে স্বামী- স্ত্রীর মাধ্যমেই বংশ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছেন। আর মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা জেন রেখ, তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের ওপর অধিকার আছে। আর তোমাদের স্ত্রীদেরও অধিকার আছে তোমাদের ওপর।’

পুরুষদেরকে উদ্দেশ্য করে অন্য হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের প্রতি কল্যাণকামী হও।’

স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক বা ভালোবাসা কেমন হবে; দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক কেমন হবে; তার বিবরণ ফুটে ওঠেছে স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পারিবারিক জীবনে। যা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে খেলাধূলা করতেন। একবার তিনি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়ে ইচ্ছা করে হেরে যান। কিছুদিন পর পুনরায় দৌঁড় প্রতিযোগিতায় হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হেরে যান।

অতপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে আয়েশা! আজ আমি তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি, তুমি আমার সঙ্গে পারনি। এটা হলো প্রথম প্রতিযোগিতায় জিতে যাওয়ার বদলা।

>> বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় স্ত্রীদের সঙ্গে বসে বিভিন্ন ঘটনা, কাহিনি ও আন্যান্য আলোচনা করতেন। এমনকি প্রত্যেক স্ত্রীও বিশ্বনবিকে পালাক্রমে নতুন নতুন কিসসা-কাহিনি শুনাতেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে নিজেও তাঁদেরকে কিসসা শুনাতেন।

>> হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে এমনভাবে হাসতেন, কথা বলতেন ও বসে থাকতেন, আমাদের মনেই হতো না যে তিনি একজন মহান রাসুল।

>> তিনি কখনো তাঁর স্ত্রীদের ভৎসনা, তিরস্কার করতেন না এবং তাদের সঙ্গে কটাক্ষ ভাষায় কথা বলতেন না। বরং মায়া-মমতায় মন জুড়ানো আকর্ষণীয় কথা বলতেন। তাঁর কথার ভাবভঙ্গিতে স্ত্রীদের মন জুড়িয়ে যেতো।

>> বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রীদের কোনো কথা তাঁর মনের বিপরীত হলে তাদের সে কথা থেকে মনোযোগ ফিরিয়ে অন্য চিন্তা করতেন। তিনি স্ত্রীগণকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তাদের চুমু দিতেন এবং কখনো কখনো তাদের উরুতে মাথা রেখে শুয়ে বিশ্রাম নিতেন।

>> হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা পাত্রের যে স্থানে মুখ দিয়ে পানি পান করতেন, বিশ্বনবিও সে স্থানে মুখ দিয়েই পানি পান করতেন।

আবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাঁড়ের যে জায়গা থেকে গোস্ত খাওয়া শুরু করতেন হজরত আশয়া রাদিয়াল্লাহু আনহাও হাড়ের ঐ জায়গা থেকে গোস্ত খাওয়া শুরু করতেন।’

এ থেকেও প্রমাণিত হয় যে, বিশ্বনবির দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীদের সঙ্গে কত মধুর সম্পর্ক ছিল।

>> হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত খুশি মনে মুচকি হাসতে হাসতে গৃহে প্রবেশ করতেন এবং দরদমাখা কণ্ঠে সালাম দিতেন। বিশ্রামের সময় বিছানার ব্যাপারে কোনো দোষ ধরতেন না, এমনকি বিছানা যেভাবে পেতেন তার উপরই শুয়ে পড়তেন।

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তম স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম স্বামী যে তার স্ত্রীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে। আমি আমার স্ত্রীদের সঙ্গে সবার চাইতে ভাল ব্যবহার করি।

পরিশেষে…
বিশ্বনবির দাম্পত্য জীবনের আলোকে বুঝা যায় যে, সুখ ও শান্তিময় জীবন যাপনে স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্কে বিকল্প নেই। জীবনকে সুখ-শান্তি ও আনন্দময় করে তুলতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণ আবশ্যক কর্তব্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের প্রত্যেকের দাম্পত্য জীবনকে সুখ ও শান্তিময় করে গড়ে তুলতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাম্পত্য জীবনের মতো করেই রাঙিয়ে নেয়া জরুরি।

আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদিকে তাঁর মতো করে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

onlinematrimonial website

আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *