বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থনীতি
বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থনীতি
বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থনীতি: ঝুঁকি, প্রভাব, এবং সম্ভাব্য সমাধান
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি প্রধান ঝুঁকি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়ার ঘটনা, এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি – এই সকল বিষয় অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ঝুঁকি:
- খাদ্য নিরাপত্তা: খরার ফলে ফসল উৎপাদন হ্রাস,
- পরিবেশগত অবক্ষয়: বন্যার ফলে বন্যাপ্রবণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি,
- পরিবহন ব্যবস্থা: চরম আবহাওয়ার ঘটনার ফলে পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত,
- জনস্বাস্থ্য: তাপপ্রবাহ এবং মহামারীর ঝুঁকি বৃদ্ধি,
- অর্থনৈতিক অবকাঠামো: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় এলাকায় বন্যা এবং ভূমি ক্ষয়।
“ঝুঁকি” শব্দটি প্রধানত কোনো কিছুর জন্য বা সম্ভাবনার অভিজ্ঞান বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। এটি বিভিন্ন প্রস্তুতি ক্ষেত্রে বা সম্প্রদায়ে ব্যবহৃত হতে পারে। এটি সাধারণভাবে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে:
- আর্থিক ঝুঁকি: এটি ব্যবসায়িক প্রস্তুতি বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে, যা নিউন্নতি বা পুনর্নির্মাণ করতে সম্পর্কিত হতে পারে।
- স্বাস্থ্য ঝুঁকি: মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রমণ, রোগ বা আপাতকালীন অবস্থার দিকে বুঝানোর জন্য “স্বাস্থ্য ঝুঁকি” বা “স্বাস্থ্য জোখম” হতে পারে।
- পরিবেশ ঝুঁকি: জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক আপাতকালীন ঘটনা বা উর্বর বা উন্নত ক্ষেত্রে ঝুঁকি বা জোখম হতে পারে।
- রাজনৈতিক ঝুঁকি: রাজনৈতিক অস্তিত্বে বা একটি দেশের রাজনৈতিক সম্রাটত্বে ঝুঁকির সঙ্গে সংক্রমিত হওয়া হতে পারে।
এই ছকের ঝুঁকিগুলির সাথে সম্পর্কিত হিসেবে বুঝতে হলে, বিশেষ সময় ও সূত্রগুলির সাথে তথ্য সংগ্রহ করা গুরুত্বপূর্ণ।
বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থনীতির ঝুঁকি:
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি প্রধান ঝুঁকি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়ার ঘটনা, এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি – এই সকল বিষয়
অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ঝুঁকির কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ:
- খাদ্য নিরাপত্তা: খরার ফলে ফসল উৎপাদন হ্রাস, খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি, এবং খাদ্য সংকট।
- পরিবেশগত অবক্ষয়: বন্যার ফলে বন্যাপ্রবণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ভূমি ক্ষয়, এবং জীববৈচিত্র্য হ্রাস।
- পরিবহন ব্যবস্থা: চরম আবহাওয়ার ঘটনার ফলে পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন, এবং বাণিজ্যে ক্ষতি।
- জনস্বাস্থ্য: তাপপ্রবাহ এবং মহামারীর ঝুঁকি বৃদ্ধি, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ, এবং চিকিৎসা খরচ বৃদ্ধি।
- অর্থনৈতিক অবকাঠামো: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় এলাকায় বন্যা এবং ভূমি ক্ষয়, বন্দর এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত, এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি।
ঝুঁকির তীব্রতা:
- অবস্থান: উপকূলীয় এলাকা, বন্যাপ্রবণ এলাকা, এবং খরাপ্রবণ এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ।
- অর্থনৈতিক অবস্থা: দরিদ্র দেশগুলি ঝুঁকি মোকাবেলায় কম সক্ষম।
- সামাজিক অবস্থা: দুর্বল জনগোষ্ঠী ঝুঁকির প্রতি বেশি সংবেদনশীল।
ঝুঁকি মোকাবেলা:
- কার্বন নিঃসরণ হ্রাস: জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি।
- অভিযোজন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং প্রযুক্তি তৈরি।
- আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বৈশ্বিক নীতিমালা এবং কর্মসূচি তৈরি।
বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থনীতি একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এবং এর প্রভাব কমাতে সকলকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রভাব:
- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: জিডিপি হ্রাস,
- কর্মসংস্থান: চাকরির বাজারে বিরূপ প্রভাব,
- সামাজিক অস্থিতিশীলতা: অভিবাসন, দারিদ্র্য, এবং সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি,
- বৈষম্য: উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব:
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের গ্রহের উপর বিরাট প্রভাব ফেলছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়ার ঘটনা, এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি – এই সকল বিষয়
পরিবেশ, অর্থনীতি, এবং সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
প্রভাবের কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ:
- পরিবেশ: বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বন উজাড়, জীববৈচিত্র্য হ্রাস, এবং মরুকরণ।
- অর্থনীতি: খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি, জল সরবরাহে সমস্যা, পর্যটন শিল্পে ক্ষতি, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা।
- সমাজ: মানুষের বাস্তুচ্যুতি, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি, সামাজিক অস্থিরতা, এবং দ্বন্দ্ব।
প্রভাবের তীব্রতা:
- অবস্থান: উপকূলীয় এলাকা, বন্যাপ্রবণ এলাকা, এবং খরাপ্রবণ এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ।
- অর্থনৈতিক অবস্থা: দরিদ্র দেশগুলি ঝুঁকি মোকাবেলায় কম সক্ষম।
- সামাজিক অবস্থা: দুর্বল জনগোষ্ঠী ঝুঁকির প্রতি বেশি সংবেদনশীল।
প্রভাব মোকাবেলা:
- কার্বন নিঃসরণ হ্রাস: জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি।
- অভিযোজন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং প্রযুক্তি তৈরি।
- আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বৈশ্বিক নীতিমালা এবং কর্মসূচি তৈরি।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এবং এর প্রভাব কমাতে সকলকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এছাড়াও, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নিম্নলিখিত প্রভাবগুলিও উল্লেখযোগ্য:
- জলবায়ু শরণার্থী: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- জীববৈচিত্র্য হ্রাস: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।
- মহামারীর ঝুঁকি: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নতুন নতুন মহামারীর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের গ্রহের জন্য একটি বড় হুমকি।
সমাধান:
- কার্বন নিঃসরণ হ্রাস: জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি,
- অভিযোজন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং প্রযুক্তি তৈরি,
- আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বৈশ্বিক নীতিমালা এবং কর্মসূচি তৈরি।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
প্রশমন:
- জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানো: নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস (যেমনঃ সৌর, বায়ু, জলবিদ্যুৎ) ব্যবহার বৃদ্ধি, জ্বালানি দক্ষতা উন্নত করা।
- বনায়ন: বৃক্ষরোপণ বৃদ্ধি, বনভূমি রক্ষা করা।
- কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ: নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ করা।
অভিযোজন:
- সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব মোকাবেলা: উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণ, লবণাক্ত জল সহিষ্ণু ফসল চাষ, জনগোষ্ঠী স্থানান্তর।
- চরম আবহাওয়ার ঘটনার প্রস্তুতি: বন্যা, খরা, ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা।
- কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহনশীল ফসল উদ্ভাবন, কৃষি পদ্ধতি উন্নত করা।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা:
- জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বৈশ্বিক চুক্তি বাস্তবায়ন: প্যারিস চুক্তি, কিয়োটো প্রোটোকল ইত্যাদি।
- উন্নত দেশগুলো থেকে আর্থিক সহায়তা: উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সহায়তা করা।
- প্রযুক্তি ও জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি ও জ্ঞান বিনিময় করা।
সচেতনতা বৃদ্ধি:
- জনসাধারণকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষিত করা।
- পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনের ধারণা প্রচার করা।
- নীতি নির্ধারকদের উপর চাপ প্রয়োগ করা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য।
এই সমাধানগুলো বাস্তবায়নের জন্য ব্যক্তি, সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা জটিল এবং সমাধানও সহজ নয়। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব।
বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থনীতি একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এবং এর প্রভাব কমাতে সকলকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থনীতি হলো একটি অর্থনীতি মডেল, যেটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তার সাথে সম্পর্কিত সব ধরনের অর্থনীতি সংক্রান্ত বিবেচনা করে। এটি প্রাকৃতিক সম্পদ, বন্যা, ঊর্জা, পরিবহন, উদ্যোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শহরবাসী এবং অন্যান্য অংশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরীক্ষণ করে।
বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থনীতির মডেলটি সমস্ত বিভাগের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ জলবায়ু পরিবর্তন একটি অত্যন্ত ব্যবহারকারী এবং সমগ্র সমাজকে প্রভাবিত করতে পারে।
এই অর্থনীতির মডেল থেকে কিছু মৌলিক বিচার হলো:
- প্রকৃতি সম্পদের ব্যবহারঃ জলবায়ু পরিবর্তন আসন্ন একটি মূল্যবান বৈশ্বিক সমস্যা, এবং এটি প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহারের সাথে সংক্রমিত হতে পারে, যা অর্থনীতি প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
- উদ্যোগ এবং প্রযুক্তির উন্নতি: জলবায়ু পরিবর্তন ব্যবহারকারী উদ্যোগসমৃদ্ধি এবং নতুন প্রযুক্তির জন্য অফুরন্ত একটি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে, এবং এটি এই ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তির উন্নতি উৎপন্ন করতে সহায় করতে পারে।
- সমাজ এবং সামাজিক সংঘটন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমাজ এবং সামাজিক সংঘটনে পরিবর্তন উৎপন্ন হতে পারে, যাতে অজ্ঞান, বন্ধুত্ব এবং সমবায় বৃদ্ধি করা হতে পারে।
- বৈশ্বিক বাজারের প্রভাব: বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে একটি দেশ বা অঞ্চলের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে এবং এটি বৈশ্বিক বাজারে ব্যবহারকারী প্রভাব ফেলতে পারে।
এই মডেলটির মাধ্যমে এই বিভাগগুলির মধ্যে সম্পর্ক এবং সামঞ্জস্য বৃদ্ধি করা হতে পারে, যাতে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাবনা বোঝা এবং এর সঙ্গে সামঞ্জস্য সৃষ্টি করা হতে সাহায্য করা যায়।c
জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বহু গবেষণা, ভবিষ্যদ্বাণী ও বিতর্ক হচ্ছে। পৃথিবীর প্রায় সব বিজ্ঞানীই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ভবিষ্যত্ হুমকির বিষয়ে একমত। কিন্তু জীবাশ্ম-জ্বালানিনির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে কিছু প্রভাবশালী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সন্দেহ
পোষণনীতি অনুসরণ করছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা চিন্তা করে বিদ্যমান নব্য উদারনীতিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান খোঁজারও চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও সার্বিক বিচারে আদিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বিদ্যমান ব্যবস্থায় এই সংকটের সমাধান পাওয়া দুষ্কর, কিন্তু সংকটের মাত্রা কিছুটা কমানোর লক্ষ্যে নতুন ধরনের এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এর উদ্দেশ্য হলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মুনাফা করার সুযোগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমানো। নতুন এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদানের লক্ষ্যেই এই বই আলোচনা করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিচারে কোনো সবুজ বিপ্লব এখনো দিগন্তরেখায় আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে অনিয়ন্ত্রিত জীবাশ্ম-জ্বালানির ওপর মানুষের নির্ভরশীলতার ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে এবং সব বিবেচনায় এর প্রভাব নেতিবাচক। এ কথা বিজ্ঞানীরা জানেন, রাজনীতিবিদেরা জানেন এবং অর্থনীতির বড় বড় খেলোয়াড়েরাও জানেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পিটার নুয়েল ও ম্যাথু প্যাটারসেনের ক্লাইমেট ক্যাপিটালিজম বইটি সবুজ পুঁজিবাদ বা পরিবেশবান্ধব পুঁজিবাদের সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখেছে।
আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস