নারী ও শিশু নির্যাতন দমন

0
33

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন

 

নারী ও শিশু নির্যাতনের দমন এবং প্রতিরোধের জন্য একটি সমগ্র পদক্ষেপ প্রয়োজন। এটি সামাজিক, আইনি, এবং শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে হতে পারে। এটি নিম্নলিখিত কিছু দিকের উপর ভিত্তি করে:

1. সচেতনতা এবং শিক্ষা:

  • সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের দিকে সাচেতনতা বাড়াতে ও শিক্ষা প্রদান করতে হবে।
  • শিক্ষা প্রতিরোধের একটি প্রভাবশালী উপায় এবং মানবাধিকার শিক্ষা সহ একটি জেনারেল কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।সচেতনতা এবং শিক্ষা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপায় যার মাধ্যমে সমাজে সকলেই নারী ও শিশু নির্যাতন এবং প্রতিবাদে সক্ষম হতে পারে। এই দুটি উপায়ের মাধ্যমে সমাজে বৃদ্ধি করা হয় সমগ্র জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ এবং অবগতি তৈরি করে, এবং সকলেই এই সমস্যার দিকে সক্ষম হতে পারে এবং তাদের প্রতি সহানুভূতি এবং আবেগ প্রদান করতে পারে।

    সচেতনতা:

    1. সামাজিক মাধ্যম:
      • সামাজিক মাধ্যম একটি শক্তিশালী সাধারণ স্রোত হিসেবে কাজ করতে পারে যা সচেতনতা বাড়াতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের দিকে লোকেজাগরূক করতে সাহায্য করতে পারে।
      • সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে শিক্ষা, কল্যাণ প্রচার, এবং নারী ও শিশুদের অধিকারের প্রচারণ করা হতে পারে।
    2. কর্মকর্তাদের ও সংগঠনের দক্ষতা:
      • নারী ও শিশু নির্যাতনের দক্ষতা বাড়াতে, কর্মকর্তাদের এবং সংগঠনগুলির মধ্যে এই বিষয়ে শোকস্তভাবে দক্ষতা তৈরি করা হবে।
    3. পুরানো ধারাবাহিকতা দমন:
      • সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সমাজের মধ্যে পুরানো ধারাবাহিকতা এবং পুরানো অভিধানগুলি দমন করা হবে যাতে একটি নতুন এবং উন্নত ধারাবাহিকতা তৈরি হতে পারে।

    শিক্ষা:

    1. সমাজে শিক্ষা:
      • সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতনের জন্য সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সচেতনতা ও শিক্ষা প্রদান করা হবে।
    2. পারিবারিক শিক্ষা:
      • পারিবারিক শিক্ষা মাধ্যমে নারী ও শিশুদের জীবনে নৈতিকতা এবং সমাজের মধ্যে উপযোগী অবস্থান অর্জন করতে সাহায্য করা হবে।
    3. প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ:
      • শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং তাদেরকে নারী ও শিশু নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ধারাবাহিকতা এবং উপযোগী প্রতিষ্ঠান সংস্থা থেকে শিক্ষা দেওয়া হবে।
    4. এককাধিক স্তরের শিক্ষা:
      • শিক্ষা প্রদান করা হবে এককাধিক স্তরে, যাতে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সচেতন সমাজ তৈরি হতে পারে।
    5. অনুসন্ধান এবং গবেষণা:
      • নারী ও শিশু নির্যাতনের জন্য উপযোগী বিধান এবং উপায়ের জন্য গবেষণা এবং অনুসন্ধান অন্যান্য সাধারণ বিষয়ের জন্য এবং তারা যেভাবে বাড়িতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে, তা অনুসন্ধান করা হবে।

    এই পদক্ষেপগুলির সমন্বয়ে সচেতনতা এবং শিক্ষার প্রসার সহ সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের ক্ষমতা এবং প্রতিবাদ তৈরি করা হতে পারে।

2. আইন এবং বিধি:

  • একটি শক্তিশালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং বিধি গড়ে তোলা হবে, এবং এই আইনগুলি প্রয়োজনে সহিত আপনাত করা হবে।
  • আইন প্রোসেকিউশনের জন্য দক্ষ এবং সুস্থির নীতি তৈরি করতে হবে।

3. সামাজিক সংস্কৃতি পরিবর্তন:

  • সমাজের মধ্যে নারী এবং শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে অভিবাদ বৃদ্ধি করার জন্য কর্মকর্তাদের এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে চেতনা তৈরি করা হবে।

4. পুলিশ ও আইনী প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষমতাবান করা:

  • পুলিশ এবং অন্যান্য আইনী প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং তাদের কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে যাতে তারা নারী ও শিশু নির্যাতনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।

5. প্রতিরোধশীল উদ্যোগ:

  • সরকার, সামাজিক সংগঠন, এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলি প্রতিরোধশীল উদ্যোগ গড়ে তোলতে পারে যাতে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পুনরুত্থানের লক্ষ্যে কাজ করা যায়।

6. সহিতার উদ্যোগ:

  • সহিতা এবং সামাজিক সংগঠনগুলি নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং সাহায্য করতে পারে।

7. পূর্ববর্তী দুষ্টু বিধি এবং বৈচিত্র্য দূর করা:

  • আইন পরিষদ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের সকল রকম পূর্ববর্তী দুষ্টু বিধি এবং বৈচিত্র্য দূর করতে হবে।

8. শিক্ষার মাধ্যমে চেতনা বৃদ্ধি:

  • শিক্ষা ব্যবস্থা মাধ্যমে নারী ও শিশুদের জন্য নীতি এবং আইনের গুরুত্বপূর্ণতা বৃদ্ধি করতে হবে।

9. সহিংসতা ও নিরাপত্তা:

  • নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তা সৃষ্টি করতে হবে এবং তাদের প্রতি সহিংসতা দমন করতে হবে।

10. সামাজিক পরিবর্তন এবং বিশ্বাস: – সমাজে এবং পরিবারে নারী ও শিশুর প্রতি বিশ্বাস বাড়াতে হবে এবং সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যার প্রতি একটি সুস্থ ধারাবাহিকতা তৈরি করতে হবে।

এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে প্রতিটি দক্ষতা এবং প্রতিষ্ঠান একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ, এবং এগুলি একত্রে কাজ করতে পারে যাতে একটি নিরাপত্তামূলক এবং সুরক্ষিত সমাজ তৈরি হতে পারে।

নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর সেল শাখা হতে গৃহীত কার্যক্রমঃ

  • নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংক্রান্ত আইন ও বিধি প্রণয়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম;
  • নারী ও শিশু পাচার সংক্রান্ত তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ;
  • নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত অভিযোগ/তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থা গ্রহণ;
  • বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রাপ্ত যে কোন নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ক অভিযোগ প্রতিকারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের অনুরোধ করা হয়;
  • নারী ও শিশু পাচার সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিতভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়;
  • দুঃস্থ মহিলা ও শিশু সহায়তা তহবিল, নির্যাতিত দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিল হতে অনুদান সংক্রান্ত কার্যক্রম;
  • অন্যান্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নারী উন্নয়ন নীতিমালার প্রয়োগে মতামত/তথ্যাদি সরবরাহ;
  • South Asia Initiative to finish Violence Against Children (SAIEVAC) সংক্রান্ত কার্যক্রম;
  • ডিএনএ ল্যাবরেটরী ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সংক্রান্ত কাজ;
  • Child Marriage Action Plan প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম;
  • আইন সহায়তা সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদন সংরক্ষণ;
  • কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব।

জাতীয় মহিলা সংস্থার আওতায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল নামে একটি লিগ্যাল এইড সেল রয়েছে। সপ্তাহে ০২ দিন ০৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটির মাধ্যমে নির্যাতিত দুস্থ অসহায় মহিলাদের বিনা খরচায় আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া জেলা উপজেলা পর্যায়ে দুঃস্থ অসহায় মহিলাদের আইঙ্গত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে জেলা আইঙ্গত সহায়তা প্রদান সংস্থায় জাতিয় মহিলা সংস্থা মনোনিত ০২ জন আইনজীবী তালিকাভুক্ত আছে।

যোগাযোগের জন্য জাতীয় মহিলা সংস্থার ওয়েবসাইটে ভিজিট করুনঃ http://jms.gov.bd/

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কর্মসূচি

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় ১৯৮৬ সালে নির্যাতিত নারীদের আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ১ জন আইন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৪টি পদ নিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৬ সালেই নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে সম্প্রসারিত হয়। ইউনিয়ন পর্যায়েও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়। এ কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করার জন্য জন্য মহিলা সহায়তা কর্মসূচি প্রকল্প নামে একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

এ প্রকল্পের আওতায় ৬টি বিভাগীয় শহরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে ৬টি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। বর্ণিত প্রকল্পটি বর্তমানে রাজস্বখাতভূক্ত হয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মসূচি হিসেবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারীর নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন নিরোধ কমিটি এবং প্রতিরোধ সেল

মহিলা সহায়তা কর্মসূচি

১। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল

২। মহিলা সহয়তা কেন্দ্র

কার্যক্রম

নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলঃ ৬টি বিভাগীয় শহরে সকল শ্রেণীর নির্যাতিত মহিলাদের অভিযোগ গ্রহণ, পক্ষদ্বয়ের শুনানী গ্রহণ ও পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপন, সমত্মানের ভরণ পোষন, দেনমোহরানা ও খোরপোষ আদায়, সব ধরনের আইনগত পরামর্শ দান করা হয়। সেলে নিযুক্ত উপ-পরিচালক আইনজীবি ও সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাগণ এ সকল শুনানী ও পরামর্শ প্রদান করেন। অনিষ্পত্তিকৃত অভিযোগসমূহ সেলের আইনজীবীর মাধ্যমে পারিবারিক ও ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করা হয়।

মহিলা সহায়তা কেন্দ্রনির্যাতিত, দুঃস্থ, অসহায় ও আশ্রয়হীন মহিলাদের ২টি শিশু সমত্মানসহ (অনধিক ১২ বছর) ৬ মাস আশ্রয় সুবিধা প্রদান, কেন্দ্রে থাকাকালীন বিনা খরচে খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধাদি প্রদান, বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

চিকিৎসাঃ সহায়তা কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী আশ্রয়গ্রহণকারীদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হয়। যে সকল কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার নেই সে সকল কেন্দ্রে বোর্ডারদেরকে সরকারী হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হয়।

মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র গাজীপুর।

কর্মসূচীর নাম : মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র, গাজীপুর। |

অবস্থান মোগরখাল মৌজা, গাজীপুর।|

পটভূমি : বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৬৪% নারী ও শিশু। এই জনসংখ্যার জীবন সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ। সামাজিক পরিস্থিতি ও নানাবিধ কারণে মহিলা, শিশু ও কিশোরীদের বিচারকালীন সময়ে নিরাপত্তা হেফাজতে যেতে হয়। এই হেফাজতে থাকাকালীন সময়েও তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

আদালতে বিচারাধীন মামলার মহিলা, শিশু ও কিশোরী ভিকটিমরা মামলা চলাকালীন সময়ে যাতে জেলখানার বাইরে নিরাপদ আবাসন সুবিধা সহ তাৎক্ষনিক আইনগত সুবিধা পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রথমে পাইলট প্রকল্প হিসাবে ২০০১ সালে প্রণীত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের লালমাটিয়াস্থ একটি ভবনে ৬/৭ কক্ষে মাসে ৪০-৪৫ জন হেফাজতী আশ্রয় প্রদানের ব্যবস্থা করা হতো।

২০০১ ইং সনে গৃহীত প্রকল্পটির কার্যক্রম ১ বৎসর পরিচালিত হওয়ার পর এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অনুধাবন করে এর পরিসর বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে আবাসন কেন্দ্রের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য গাজীপুর জেলার সদর উপজেলাধীন মোগরখাল মৌজায় এক একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণকৃত জমিতে হেফাজতীদের আবাসন ও অফিস কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে তিনতলা বিশিষ্ট ডরমেটরী ভবন, একতলা বিশিষ্ট হোস্টেল সুপারের বাসভবন, গার্ডরুম ও ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট পেরিমিটার ওয়াল নির্মাণ করা হয়। ৩০/০৬/২০০৯ তারিখে গণপূর্ত বিভাগের নিকট হতে ভবন বুঝে নেওয়া হয়েছে। গত ১৭/০৪/২০১১ তারিখে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক আবাসন কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয় এবং হেফাজতীদের লালমাটিয়াস্থ আবাসন কেন্দ্র হতে মোগরখালস্থ গাজীপুরে আবাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে আবাসন কেন্দ্রেটি থোক বরাদ্দ দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।

উদ্দেশ্য:

১। হেফাজতী মহিলা, শিশু ও কিশোরীদের বিচারকালীন সময়ে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।

২। বিনা মূলে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা।

৩। নির্ধারিত শুনানীর দিনে নিরাপত্তার সাথে কোর্টে হাজির করা এবং কোর্ট হতে আবাসন কেন্দ্রে ফেরত আনা।

৪। আশ্রয়কালীন সময়ে তাদের দক্ষ জনসম্পদে উন্নীত করার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

৫। কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে শারিরীক ও মানসিক চিকিৎসা সহ সম্ভব্য আইনগত সহায়তা প্রদান করা ।

মহিলা ও শিশুদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখা।

হেফাজতীদের ধরণ : মূলত কোর্ট হতে প্রেরিত বিভিন্ন মামলার ভিকটিম/হেফাজতীগণ (বাড়ী হতে পালায়ন, হারানো, ধর্ষন, হত্যা মামলার স্বাক্ষী ও অন্যান্য মামলা) অত্র কেন্দ্র হেফাজতী হিসাবে অবস্থান করে।

কেন্দ্রের ধারন ক্ষমতা : কোর্ট হতে প্রেরিত ১০০ জন হেফাজতীর ধারন ক্ষমতা এ কেন্দ্রের রয়েছে। তিন তলা বিশিষ্ট ডরমেটরী ভবনের ২য় ও তৃতীয় তলায় সর্বমোট ২০ টি রুমে ০৫ জন করে বর্তমানে মোট ১০০ জন হেফাজতী অবস্থানের সুযোগ রয়েছে।

হেফাজতীদের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা : অস্থায়ী কেন্দ্র চলমান থাকা অবস্থায় ডিএমপি কর্র্তৃক ১০ জন পুরুষ পুলিশ সদস্য ও তিন শিফর্টে ৬ জন মহিলা পুলিশ সদস্য কর্তৃক হেফাজতীদের নিরপত্তা প্রদান করা হতো। বর্তমানে অত্র কেন্দ্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার গাজীপুর কর্তৃক প্রেরিত ০৫ জন পুরুষ পুলিশ ও ০২ জন মহিলা পুলিশ সদসের মাধ্যমে হেফাজতীদের নিরপত্তা প্রদান করা হচ্ছে।

matrimony service

matchmaking

আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস

Kabinbd Blog

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here