বিবাহ অনুষ্ঠানে না জায়েজ কার্যাদি সম্পর্কে আলোচনা

0
39
kabinbd

বিবাহ অনুষ্ঠানে না জায়েজ কার্যাদি সম্পর্কে আলোচনা

kabinbd

বিবাহ অনুষ্ঠানে না জায়েজ কার্যাদি সম্পর্কে আলোচনা:

বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন এবং ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান যা দুটি মানুষকে একত্রিত করে। এই অনুষ্ঠানে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা উচিত যা ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কিছু না জায়েজ কার্যাদি:

1. অশালীন পোশাক: বিবাহ অনুষ্ঠানে অশালীন পোশাক পরিধান করা উচিত নয়। পোশাক রুচিশীল ও শালীন হওয়া উচিত।

অশালীন পোশাক একটি স্পর্শকাতর বিষয় এবং এর সংজ্ঞা ব্যক্তিভেদে ও সংস্কৃতিভেদে ভিন্ন হতে পারে।

কিছু সাধারণ দিক যা পোশাককে অশালীন বলে মনে করার কারণ হতে পারে:

  • শরীরের অতিরিক্ত অংশ উন্মুক্ত করা: যেমন, খুব কম পোশাক, গভীর নেকলাইন, উঁচু ঝালর, পাতলা কাপড়, পেট খোলা পোশাক ইত্যাদি।
  • যৌন আবেদনমূলক পোশাক: যেমন, চামড়ার পোশাক, জালের পোশাক, স্বচ্ছ পোশাক, আঁটসাঁট পোশাক ইত্যাদি।
  • অপ্রচলিত পোশাক: যেমন, ছেঁড়া পোশাক, নোংরা পোশাক, অপরিচ্ছন্ন পোশাক ইত্যাদি।

অশালীন পোশাকের কিছু প্রভাব:

  • যৌন হয়রানির ঝুঁকি বৃদ্ধি: অশালীন পোশাক যৌন হয়রানির ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
  • সামাজিক সমালোচনা: অশালীন পোশাকের জন্য সমাজে সমালোচিত হতে পারেন।
  • ভুল বার্তা প্রদান: অশালীন পোশাক ভুল বার্তা প্রদান করতে পারে, বিশেষ করে তরুণদের কাছে।

পোশাক নির্বাচনের সময় কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত:

  • সামাজিক রীতিনীতি: পোশাক সামাজিক রীতিনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।
  • ব্যক্তিগত পছন্দ: পোশাক ব্যক্তির পছন্দের হওয়া উচিত।
  • শারীরিক গঠন: পোশাক শারীরিক গঠনের সাথে মানানসই হওয়া উচিত।
  • পরিবেশ: পোশাক পরিবেশের সাথে মানানসই হওয়া উচিত।

পরিশেষে, পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যক্তির স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, পোশাক নির্বাচনের সময় সামাজিক রীতিনীতি, ব্যক্তিগত পছন্দ, শারীরিক গঠন এবং পরিবেশের কথাও বিবেচনা করা উচিত।

2. অপ্রয়োজনীয় গান বাজনা: অপ্রয়োজনীয় গান বাজনা, বিশেষ করে অশ্লীল গান বাজনা করা উচিত নয়।

অপ্রয়োজনীয় গান বাজনা বলতে বোঝায় এমন গান বাজনা যা কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া বা অনুপযুক্ত সময়ে বাজানো হয়।

কিছু উদাহরণ:

  • ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অশ্লীল গান বাজনা: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মীয় গান বাজানো উচিত।
  • শোকের সময় উচ্চস্বরে গান বাজনা: শোকের সময় শান্ত পরিবেশ বজায় রাখা উচিত।
  • পড়াশোনার সময় গান বাজনা: পড়াশোনার সময় মনোযোগের জন্য শান্ত পরিবেশ প্রয়োজন।
  • রাতারাতি উচ্চস্বরে গান বাজনা: রাতারাতি উচ্চস্বরে গান বাজনা প্রতিবেশীদের বিরক্ত করতে পারে।

অপ্রয়োজনীয় গান বাজনার কিছু ক্ষতিকর প্রভাব:

  • মনোযোগে বিঘ্ন: অপ্রয়োজনীয় গান বাজনা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
  • শব্দ দূষণ: অপ্রয়োজনীয় গান বাজনা শব্দ দূষণের কারণ হতে পারে।
  • মানসিক বিরক্তি: অপ্রয়োজনীয় গান বাজনা মানসিক বিরক্তির কারণ হতে পারে।
  • সামাজিক অশান্তি: অপ্রয়োজনীয় গান বাজনা সামাজিক অশান্তির কারণ হতে পারে।

গান বাজনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত:

  • সময়: গান বাজানোর জন্য উপযুক্ত সময় নির্বাচন করা উচিত।
  • স্থান: গান বাজানোর জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা উচিত।
  • পরিবেশ: গান বাজানোর জন্য পরিবেশের সাথে মানানসই গান নির্বাচন করা উচিত।
  • স্বরের পরিমাণ: গান বাজানোর সময় স্বরের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

পরিশেষে, গান বাজনা একটি বিনোদন এবং শিল্প। তবে, গান বাজানোর ক্ষেত্রে সময়, স্থান, পরিবেশ এবং স্বরের পরিমাণের কথা বিবেচনা করা উচিত।

3. অপচয়: খাবার-দাবারের অপচয় করা উচিত নয়।

4. মিথ্যা বলা: বর-কনে ও তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা উচিত নয়।

5. ঝগড়া-বিবাদ: বিবাহ অনুষ্ঠানে ঝগড়া-বিবাদ করা উচিত নয়।

ঝগড়া-বিবাদ মানুষের জীবনের একটি অপ্রত্যাশিত অংশ। মতপার্থক্য, ভুল বোঝাবুঝি, অহংকার, লোভ, ঈর্ষা ইত্যাদি কারণে ঝগড়া-বিবাদ

ঝগড়া-বিবাদের কিছু ক্ষতিকর প্রভাব:

  • মানসিক চাপ: ঝগড়া-বিবাদ মানসিক চাপের কারণ হতে পারে।
  • সম্পর্কের অবনতি: ঝগড়া-বিবাদ সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে।
  • হিংসাত্মক পরিস্থিতি: ঝগড়া-বিবাদ হিংসাত্মক পরিস্থিতির কারণ হতে পারে।
  • সামাজিক অশান্তি: ঝগড়া-বিবাদ সামাজিক অশান্তির কারণ হতে পারে।

ঝগড়া-বিবাদ এড়ানোর জন্য কিছু টিপস:

  • ধৈর্য ধরুন: ঝগড়ার সময় ধৈর্য ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • শান্তভাবে কথা বলুন: ঝগড়ার সময় উত্তেজিত না হয়ে শান্তভাবে কথা বলুন।
  • অন্যের কথা শুনুন: ঝগড়ার সময় অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
  • ভুল স্বীকার করুন: ভুল হলে ভুল স্বীকার করতে দ্বিধা করবেন না।
  • মাঝখানে থাকুন: ঝগড়ার মাঝখানে থাকার চেষ্টা করুন।
  • সমাধানের চেষ্টা করুন: ঝগড়ার সমাধানের চেষ্টা করুন।

ঝগড়া-বিবাদ হলে:

  • ঝগড়া থেকে দূরে সরে যান: যদি ঝগড়া নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, ঝগড়া থেকে দূরে সরে যান।
  • বিশ্বস্ত ব্যক্তির সাথে কথা বলুন: ঝগড়ার বিষয়ে বিশ্বস্ত ব্যক্তির সাথে কথা বলুন।
  • পেশাদার সাহায্য নিন: যদি ঝগড়া নিজেরা সমাধান করতে না পারেন, পেশাদার সাহায্য নিন।

মনে রাখবেন, ঝগড়া-বিবাদ সমাধান করা সম্ভব। ধৈর্য, শান্তি, এবং সমঝোতার মাধ্যমে ঝগড়া-বিবাদের সমাধান করা সম্ভব।

কিছু অনুপ্রেরণামূলক উক্তি:

  • “ঝগড়া শুরু করতে একজনের বোকা লাগে, কিন্তু থামাতে দুজনের বুদ্ধিমান লাগে।” – Mark Twain
  • “ক্ষমা শক্তিশালীদের গুণ, দুর্বলদের নয়।” – Mahatma Gandhi
  • “ভালোবাসা ঝগড়ার শেষ কথা।” – Victor Hugo

6. মাদকদ্রব্য সেবন: মাদকদ্রব্য সেবন করা উচিত নয়।

মাদকদ্রব্য সেবন একটি বিরাট সমস্যা যা ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

মাদকদ্রব্য সেবনের কিছু ক্ষতিকর প্রভাব:

  • শারীরিক ক্ষতি: মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে শারীরিকভাবে বিভিন্ন রোগ হতে পারে, যেমন –
    • হৃদরোগ
    • ফুসফুসের রোগ
    • লিভারের রোগ
    • ক্যান্সার
    • মস্তিষ্কের ক্ষতি
  • মানসিক ক্ষতি: মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে মানসিকভাবে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, যেমন –
    • বিষণ্ণতা
    • উদ্বেগ
    • মানসিক অস্থিরতা
    • স্মৃতিশক্তি হ্রাস
  • সামাজিক ক্ষতি: মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে সামাজিকভাবে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, যেমন –
    • পারিবারিক সমস্যা
    • বন্ধুদের সাথে সমস্যা
    • কর্মক্ষেত্রে সমস্যা
    • আর্থিক সমস্যা

মাদকদ্রব্য সেবন থেকে মুক্তি পেতে কিছু টিপস:

  • সচেতনতা বৃদ্ধি: মাদকদ্রব্যের ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
  • পরিবারের সহযোগিতা: পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা নেওয়া।
  • পেশাদার সাহায্য: পেশাদার মাদকমুক্তি কেন্দ্র থেকে সাহায্য নেওয়া।
  • মানসিক শক্তি: মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়া।
  • সুস্থ জীবনধারা: সুস্থ জীবনধারা গ্রহণ করা।

মাদকদ্রব্য সেবন থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হতে পারে, তবে অসম্ভব নয়। ধৈর্য, সাহস, এবং সহায়তার মাধ্যমে মাদকদ্রব্য সেবন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

কিছু অনুপ্রেরণামূলক উক্তি:

  • “মাদকদ্রব্য সেবন একটি পালিয়ে যাওয়ার পথ, কিন্তু সমাধান নয়।” – unknown
  • “মাদকদ্রব্য সেবন আপনাকে আপনার স্বপ্ন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।” – unknown
  • “মাদকদ্রব্য সেবন আপনার জীবনকে নষ্ট করে দেয়।” – unknown

মাদকদ্রব্য সেবন একটি জটিল সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

7. দেন-মোহরের লোভ: দেন-মোহরের লোভে পড়ে বিবাহ করা উচিত নয়।

দেন-মোহরের লোভ একটি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য যা মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে।

দেন-মোহরের লোভের কিছু ক্ষতিকর প্রভাব:

  • অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন: দেন-মোহরের লোভ মানুষকে অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে প্রলুব্ধ করতে পারে।
  • মানুষের প্রতি শোষণ: দেন-মোহরের লোভ মানুষকে অন্যদের প্রতি শোষণ করতে প্রলুব্ধ করতে পারে।
  • অসুখী জীবন: দেন-মোহরের লোভ মানুষকে অসুখী জীবনযাপন করতে পারে।

দেন-মোহরের লোভ থেকে মুক্তি পেতে কিছু টিপস:

  • সন্তুষ্ট থাকা: যা আছে তাতে সন্তুষ্ট থাকা।
  • আধ্যাত্মিক চর্চা: আধ্যাত্মিক চর্চার মাধ্যমে মনকে নিয়ন্ত্রণ করা।
  • মানবিক মূল্যবোধ: মানবিক মূল্যবোধের উপর জোর দেওয়া।

দেন-মোহরের লোভ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হতে পারে, তবে অসম্ভব নয়।

কিছু অনুপ্রেরণামূলক উক্তি:

  • “লোভ মানুষের বৃহত্তম শত্রু।”
  • “সন্তুষ্টিই সুখের মূল।”
  • “মানুষের মূল্যবোধই তার সম্পদ।”

মনে রাখবেন, দেন-মোহরের লোভ একটি ক্ষণস্থায়ী আকর্ষণ।

আমাদের উচিত স্থায়ী সুখের জন্য লোভের পরিবর্তে মানবিক মূল্যবোধের উপর জোর দেওয়া।

8. জোরপূর্বক বিবাহ: জোরপূর্বক কাউকে বিয়ে দেওয়া বা বিয়ে করা উচিত নয়।

9. বাল্যবিবাহ: বাল্যবিবাহ করা উচিত নয়।

বাল্যবিবাহ হলো ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া।

বাল্যবিবাহের কিছু ক্ষতিকর প্রভাব:

  • শারীরিক ক্ষতি:
    • অল্প বয়সে গর্ভধারণ ও প্রসবের ফলে মায়ে ও শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
    • শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশে বাধা।
  • মানসিক ক্ষতি:
    • শিক্ষাগত ক্ষতি।
    • মানসিক ট্রমা।
    • পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা।
  • সামাজিক ক্ষতি:
    • দারিদ্র্য বৃদ্ধি।
    • নারীর ক্ষমতায়নে বাধা।
    • জনসংখ্যা বৃদ্ধি।

বাল্যবিবাহ রোধে কিছু টিপস:

  • সচেতনতা বৃদ্ধি:
    • বাল্যবিবাহের ক্ষতি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা।
  • আইন প্রয়োগ:
    • বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।
  • শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি:
    • ছেলে-মেয়েদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা।
  • সামাজিক নিয়ম-কানুন পরিবর্তন:
    • বাল্যবিবাহকে সমর্থনকারী সামাজিক নিয়ম-কানুন পরিবর্তন করা।

বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব।

এজন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

কিছু অনুপ্রেরণামূলক উক্তি:

  • “বাল্যবিবাহ একটি অভিশাপ।”
  • “মেয়েদের শিক্ষাই বাল্যবিবাহ রোধের মূল চাবিকাঠি।”
  • “সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে।”

মনে রাখবেন, বাল্যবিবাহ একটি মানবাধিকার লঙ্ঘন।

আমাদের উচিত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করা।

10. বহুবিবাহ: বহুবিবাহ করা উচিত নয়।

বহুবিবাহ হলো একজন পুরুষের একাধিক নারীকে বিয়ে করার প্রথা।

বহুবিবাহ সম্পর্কে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে:

  • ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ: কিছু ধর্মে বহুবিবাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যদিও কিছু ধর্মে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উদাহরণস্বरूप, ইসলামে কিছু শর্ত সাপেক্ষে বহুবিবাহের অনুমতি রয়েছে, কিন্তু খ্রিস্টান ধর্মে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ।
  • সামাজিক দৃষ্টিকোণ: অনেক সমাজেই ঐতিহ্যগতভাবে বহুবিবাহ প্রচলিত ছিল। তবে বর্তমানে বহুবিবাহ অনেক দেশে আইনত নিষিদ্ধ। বাংলাদেশেও বহুবিবাহ আইনত নিষিদ্ধ।
  • মানবাধিকার দৃষ্টিকোণ: অনেকে মনে করেন বহুবিবাহ নারীর প্রতি বৈষম্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। কারণ, বহুবিবাহের ফলে নারীরা
    • সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে নির্যাতিত হতে পারেন।
    • সমান অধিকার নাও পেতে পারেন।
    • মানসিক কষ্ট ভোগ করতে পারেন।

বহুবিবাহের সমর্থকরা সাধারণত নিম্নলিখিত যুক্তি উপস্থাপন করেন:

  • ঐতিহ্য: বহুবিবাহ কিছু সমাজের ঐতিহ্যের অংশ।
  • সামাজিক কারণ: কিছু ক্ষেত্রে, যেমন, বিধবা নারীদের সামাজিক সুরক্ষা দিতে বহুবিবাহের প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করা হয়।

যদিও, বহুবিবাহের বিরোধীরা এই যুক্তিগুলো খণ্ডন করেন।

  • ঐতিহ্য: ঐতিহ্যের নামে নারীর অধিকার লঙ্ঘন করা যায় না। সময়ের সাথে সাথে সমাজের নিয়ম-কানুন পরিবর্তন হয়, সেই সাথে বহুবিবাহের মতো ক্ষতিকর প্রথাও বাতিল করা উচিত।
  • সামাজিক কারণ: বিধবা নারীদের সহায়তা ও সুরক্ষা দেওয়ার আরও ভালো বিকল্প রয়েছে, যেমন, সরকারি সাহায্য ও আইনি সুরক্ষা।

উপসংহার:

বহুবিবাহ একটি জটিল বিষয় এবং এটি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। আপনি যদি এই বিষয়ে আরও জানতে চান, তাহলে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। তবে, মনে রাখবেন, বাংলাদেশে বহুবিবাহ আইনত নিষিদ্ধ।

এছাড়াও, বিবাহ অনুষ্ঠানে ধর্মীয় রীতিনীতি ও সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলা উচিত।

বিবাহ একটি আনন্দের অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে সকলের উচিত শালীন ও রুচিশীল আচরণ করা।

কিছু অতিরিক্ত টিপস:

  • বিবাহের আগে পরামর্শদাতার সাথে কথা বলুন: এতে আপনার সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
  • বিয়ের পর সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় রাখুন: একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল হোন।
  • সম্পর্কের জন্য সময় দিন: ব্যস্ত জীবনেও একে অপরের জন্য সময় বের করুন।
  • যোগাযোগ বজায় রাখুন: একে অপরের সাথে খোলামেলা ও সৎভাবে কথা বলুন।

মনে রাখবেন, বিবাহ একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক। এই সম্পর্ককে সুন্দর ও সুখের করে তুলতে সকলের উচিত আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানো।

মুসলমানদের জন্য বিবাহ কার্য সম্পাদন করা ইসলাম ধর্মের একটি অঙ্গ স্বরূপ। উক্ত বিবাহ অনুষ্ঠানে না জায়েজ কার্যাদি যাহাতে অনুষ্ঠিত না হয় তাহার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখিতে হইবে। যেমন-বিবাহের তিনদিন পূর্বে পাত্র-পাত্রীর শরীরে আমোদ ফুর্তি করিয়া হলুদ মাখা, কুলা বা ডালা সাজাইয়া বিবাহ বরণ করা, যাহাকে বরণ ডালা বলা হয়, যুবতী মেয়েদের নাচগাণ করা, পটকা ফুটান বা বাজি পোড়ান, বর যাত্রীর বাহনে মাইকযোগে গান বাজনা করা।

বরের জন্য গেট সাজাইয়া সেখানে তাহাদেরকে আটক করিয়া টাকা আদায় করা, বরের বসার আসনে আলিস্যা বসাইয়া টাকা আদায় করা, বরের হাত ধোয়াইয়া টাকা আদায় করা, নব বধুকে সাজাইবার সময় টাকা আদায় করা ইত্যাদি কার্যসমূহ সম্পূর্ণভাবে না জায়েয। কোন কোন ক্ষেত্রে উপরোল্লিখিত বিষয়সমূহ নিয়া বর ও কনে পক্ষের মধ্যে অহেতুক ঝগড়াও কথাকাটাকাটি হইয়া যাহার রেশ বহুদূর পর্যন্ত গড়াইয়া থাকে। এই সকল নাজায়েয কার্যাদি যাহাতে মুসলমানের বিবাহ অনুষ্ঠানে না হয় তাহার প্রতি সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখিতে হইবে।

matrimonybd

আপনি যদি বিয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তবে
লিংকে ক্লিক করে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশন করুন
অথবা বিস্তারিত জানতেঃ
Gmail:kabinbd4@gmail.com
01711462618 এ কল করুন ২৪/৭ সার্ভিস

 

Kabinbd Blog

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here